ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট পায়রাবন্দরের পরিচালক, তিনি কে? টঙ্গীতে চাঁদা দাবীর প্রতিবাদে শিল্প উদ্যোক্তার সংবাদ সম্মেলন ট্রাম্পের প্রস্তাবে নমনীয় জেলেনস্কি, বলছেন যুদ্ধবিরতির কথা মীরসরাইয়ে জামায়াত-যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে ‘মহিলা’র পরিবর্তে যুক্ত হচ্ছে ‘নারী’ খুতবার শেষে খতিবের মৃত্যু পাগলা মসজিদে এবার মিলল রেকর্ড ৩০ বস্তা টাকা পেঁয়াজ আলু তেলের মূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে আমদানিকারক ও আড়তদার সিন্ডিকেট গাইবান্ধা থেকে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৩

বন্যার্তদের সহায়তায় প্রাইজমানির অর্থ দিলেন মুশফিক

পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মুশফিকুর রহিম। ১৯১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। ৯ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেও এটিকে সবচেয়ে সুন্দর ইনিংসগুলোর একটি বলছেন মুশফিক নিজেই।

জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ইতিহাস গড়া এ জয়ে দলের সব ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব দেন তিনি। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এ ব্যাটার জানান ম্যাচসেরার প্রাইজমানি বন্যার্তদের সহায়তায় দান করে দেবেন।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ছিল ১১৭ রানের।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ৩০ রান। কোনো উইকেট না হারিয়ে এ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ফলে নিশ্চিত হয় ১০ উইকেটের জয়।

বড় শতক করে ইতিহাস গড়া এ জয়ে অবদান রাখেন মুশফিক। হাবিবুল বাশার সুমন ও জাভেদ ওমরের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে পাকিস্তানের মাটিতে শতক করেন মুশফিক। ২১ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে শতকের স্বাদ পান বাংলাদেশি কোনো ব্যাটার।

লম্বা ইনিংস খেলার পথে চতুর্থ দিনের শুরুতে লিটন দাসের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। পরে মিরাজের সঙ্গে সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৯৬ রান। তবে মাত্র ৯ রানের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন অভিজ্ঞ এ ব্যাটার।

জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে মুশফিক বলেন, ‘আমি একটা ঘোষণা দিতে চাই। বাংলাদেশে যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য আমি আমার প্রাইজমানি দান করছি।’

উল্লেখ্য, দেশের ১১ জেলায় বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। জেলাগুলো হলো, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।

এতে ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের ৫ জন, কুমিল্লার ৪ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুর জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি

বন্যার্তদের সহায়তায় প্রাইজমানির অর্থ দিলেন মুশফিক

আপডেট সময় ০৭:২৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মুশফিকুর রহিম। ১৯১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। ৯ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেও এটিকে সবচেয়ে সুন্দর ইনিংসগুলোর একটি বলছেন মুশফিক নিজেই।

জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ইতিহাস গড়া এ জয়ে দলের সব ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব দেন তিনি। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এ ব্যাটার জানান ম্যাচসেরার প্রাইজমানি বন্যার্তদের সহায়তায় দান করে দেবেন।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ছিল ১১৭ রানের।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ৩০ রান। কোনো উইকেট না হারিয়ে এ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ফলে নিশ্চিত হয় ১০ উইকেটের জয়।

বড় শতক করে ইতিহাস গড়া এ জয়ে অবদান রাখেন মুশফিক। হাবিবুল বাশার সুমন ও জাভেদ ওমরের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে পাকিস্তানের মাটিতে শতক করেন মুশফিক। ২১ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে শতকের স্বাদ পান বাংলাদেশি কোনো ব্যাটার।

লম্বা ইনিংস খেলার পথে চতুর্থ দিনের শুরুতে লিটন দাসের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। পরে মিরাজের সঙ্গে সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৯৬ রান। তবে মাত্র ৯ রানের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন অভিজ্ঞ এ ব্যাটার।

জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে মুশফিক বলেন, ‘আমি একটা ঘোষণা দিতে চাই। বাংলাদেশে যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য আমি আমার প্রাইজমানি দান করছি।’

উল্লেখ্য, দেশের ১১ জেলায় বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। জেলাগুলো হলো, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।

এতে ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের ৫ জন, কুমিল্লার ৪ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুর জেলায় একজন করে মারা গেছেন।