পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মুশফিকুর রহিম। ১৯১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। ৯ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেও এটিকে সবচেয়ে সুন্দর ইনিংসগুলোর একটি বলছেন মুশফিক নিজেই।
জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ইতিহাস গড়া এ জয়ে দলের সব ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব দেন তিনি। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এ ব্যাটার জানান ম্যাচসেরার প্রাইজমানি বন্যার্তদের সহায়তায় দান করে দেবেন।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ছিল ১১৭ রানের।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ৩০ রান। কোনো উইকেট না হারিয়ে এ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ফলে নিশ্চিত হয় ১০ উইকেটের জয়।
বড় শতক করে ইতিহাস গড়া এ জয়ে অবদান রাখেন মুশফিক। হাবিবুল বাশার সুমন ও জাভেদ ওমরের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে পাকিস্তানের মাটিতে শতক করেন মুশফিক। ২১ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে শতকের স্বাদ পান বাংলাদেশি কোনো ব্যাটার।
লম্বা ইনিংস খেলার পথে চতুর্থ দিনের শুরুতে লিটন দাসের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। পরে মিরাজের সঙ্গে সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৯৬ রান। তবে মাত্র ৯ রানের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন অভিজ্ঞ এ ব্যাটার।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে মুশফিক বলেন, ‘আমি একটা ঘোষণা দিতে চাই। বাংলাদেশে যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য আমি আমার প্রাইজমানি দান করছি।’
উল্লেখ্য, দেশের ১১ জেলায় বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। জেলাগুলো হলো, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।
এতে ১৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের ৫ জন, কুমিল্লার ৪ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষীপুর জেলায় একজন করে মারা গেছেন।