ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এবার রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের ৭ দাবি কুমিল্লায় ১৬-তম মিডিয়া ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ৬দলের জার্সি উন্মোচন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা ভারত-বিরোধিতার অভিযোগ নিয়ে আনন্দবাজারকে যা বললেন জামায়াত আমির ছাত্রদল নেতাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ গ্রেফতার পটুয়াখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন পশ্চিমা আদর্শ-সংস্কৃতির বিষয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন বায়তুল মোকাররমের খতিব পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু কুমিল্লায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার বোরহানউদ্দিনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে নিজ ঘরে আগুন আওয়ামীলীগ নেতার

সকালের নাস্তায় কি শর্করা খাবেন?

সকালের নাস্তা নিয়ে অনেকেই অবহেলা করে থাকেন। কেউ কেউ একেবারেই সকালে কিছু খান না। আবার কেউ হাল্কা খাবার খান। দিনের পর দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পড়ে। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। 

স্বাভাবিকভাবেই এই খাবারটি গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় খরচ হয়ে যায়। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনো এটি খরচ হতে থাকে। এ জন্য ঘুম থেকে উঠার পরই এটা পূরণ করে ফেলা উচিত। সেই কারণে যারা সকালে কিছুই খান না, তারা ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন।

সকালের নাস্তায় শর্করা কতটা শক্তির যোগান দেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেমের অবসরপ্রাপ্ত চিফ নিউট্রিশন অফিসার আখতারুন নাহার আলো।

অনেকে মনে করেন সকালের নাস্তা না খেলে ওজন কমে যাবে। আসলে তা হয় না। পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনার দৈহিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের বিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় এবং সারা দিন ধরে প্রচুর শক্তি খরচ করতে সহায়তা করে। যদি নাস্তা বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কার্য প্রবণতা ও কর্মক্ষমতা কমে যাবে।

সকালের নাস্তা অবশ্যই সুষম হতে হবে। কারণ আমাদের দেহে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন আছে। এ সময় শর্করার দিকে জোর দিতে হবে। শর্করা আমাদের দেহে সেরোটোনিন নিঃসরণের মাধ্যমে মন, মেজাজ ও মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে। ফলে মনকে সজীব ও সতেজ রাখে। অর্থাৎ শর্করা শুধু শক্তিই প্রদান করে না।

সকালের নাস্তায় পানীয় হিসাবে রাখা যেতে পারে গ্রিনটি, চা-কফি, লাচ্ছি, ঘোল, ফলের রস ইত্যাদি। খুব ভালো হয়, যদি ঘুম থেকে উঠার দু’এক ঘণ্টা পর সকালের নাস্তা খেয়ে ফেলা যায়। যেহেতু এটা দিনের প্রথম খাবার এবং আগের রাতের পরিপূরক, সে কারণেই আগের রাতের খাওয়ার সময়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই নাস্তার সময় ঠিক করা ভালো। রাতের খাবার ও সকালের নাস্তার মধ্যে যেন বারো ঘণ্টার বেশি ব্যবধান না হয়। নাস্তা খাওয়া উচিত সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের ৭ দাবি

সকালের নাস্তায় কি শর্করা খাবেন?

আপডেট সময় ১১:৩৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

সকালের নাস্তা নিয়ে অনেকেই অবহেলা করে থাকেন। কেউ কেউ একেবারেই সকালে কিছু খান না। আবার কেউ হাল্কা খাবার খান। দিনের পর দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পড়ে। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। 

স্বাভাবিকভাবেই এই খাবারটি গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় খরচ হয়ে যায়। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনো এটি খরচ হতে থাকে। এ জন্য ঘুম থেকে উঠার পরই এটা পূরণ করে ফেলা উচিত। সেই কারণে যারা সকালে কিছুই খান না, তারা ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন।

সকালের নাস্তায় শর্করা কতটা শক্তির যোগান দেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেমের অবসরপ্রাপ্ত চিফ নিউট্রিশন অফিসার আখতারুন নাহার আলো।

অনেকে মনে করেন সকালের নাস্তা না খেলে ওজন কমে যাবে। আসলে তা হয় না। পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনার দৈহিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের বিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় এবং সারা দিন ধরে প্রচুর শক্তি খরচ করতে সহায়তা করে। যদি নাস্তা বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কার্য প্রবণতা ও কর্মক্ষমতা কমে যাবে।

সকালের নাস্তা অবশ্যই সুষম হতে হবে। কারণ আমাদের দেহে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন আছে। এ সময় শর্করার দিকে জোর দিতে হবে। শর্করা আমাদের দেহে সেরোটোনিন নিঃসরণের মাধ্যমে মন, মেজাজ ও মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে। ফলে মনকে সজীব ও সতেজ রাখে। অর্থাৎ শর্করা শুধু শক্তিই প্রদান করে না।

সকালের নাস্তায় পানীয় হিসাবে রাখা যেতে পারে গ্রিনটি, চা-কফি, লাচ্ছি, ঘোল, ফলের রস ইত্যাদি। খুব ভালো হয়, যদি ঘুম থেকে উঠার দু’এক ঘণ্টা পর সকালের নাস্তা খেয়ে ফেলা যায়। যেহেতু এটা দিনের প্রথম খাবার এবং আগের রাতের পরিপূরক, সে কারণেই আগের রাতের খাওয়ার সময়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই নাস্তার সময় ঠিক করা ভালো। রাতের খাবার ও সকালের নাস্তার মধ্যে যেন বারো ঘণ্টার বেশি ব্যবধান না হয়। নাস্তা খাওয়া উচিত সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে।