ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে ৭ দিন ধৈর্য ধরতে বললেন বিসিবি সভাপতি বড়াইগ্রামের ইউএনওর কাঁধে ১৬৮ পদের ভার জয়পুরহাটে মুজিবকোট পুড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেতার পদত্যাগ মুরাদনগর বাংগরা বাজার থানায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনি জব্দ রামগঞ্জের জমি নিয়ে বিরোধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর প্রতিপক্ষের হামলা আহত-৬ মঠবাড়িয়ায় চলাচলের পথ আটকিয়ে জমি দখল ও পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাঁচবিবিতে রাস্তা পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন গ্লোরি ফিউচার মডেল স্কুল গেন্ডারিয়া শাখা বার্ষিক ফলাফল পুরস্কার বিতরণ জামালপুর ব্রহ্মপুত্র নদে গোসলে নেমে ৩ স্কুলছাত্র নিখোঁজ, পরে মিললো মরদেহ

‘১৫ বছরে আওয়ামী সরকার ঋণ করেছে সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকার বেশি’

১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার সরকারি ঋণ রেখে দেশত্যাগ করেছেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে। তিনি যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন সরকারের ঋণ স্থিতি ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। সে হিসেবে আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলেই সরকারের ঋণ স্থিতি ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০৬ কোটি টাকা বেড়েছে। যা সরকারের মোট ঋণের প্রায় ৮৫ শতাংশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে গত দেড় দশকে সরকারের অস্বাভাবিক ঋণ বৃদ্ধির এ চিত্র উঠে এসেছে।

বাংলাদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য তুলে ধরেছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দেড় দশক ধরে ঘোষিত বাজেটে সরকারের পরিচালন ব্যয় মেটানো ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বলে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে। যদিও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

এ সময়ে অবাধ লুণ্ঠনের শিকার হয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। জনগণের লুণ্ঠিত এসব অর্থ পাচার হয়েছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত দেড় দশকে দেশের কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, সেটির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। কারণ দেশের কোনো পরিসংখ্যানই ঠিক নেই। কয়েক বছর ধরে সরকার ক্রমাগতভাবে তথ্য গোপন করেছে। অর্থনীতির ক্ষতি নিরূপণ করার জন্য ত্বরিত গতিতে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করতে হবে। সে কমিশন অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে একটি শ্বেতপত্র তৈরি করবে। এরপর অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সঠিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি জঞ্জালে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা আগে বলতাম অর্থনীতি খাদের কিনারায়। কিন্তু এখন অর্থনীতি পুরোপুরি খাদের মধ্যে পড়ে গেছে। এখান থেকে টেনে তুলতে হলে কঠোর পরিশ্রম, উদ্যোগ ও মনোযোগ দরকার। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার পাশাপাশি নতুন সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব হবে অর্থনীতিকে গর্ত থেকে টেনে তোলা।’

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে

‘১৫ বছরে আওয়ামী সরকার ঋণ করেছে সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকার বেশি’

আপডেট সময় ১০:৫৮:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার সরকারি ঋণ রেখে দেশত্যাগ করেছেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে। তিনি যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন সরকারের ঋণ স্থিতি ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। সে হিসেবে আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলেই সরকারের ঋণ স্থিতি ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০৬ কোটি টাকা বেড়েছে। যা সরকারের মোট ঋণের প্রায় ৮৫ শতাংশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে গত দেড় দশকে সরকারের অস্বাভাবিক ঋণ বৃদ্ধির এ চিত্র উঠে এসেছে।

বাংলাদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য তুলে ধরেছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দেড় দশক ধরে ঘোষিত বাজেটে সরকারের পরিচালন ব্যয় মেটানো ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বলে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে। যদিও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

এ সময়ে অবাধ লুণ্ঠনের শিকার হয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। জনগণের লুণ্ঠিত এসব অর্থ পাচার হয়েছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত দেড় দশকে দেশের কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, সেটির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। কারণ দেশের কোনো পরিসংখ্যানই ঠিক নেই। কয়েক বছর ধরে সরকার ক্রমাগতভাবে তথ্য গোপন করেছে। অর্থনীতির ক্ষতি নিরূপণ করার জন্য ত্বরিত গতিতে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করতে হবে। সে কমিশন অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে একটি শ্বেতপত্র তৈরি করবে। এরপর অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সঠিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি জঞ্জালে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা আগে বলতাম অর্থনীতি খাদের কিনারায়। কিন্তু এখন অর্থনীতি পুরোপুরি খাদের মধ্যে পড়ে গেছে। এখান থেকে টেনে তুলতে হলে কঠোর পরিশ্রম, উদ্যোগ ও মনোযোগ দরকার। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার পাশাপাশি নতুন সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব হবে অর্থনীতিকে গর্ত থেকে টেনে তোলা।’