কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাবেক সাফজয়ী ফুটবলার আমিনুল হক বলেছেন,গত দেড় দশক ধরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের দলীয়করণে ক্রীড়াঙ্গনের যে সকল ভালো ক্রীড়া সংগঠক বঞ্চিত রয়েছেন,যারা মাঠে ছিলেন কিন্তু মাঠে থেকেও হারিয়ে গেছেন,আমরা সেই বঞ্চিত ভালো ক্রীড়া সংগঠকদেরকে মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই।
আজ (২৬ নভেম্বর ২০২৪ইং) মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে মিরপুর সোনালী অতীত ক্লাবের প্রীতি ফুটবল টূর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যেটা করেছে, বিএনপি তার উল্টোটা করতে চায়। আমরা কখনও ক্রীড়াঙ্গনে দলীয়করণ করব না-রাজনীতিকরণ করব না এবং করতেও চাই না; আমরা এই বিষয়ে সকলের কাছে ওয়াদা বদ্ধ।
গত ১৭ বছরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে আমিনুল হক বলেন,আওয়ামী স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের শাসনামলে আমরা কখনও উন্মুক্ত ভাবে কোন খেলাধুলা বা সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পারি নাই।কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি ঠিক মতো পালন করতে পারি নাই। ঐ সময়টাতে আমরা কঠিন সময় অতিবাহিত করেছি।আজকে আমরা প্রাণ খোলে নিঃশ্বাস নিতে পারছি।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন,আওয়ামী সরকার তাদের শাসনামলে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে দলীয় ও রাজনীতি করণ করে- বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা সেই ধ্বংসাত্বক ক্রীড়াঙ্গনকে টেনে তুলার জন্য কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে আমরা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টূর্নামেন্ট এবং জিয়া ক্রিকেট টূর্নামেন্ট শুরু করে দিয়েছি।
বিভাগীয় পর্যায়ে এই খেলাগুলো চলছে। এই দুইটি টূর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর আমরা আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মেয়েদের ক্রিকেট কিংবা ফুটবল টূর্নামেন্ট আমরা শুরু করবো। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমরা খেলাগুলো জেলা-উপজেলা পর্যায় এবং ইউনিয়ন লেভেল পর্যন্ত নিয়ে যাবো। পাশাপাশি আমাদের দেশের জনপ্রিয় অন্যান্য যে খেলাগুলো রয়েছে;সেই খেলাগুলোকেও আমরা একেবারে বাংলাদেশের তৃনমুল পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। এই খেলার মাধ্যমে দেশের তৃনমুল লেভেল থেকে অনেক ভালো ও প্রতিভাবান খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে, তখন তারাও একসময় দেশের পক্ষে খেলতে পারবে।
খেলা উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রবাসী কল্যান সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।