ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে গতকালের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অবরোধের প্রথম দিনেই সকাল থেকে ছাত্র ছাত্রী সহ সকল স্তরের জনগন মৌন মিছিলে অংশ করতে শুরু করেন। তারা রংপুর জেলা স্কুল হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবে মোড়ে অবস্থান করে এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্লোগান দিতে থাকে, ব্যাক্ত করেন দীর্ঘ দিনের চাওয়া পাওয়ার দাবি।

একই দিনে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ডাক দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের। তারাও যখন রাজপথে মিছিল বের করে তখন উভয় মিছিল হতে ঢিল পাটকেল ছোঁড়াছুড়িতে সংঘর্ষ শুরু হয়।এক সময় সংঘর্ষ বড় আকার ধারন করলে সরকারি দলের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়।
সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত রংপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলি রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।এতে উভয় পক্ষেই শতাধিক মানুষ হতাহত হন।

সংঘর্ষ চলা কালে রংপুরে এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায়,তার ড্রাইভার কমল তারা দু’ জনেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরন করেন এরপর তাদের লাশ ইন্টারনেটের ক্যাবল দিয়ে বেধে টেনে হিঁচড়ে কালি বাড়ি মন্দিরের গেট হতে রংপুর সিটি করপোরেশনের গেটের সামনে ফেলে রাখা হয়। লাশগুলো প্রায় সকাল ১১ টা হতে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত রাস্তায় পরে থাকতে দেখা যায়।

প্রায় সন্ধার দিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তফা এবং কাউন্সিলর মাহমুদ টিটু মানবিক কারনে এগিয়ে এলে লাশগুলি কে মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।জেলা যুবলীগ সদস্য খসরু আন্দোলনকারীদের হাতে মৃত্যু বরন করেন আর একজনের পরিচয় পাওয়া যায় নাই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রংপুরে গতকালের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ১০:৩৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অবরোধের প্রথম দিনেই সকাল থেকে ছাত্র ছাত্রী সহ সকল স্তরের জনগন মৌন মিছিলে অংশ করতে শুরু করেন। তারা রংপুর জেলা স্কুল হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবে মোড়ে অবস্থান করে এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্লোগান দিতে থাকে, ব্যাক্ত করেন দীর্ঘ দিনের চাওয়া পাওয়ার দাবি।

একই দিনে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ডাক দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের। তারাও যখন রাজপথে মিছিল বের করে তখন উভয় মিছিল হতে ঢিল পাটকেল ছোঁড়াছুড়িতে সংঘর্ষ শুরু হয়।এক সময় সংঘর্ষ বড় আকার ধারন করলে সরকারি দলের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়।
সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত রংপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলি রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।এতে উভয় পক্ষেই শতাধিক মানুষ হতাহত হন।

সংঘর্ষ চলা কালে রংপুরে এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায়,তার ড্রাইভার কমল তারা দু’ জনেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরন করেন এরপর তাদের লাশ ইন্টারনেটের ক্যাবল দিয়ে বেধে টেনে হিঁচড়ে কালি বাড়ি মন্দিরের গেট হতে রংপুর সিটি করপোরেশনের গেটের সামনে ফেলে রাখা হয়। লাশগুলো প্রায় সকাল ১১ টা হতে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত রাস্তায় পরে থাকতে দেখা যায়।

প্রায় সন্ধার দিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তফা এবং কাউন্সিলর মাহমুদ টিটু মানবিক কারনে এগিয়ে এলে লাশগুলি কে মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।জেলা যুবলীগ সদস্য খসরু আন্দোলনকারীদের হাতে মৃত্যু বরন করেন আর একজনের পরিচয় পাওয়া যায় নাই।