ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

লুটপাট কারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, দালাল সাংবাদিক ও খুনি পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার না করলে ফের আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,চট্টগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত মানব বন্ধন ও সমাবেশে এই হুশিয়ারি দেন তারা। তারা বলেন দাবি আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামবেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ আমলে গড়ে ওঠা লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, গণ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ফ্যাসীবাদের দোসর সাংবাদিক ও আন্দোলনে গুলি করে ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশের সভাপতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের কেউ কেউ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ডেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে এমন মিথ্যাচারও করেছে। এই ধরনের চিহ্নিত সাংবাদিক নামধারী দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

রাসেল আহমেদ বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোষর লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। তারাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে কোন কারণ ছাড়াই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব বন্ধ করার দাবি জানান তারা। তিনি আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলন নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছিলো চট্টগ্রামের কতিপয় সাংবাদিক। তারা বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি পুলিশের সোর্স হিসেবে সরাসরি কাজ করেছে। তাদের কারণেই অসংখ্য আন্দোলনরত ছাত্রজনতা হতাহত হয়েছে।

সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী বলেন, যে সব অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যরা বিনা উস্কানীতে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে । সমন্বয়ক রেজাউর রহমান বলেন, গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে এখনো প্রতি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে পতিত স্বৈরাচারের দোসরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে শিক্ষার্থীদের এই দাবি মেনে দোষীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। ‘

সমন্বয়ক নীলা আফরোজ বলেন, দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা, ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের বিচারের দাবি আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামবে শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসির আরেফিন চৌধুরী, ওমর ফারুক সাগর, জুবায়ের আলম, রেজাউর রহমান, সাফায়েত হোসেন, একেএম ইসতিয়াক সম্রাট। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফের আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

আপডেট সময় ০২:৪৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

লুটপাট কারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, দালাল সাংবাদিক ও খুনি পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার না করলে ফের আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,চট্টগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত মানব বন্ধন ও সমাবেশে এই হুশিয়ারি দেন তারা। তারা বলেন দাবি আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামবেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ আমলে গড়ে ওঠা লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, গণ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ফ্যাসীবাদের দোসর সাংবাদিক ও আন্দোলনে গুলি করে ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশের সভাপতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের কেউ কেউ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ডেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে এমন মিথ্যাচারও করেছে। এই ধরনের চিহ্নিত সাংবাদিক নামধারী দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

রাসেল আহমেদ বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোষর লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। তারাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে কোন কারণ ছাড়াই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব বন্ধ করার দাবি জানান তারা। তিনি আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলন নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছিলো চট্টগ্রামের কতিপয় সাংবাদিক। তারা বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি পুলিশের সোর্স হিসেবে সরাসরি কাজ করেছে। তাদের কারণেই অসংখ্য আন্দোলনরত ছাত্রজনতা হতাহত হয়েছে।

সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী বলেন, যে সব অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যরা বিনা উস্কানীতে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে । সমন্বয়ক রেজাউর রহমান বলেন, গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে এখনো প্রতি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে পতিত স্বৈরাচারের দোসরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে শিক্ষার্থীদের এই দাবি মেনে দোষীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। ‘

সমন্বয়ক নীলা আফরোজ বলেন, দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা, ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের বিচারের দাবি আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামবে শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসির আরেফিন চৌধুরী, ওমর ফারুক সাগর, জুবায়ের আলম, রেজাউর রহমান, সাফায়েত হোসেন, একেএম ইসতিয়াক সম্রাট। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।