ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনার নেপথ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বোরহানউদ্দিন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে: মাফরুজা সুলতানা পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা।

অজু ছাড়া দোয়া-দরুদ পড়া যাবে?

পবিত্রতা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। অপবিত্রতা, নোংরামি দেহমনকে অসুস্থ করে তোলে। পবিত্র থাকতেই ভালোবাসে সবাই। তবে চলাফেরা করতে গিয়ে পরিস্থিতির কারণে শরীর অপবিত্র হয়ে যায় অনেকভাবেই। কিছু কিছু অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হতে গোসল করে হয়। আবার কখনও কখনও অজু করলেই হয়ে যায়। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। -(সুরা মায়েদা, আয়াত, ০৬)

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন বান্দার কাছ থেকে সবার আগে যে আমলের হিসাব নেওয়া হবে, তা হল নামাজ। নামাজ ঠিক হলে সে পরিত্রাণ ও সফলতা লাভ করবে। নইলে (নামাজ ঠিক না হলে) ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এছাড়া ফরজ এবং ওয়াজিবের দায়িত্বগুলো পালন করার পর অতিরিক্ত নফল ইবাদতে লিপ্ত থাকা মূলত আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালে শান্তির জন্য সুযোগ পেলেই মানুষ তাহাজ্জুদ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া ও দরুদ পড়ে থাকেন।

অনেক সময় গোসল ফরজের মতো অপবিত্র না হলেও অজু করতে হবে এমন অপবিত্রতা ঘটে যায়। তাৎক্ষণিক অজু করাও সম্ভব হয় না। এমন মুহূর্তে কেউ দোয়া দরুদ পড়তে চাইলে তা অজু ছাড়াই পড়া যাবে। এভাবেও হাদিসে বর্ণিত সওয়াব পেয়ে যাবে। তবে আলেমরা সবসময় অজু অবস্থায় থাকার এবং অজু করেই সবধরণের দোয়া দরুদ পড়াকে উত্তম বলেন এবং পড়তে উৎসাহিত করেন ও পরামর্শ দেন। -(মাবসুতুস সারাখসি : ২/২৬, ফাতহুল বারি : ১/৩৪৩, ফাতাওয়ায়ে রশিদিয়া : ২৫৩)

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী

অজু ছাড়া দোয়া-দরুদ পড়া যাবে?

আপডেট সময় ০২:১১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

পবিত্রতা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। অপবিত্রতা, নোংরামি দেহমনকে অসুস্থ করে তোলে। পবিত্র থাকতেই ভালোবাসে সবাই। তবে চলাফেরা করতে গিয়ে পরিস্থিতির কারণে শরীর অপবিত্র হয়ে যায় অনেকভাবেই। কিছু কিছু অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হতে গোসল করে হয়। আবার কখনও কখনও অজু করলেই হয়ে যায়। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। -(সুরা মায়েদা, আয়াত, ০৬)

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন বান্দার কাছ থেকে সবার আগে যে আমলের হিসাব নেওয়া হবে, তা হল নামাজ। নামাজ ঠিক হলে সে পরিত্রাণ ও সফলতা লাভ করবে। নইলে (নামাজ ঠিক না হলে) ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এছাড়া ফরজ এবং ওয়াজিবের দায়িত্বগুলো পালন করার পর অতিরিক্ত নফল ইবাদতে লিপ্ত থাকা মূলত আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালে শান্তির জন্য সুযোগ পেলেই মানুষ তাহাজ্জুদ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া ও দরুদ পড়ে থাকেন।

অনেক সময় গোসল ফরজের মতো অপবিত্র না হলেও অজু করতে হবে এমন অপবিত্রতা ঘটে যায়। তাৎক্ষণিক অজু করাও সম্ভব হয় না। এমন মুহূর্তে কেউ দোয়া দরুদ পড়তে চাইলে তা অজু ছাড়াই পড়া যাবে। এভাবেও হাদিসে বর্ণিত সওয়াব পেয়ে যাবে। তবে আলেমরা সবসময় অজু অবস্থায় থাকার এবং অজু করেই সবধরণের দোয়া দরুদ পড়াকে উত্তম বলেন এবং পড়তে উৎসাহিত করেন ও পরামর্শ দেন। -(মাবসুতুস সারাখসি : ২/২৬, ফাতহুল বারি : ১/৩৪৩, ফাতাওয়ায়ে রশিদিয়া : ২৫৩)