লালমনিরহাটের আলোচিত শ্রমিক লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম বুলেট হত্যা মামলায় ৩ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
ওই হত্যা মামলায় ১১ আসামীর মধ্যে একরামুল হক ও মিঠুসহ ৬ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত এবং বাকী দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আদিব আলী এ রায় দেন। এ সময় খালাসপ্রাপ্ত ৩ আসামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সহ অন্য আসামীরা ছিলো অনুপস্থিত।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজির চওড়া এলাকার হায়দার খানের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল খান, একই এলাকার ফজলে খানের ছেলে বিপুল খান ও গোলজার খানের ছেলে মসজিদুল খান।
জানাগেছে, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চিনিপাড়া এলাকার এনামুল হক মাষ্টার এর দ্বিতীয় ছেলে শ্রমিক লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম বুলেট এর সঙ্গে ১ নং আসামি আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল খানের সঙ্গে স্থানীয় হাটের ইজারা, সরকারি সার গোডাউনের লোড আনলোড কমিশন নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ২৭ জুন রাতে আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল খান শ্রমিকলীগ নেতা বুলেটকে মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে তাকে সদর উপজেলার মহেন্দনগর বাজার সংলগ্ন বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে দা, চাপাতি সহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল খান ও তার সহযোগী অন্যান্য আসামীরা কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় শ্রমীক লীগ নেতা বুলেটকে সদর হাসপাতলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পরে এ ঘটনায় নিহত বুলেটের পিতা এনামুল হক সরকার বাদী হয়ে ওই আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল খানসহ ১১জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ৯ বছর পর অবশেষে বুধবার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
লালমনিরহাট আদালতের সরকারি পিপি এ্যাডভোকেট আকমল হোসেন জানান, দীর্ঘ ৯ বছর শুনানীর পর বুধবার আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করলো আদালত। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।