ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় আবারও অতিরিক্ত দায়িত্বে  বিতর্কিত সাব-রেজিস্টার বোরহান উদ্দিন গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে গাজীপুর কাশিমপুরে বিক্ষোভ মিছিল  শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে ১৫ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার বৈশ্বিক জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে যুবদের সাইকেল যাত্রা ফিলিস্তিনের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন শহীদ জিয়া -সাবেক ছাত্র নেতা ঢাবি চাঁদপুরে আগুনে পুড়ে ছাঁই ১৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে রংপুর তরুণদের জলবায়ু ধর্মঘট ও পদযাত্রা ফরিদপুরে সালথায় স্থানীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ  ধামইরহাটে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত দেশের ১৩ তম সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে বগুড়া 

মিঠাপুকুরে জনতার তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন ইউপি সদস্য

দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন
মিঠাপুকুর উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের সদস্য আতিয়ার রহমান।
বয়স্ক, বিধবা, কর্মসৃজন কর্মসূচীসহ
সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে নাম দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধ মানুষ বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। গণরোষে এক পর্যায়ে ওই ইউপি সদস্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে (৩ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আতিয়ার রহমান চেংমারী ইউনিয়নের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। বয়স্ক, বিধবা, কর্মসৃজন কর্মসূচীসহ
সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে নাম দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন শালিসে টাকা গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত ৩ বছর ধরে এসব কর্মকান্ড করে আসছেন তিনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার‌্যান ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল কবীর টিটুল এলাকা ছেড়ে আত্তগোপনে চলে যান। এরপর সেখানে সরকার একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এর আগে ওই অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমানের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের ভালো সখ্যতা ছিল। তাই, এলাকাবাসি ইউপি আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনি। ৫ আগষ্টের পর দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়। এরপর জনগণ প্রতিবাদ জানাতে থাকে। রামেশ^রপুর গ্রামের বাসিন্দা নুর আলম সিদ্দিক স্বাধীন বলেন, ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান অনেক মানুষের কাছে সরকারী সহযোগিতা দেওয়ার কথা লাখ লাখ টাকা নিয়ে আতœসাৎ করেছেন। বিচার শালিসের নামেও দুই পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এ কারণে মানুষ তাঁর ওপর ক্ষুদ্ধ।’ তিনি আরও বলেন, ৩ বছরে মানুষের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকার মতো নিয়েছেন ইউপি সদস্য। আমরা তার দৃস্টান্তমূলক শাস্তি চাই। রহিমা বেগম ও কুলছুমা বেগম নামে দুইজন নারী বলেন, কার্ড দিবার চায়া গরীবের ট্যাকা মারি খাইছে আতিয়ার মেম্বার। মানুষের ভয়ে এখন পালিয়ে গেইছে। হামরা তার বিচার চাই।’ গত বৃহস্পতিবার রাতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ^রপুর গ্রামে ওই ইউপি সদস্যের বাড়িতে শতশত ভুক্তভোগী মানুষ জড়ো হন। তারা ইউপি সদস্যকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তার অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেন। এক পর্যায়ে লোকজন বাড়ি ঘেরাও করেন। রাত ১০ টার
দিকে পরিস্থিতি খারাপ হলে জনরোষে বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যান ইউপি সদস্য আতিয়ার। বিক্ষুদ্ধ মানুষজন তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। ইউপি সদস্যের অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়ে এলাকাবাসি গণস্বাক্ষরযুক্ত অভিযোগ ইউএনও সহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় আবারও অতিরিক্ত দায়িত্বে  বিতর্কিত সাব-রেজিস্টার বোরহান উদ্দিন

মিঠাপুকুরে জনতার তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন ইউপি সদস্য

আপডেট সময় ১১:৩৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন
মিঠাপুকুর উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের সদস্য আতিয়ার রহমান।
বয়স্ক, বিধবা, কর্মসৃজন কর্মসূচীসহ
সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে নাম দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধ মানুষ বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। গণরোষে এক পর্যায়ে ওই ইউপি সদস্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে (৩ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আতিয়ার রহমান চেংমারী ইউনিয়নের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। বয়স্ক, বিধবা, কর্মসৃজন কর্মসূচীসহ
সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে নাম দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন শালিসে টাকা গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত ৩ বছর ধরে এসব কর্মকান্ড করে আসছেন তিনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার‌্যান ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল কবীর টিটুল এলাকা ছেড়ে আত্তগোপনে চলে যান। এরপর সেখানে সরকার একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এর আগে ওই অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমানের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের ভালো সখ্যতা ছিল। তাই, এলাকাবাসি ইউপি আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনি। ৫ আগষ্টের পর দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়। এরপর জনগণ প্রতিবাদ জানাতে থাকে। রামেশ^রপুর গ্রামের বাসিন্দা নুর আলম সিদ্দিক স্বাধীন বলেন, ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান অনেক মানুষের কাছে সরকারী সহযোগিতা দেওয়ার কথা লাখ লাখ টাকা নিয়ে আতœসাৎ করেছেন। বিচার শালিসের নামেও দুই পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এ কারণে মানুষ তাঁর ওপর ক্ষুদ্ধ।’ তিনি আরও বলেন, ৩ বছরে মানুষের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকার মতো নিয়েছেন ইউপি সদস্য। আমরা তার দৃস্টান্তমূলক শাস্তি চাই। রহিমা বেগম ও কুলছুমা বেগম নামে দুইজন নারী বলেন, কার্ড দিবার চায়া গরীবের ট্যাকা মারি খাইছে আতিয়ার মেম্বার। মানুষের ভয়ে এখন পালিয়ে গেইছে। হামরা তার বিচার চাই।’ গত বৃহস্পতিবার রাতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ^রপুর গ্রামে ওই ইউপি সদস্যের বাড়িতে শতশত ভুক্তভোগী মানুষ জড়ো হন। তারা ইউপি সদস্যকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তার অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেন। এক পর্যায়ে লোকজন বাড়ি ঘেরাও করেন। রাত ১০ টার
দিকে পরিস্থিতি খারাপ হলে জনরোষে বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যান ইউপি সদস্য আতিয়ার। বিক্ষুদ্ধ মানুষজন তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। ইউপি সদস্যের অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়ে এলাকাবাসি গণস্বাক্ষরযুক্ত অভিযোগ ইউএনও সহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেছেন।