ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবারণা পূর্নিমা উপলক্ষে চান্দগাঁও বৌদ্ধ বিহারে সম্প্রীতি সমাবেশে মীর হেলাল

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ঐক্য ও সম্প্রীতির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হচ্ছে বিএনপির মূলমন্ত্র। যারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিশ্বাস করেন এটার মূল উৎস হচ্ছে, যে যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করবে। এটা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের একটি অংশ। এর মধ্যে সব ধর্ম, ভাষা ও ইতিহাসের মানুষ আছে। সবাই মিলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। তবে অনেকেই এটা হৃদয়ে ধারণ করে না। বিএনপিই এটাকে হৃদয়ে ধারণ করে।

আর যারা বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের কথা বলে তারাই বৌদ্ধদের মন্দির ভাংচুর করে। বাংলাদেশের প্রতিটি সংখ্যালঘু হামলার সঙ্গে আওয়ামীলীগ জড়িত। অপরদিকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সকল সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপদে ছিলেন। তিনি বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপন উপলক্ষে চান্দগাঁও বাহির সিগনাল বড়ুয়া পাড়ায় বৌদ্ধ বিহারে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আত্মশুদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের আয়োজন হলো প্রবারণা। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে উৎসব মূখর পরিবেশে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের আহবান জানিয়ে তিনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া। এদিকে প্রবারণা পূর্নিমা উপলক্ষে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন। চান্দগাঁও সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, কাতালগন্জ নবপন্ডিত বৌদ্ধ বিহার ও নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ফানুস ওড়ানোতে অংশ নেন। নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে প্রবারণা পূর্নিমার শুভেচ্ছা জানান।

এসময় এরশাদ উল্লাহ বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও মানুষে মানুষে গভীর ভালোবাসার বাণী প্রচার করে গেছেন। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, বরং শরণ নিতে হয় অহিংসার। আজকে সারাবিশ্বে রক্তপাত, সংঘাত ও সংঘর্ষে মানবজাতি ক্ষতবিক্ষত। এ শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে গৌতম বুদ্ধের হিতোপদেশ মানুষকে অহিংসার পথে, ন্যায়ের পথে চালিত করবে। তাই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদই সবাইকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে। শত বাঁধা বিপত্তির মধ্যেও আমাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত শান্তি ফিরে আসবে। নাজিমুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৌদ্ধদের মূল বসবাসের জায়গা। আমরা চাই, সকলেই রাষ্ট্রের সমান অধিকার ভোগ করবে। আপনাদের মধ্যে থেকে রাজনীতিতে উঠে আসুন। বিএনপিতে আপনারা অংশগ্রহণ করেন। আপনারা নেতৃত্বে আসেন। বিএনপির ভিশন ২০৩০ এবং যে ৩১ দফা দিয়েছে, সেখানে সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি আছে।

দেশের একমাত্র সুরক্ষা হচ্ছে গণতন্ত্র। এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মো. আজম, আশীর্বাদক এস লোকজিত মহাস্থবির, মহানগর জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্টের আহবায়ক রুবেল বড়ুয়া, সদস্য সচিব কমল জ্যোতি বড়ুয়া, রঞ্জিত বড়ুয়া, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব বাপ্পি দে, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা সজল বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়া, দেবাশীষ বড়ুয়া নিরু, চয়ন বড়ুয়া, মোহন বড়ুয়া, নিশাত বড়ুয়া, জয় বড়ুয়া, উজ্জ্বল বড়ুয়া, আকাশ বড়ুয়া, মিক্সন বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বিপ্লব বড়ুয়া, সাচিং মারমা, পলাশ মারমা, উপ্রাচিং মারমা প্রমূখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবারণা পূর্নিমা উপলক্ষে চান্দগাঁও বৌদ্ধ বিহারে সম্প্রীতি সমাবেশে মীর হেলাল

আপডেট সময় ০১:২৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ঐক্য ও সম্প্রীতির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হচ্ছে বিএনপির মূলমন্ত্র। যারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিশ্বাস করেন এটার মূল উৎস হচ্ছে, যে যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করবে। এটা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের একটি অংশ। এর মধ্যে সব ধর্ম, ভাষা ও ইতিহাসের মানুষ আছে। সবাই মিলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। তবে অনেকেই এটা হৃদয়ে ধারণ করে না। বিএনপিই এটাকে হৃদয়ে ধারণ করে।

আর যারা বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের কথা বলে তারাই বৌদ্ধদের মন্দির ভাংচুর করে। বাংলাদেশের প্রতিটি সংখ্যালঘু হামলার সঙ্গে আওয়ামীলীগ জড়িত। অপরদিকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সকল সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপদে ছিলেন। তিনি বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্নিমা উদযাপন উপলক্ষে চান্দগাঁও বাহির সিগনাল বড়ুয়া পাড়ায় বৌদ্ধ বিহারে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আত্মশুদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের আয়োজন হলো প্রবারণা। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে উৎসব মূখর পরিবেশে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের আহবান জানিয়ে তিনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া। এদিকে প্রবারণা পূর্নিমা উপলক্ষে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন। চান্দগাঁও সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, কাতালগন্জ নবপন্ডিত বৌদ্ধ বিহার ও নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ফানুস ওড়ানোতে অংশ নেন। নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে প্রবারণা পূর্নিমার শুভেচ্ছা জানান।

এসময় এরশাদ উল্লাহ বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও মানুষে মানুষে গভীর ভালোবাসার বাণী প্রচার করে গেছেন। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, বরং শরণ নিতে হয় অহিংসার। আজকে সারাবিশ্বে রক্তপাত, সংঘাত ও সংঘর্ষে মানবজাতি ক্ষতবিক্ষত। এ শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে গৌতম বুদ্ধের হিতোপদেশ মানুষকে অহিংসার পথে, ন্যায়ের পথে চালিত করবে। তাই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদই সবাইকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে। শত বাঁধা বিপত্তির মধ্যেও আমাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত শান্তি ফিরে আসবে। নাজিমুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৌদ্ধদের মূল বসবাসের জায়গা। আমরা চাই, সকলেই রাষ্ট্রের সমান অধিকার ভোগ করবে। আপনাদের মধ্যে থেকে রাজনীতিতে উঠে আসুন। বিএনপিতে আপনারা অংশগ্রহণ করেন। আপনারা নেতৃত্বে আসেন। বিএনপির ভিশন ২০৩০ এবং যে ৩১ দফা দিয়েছে, সেখানে সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি আছে।

দেশের একমাত্র সুরক্ষা হচ্ছে গণতন্ত্র। এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মো. আজম, আশীর্বাদক এস লোকজিত মহাস্থবির, মহানগর জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্টের আহবায়ক রুবেল বড়ুয়া, সদস্য সচিব কমল জ্যোতি বড়ুয়া, রঞ্জিত বড়ুয়া, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব বাপ্পি দে, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা সজল বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়া, দেবাশীষ বড়ুয়া নিরু, চয়ন বড়ুয়া, মোহন বড়ুয়া, নিশাত বড়ুয়া, জয় বড়ুয়া, উজ্জ্বল বড়ুয়া, আকাশ বড়ুয়া, মিক্সন বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বিপ্লব বড়ুয়া, সাচিং মারমা, পলাশ মারমা, উপ্রাচিং মারমা প্রমূখ।