ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

সকালের নাস্তায় কি শর্করা খাবেন?

সকালের নাস্তা নিয়ে অনেকেই অবহেলা করে থাকেন। কেউ কেউ একেবারেই সকালে কিছু খান না। আবার কেউ হাল্কা খাবার খান। দিনের পর দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পড়ে। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। 

স্বাভাবিকভাবেই এই খাবারটি গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় খরচ হয়ে যায়। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনো এটি খরচ হতে থাকে। এ জন্য ঘুম থেকে উঠার পরই এটা পূরণ করে ফেলা উচিত। সেই কারণে যারা সকালে কিছুই খান না, তারা ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন।

সকালের নাস্তায় শর্করা কতটা শক্তির যোগান দেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেমের অবসরপ্রাপ্ত চিফ নিউট্রিশন অফিসার আখতারুন নাহার আলো।

অনেকে মনে করেন সকালের নাস্তা না খেলে ওজন কমে যাবে। আসলে তা হয় না। পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনার দৈহিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের বিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় এবং সারা দিন ধরে প্রচুর শক্তি খরচ করতে সহায়তা করে। যদি নাস্তা বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কার্য প্রবণতা ও কর্মক্ষমতা কমে যাবে।

সকালের নাস্তা অবশ্যই সুষম হতে হবে। কারণ আমাদের দেহে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন আছে। এ সময় শর্করার দিকে জোর দিতে হবে। শর্করা আমাদের দেহে সেরোটোনিন নিঃসরণের মাধ্যমে মন, মেজাজ ও মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে। ফলে মনকে সজীব ও সতেজ রাখে। অর্থাৎ শর্করা শুধু শক্তিই প্রদান করে না।

সকালের নাস্তায় পানীয় হিসাবে রাখা যেতে পারে গ্রিনটি, চা-কফি, লাচ্ছি, ঘোল, ফলের রস ইত্যাদি। খুব ভালো হয়, যদি ঘুম থেকে উঠার দু’এক ঘণ্টা পর সকালের নাস্তা খেয়ে ফেলা যায়। যেহেতু এটা দিনের প্রথম খাবার এবং আগের রাতের পরিপূরক, সে কারণেই আগের রাতের খাওয়ার সময়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই নাস্তার সময় ঠিক করা ভালো। রাতের খাবার ও সকালের নাস্তার মধ্যে যেন বারো ঘণ্টার বেশি ব্যবধান না হয়। নাস্তা খাওয়া উচিত সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

সকালের নাস্তায় কি শর্করা খাবেন?

আপডেট সময় ১১:৩৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

সকালের নাস্তা নিয়ে অনেকেই অবহেলা করে থাকেন। কেউ কেউ একেবারেই সকালে কিছু খান না। আবার কেউ হাল্কা খাবার খান। দিনের পর দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পড়ে। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। 

স্বাভাবিকভাবেই এই খাবারটি গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় খরচ হয়ে যায়। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনো এটি খরচ হতে থাকে। এ জন্য ঘুম থেকে উঠার পরই এটা পূরণ করে ফেলা উচিত। সেই কারণে যারা সকালে কিছুই খান না, তারা ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন।

সকালের নাস্তায় শর্করা কতটা শক্তির যোগান দেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেমের অবসরপ্রাপ্ত চিফ নিউট্রিশন অফিসার আখতারুন নাহার আলো।

অনেকে মনে করেন সকালের নাস্তা না খেলে ওজন কমে যাবে। আসলে তা হয় না। পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনার দৈহিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের বিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় এবং সারা দিন ধরে প্রচুর শক্তি খরচ করতে সহায়তা করে। যদি নাস্তা বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কার্য প্রবণতা ও কর্মক্ষমতা কমে যাবে।

সকালের নাস্তা অবশ্যই সুষম হতে হবে। কারণ আমাদের দেহে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন আছে। এ সময় শর্করার দিকে জোর দিতে হবে। শর্করা আমাদের দেহে সেরোটোনিন নিঃসরণের মাধ্যমে মন, মেজাজ ও মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে। ফলে মনকে সজীব ও সতেজ রাখে। অর্থাৎ শর্করা শুধু শক্তিই প্রদান করে না।

সকালের নাস্তায় পানীয় হিসাবে রাখা যেতে পারে গ্রিনটি, চা-কফি, লাচ্ছি, ঘোল, ফলের রস ইত্যাদি। খুব ভালো হয়, যদি ঘুম থেকে উঠার দু’এক ঘণ্টা পর সকালের নাস্তা খেয়ে ফেলা যায়। যেহেতু এটা দিনের প্রথম খাবার এবং আগের রাতের পরিপূরক, সে কারণেই আগের রাতের খাওয়ার সময়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই নাস্তার সময় ঠিক করা ভালো। রাতের খাবার ও সকালের নাস্তার মধ্যে যেন বারো ঘণ্টার বেশি ব্যবধান না হয়। নাস্তা খাওয়া উচিত সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে।