ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনিয়ম আর দুর্নীতিতে মিঠাপুকুরের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অনেক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মিঠাপুকুর উপজেলার ০৯ নং ময়েনপুর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকার মোছাঃ ইসমোতারা বেগমের শাস্তি চেয়ে অভিযোগ করেন মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে।

অভিযোগ পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার ০৯ নং ময়েনপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা মোছাঃ ইসমোতারা বেগম, যোগদানের পর থেকে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আসছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একক আধিপত্য বিস্তার করে প্রতিষ্ঠানের জমি লিজ প্রদান সহ প্রতিষ্ঠানের গাছ কর্তন এবং নরমাল ডেলিভারিতে সহায়তা না করে নিজস্ব কমিশন প্রাপ্ত ক্লিনিকে সিজারের পরামর্শ দেন। এমনকি কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা প্রসূতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারিতে ও অনৈতিক সুবিধা নিতেন বলে অভিযোগে দেখা যায়।

নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগকারী মোঃ সাইদুর ইসলাম দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা ইসমোতারা বেগম, কাউকে কিছু না জানিয়ে গত-৫ মে হঠাৎ প্রতিষ্ঠানের একটি মেহগনি গাছ কর্তন করে বিক্রি করে দেন। একই সঙ্গে আম,কাঠাল গাছের বর্ধিত ডালপালা কেটে বিক্রি করেছেন।মোঃ সাইদুল ইসলাম আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে সম্পূর্ণ বিনা খরচায় নরমাল ডেলিভারি করার কথা থাকলেও ইসমোতারা বেগম,চুক্তি করে প্রসূতি মা-দের অর্থের বিনিময়ে নরমাল ডেলিভারি করান। কেউ তাকে টাকা দিতে না চাইলে তিনি সিজারের পরামর্শ দেন।এছাড়াও সরকারি ঔষধ রোগীদের না দিয়ে বাহিরে বিক্রি করেন।

স্থানীয় লোকমান হোসেন, শাহিন হোসেন ও তারজুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণে কেন্দ্রের পরিদর্শিকা নিজ খেয়াল খুশি মতো পরিচালনা করেন এবং সেবা গ্রহীতারা নানান তার এহেনো অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।আরো বলেন আমরা চাই প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষ তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এদিকে মিঠাপুকুরের ৪নং ভাংনী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিবার কেন্দ্রটির মনিটর ফিল্ড অফিসার বাসায় নিয়ে ব্যবহার করেন, এই শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর উক্ত ফিল্ড অফিসার একটি নষ্ট মনিটর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ফেরত দিয়ে যান। ৫ নং বালারহাট ৭ নং লতিফপুর ১২ নং মিলনপুরের একই চিত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিঠাপুকুর উপজেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে নিশ্চিত করেন,একটি অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে অভিযোগের সত্যতা জানতে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা- ইসমোতারা বেগমের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অনিয়ম আর দুর্নীতিতে মিঠাপুকুরের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

আপডেট সময় ১০:২১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অনেক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মিঠাপুকুর উপজেলার ০৯ নং ময়েনপুর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকার মোছাঃ ইসমোতারা বেগমের শাস্তি চেয়ে অভিযোগ করেন মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে।

অভিযোগ পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার ০৯ নং ময়েনপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা মোছাঃ ইসমোতারা বেগম, যোগদানের পর থেকে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আসছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একক আধিপত্য বিস্তার করে প্রতিষ্ঠানের জমি লিজ প্রদান সহ প্রতিষ্ঠানের গাছ কর্তন এবং নরমাল ডেলিভারিতে সহায়তা না করে নিজস্ব কমিশন প্রাপ্ত ক্লিনিকে সিজারের পরামর্শ দেন। এমনকি কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা প্রসূতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারিতে ও অনৈতিক সুবিধা নিতেন বলে অভিযোগে দেখা যায়।

নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগকারী মোঃ সাইদুর ইসলাম দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা ইসমোতারা বেগম, কাউকে কিছু না জানিয়ে গত-৫ মে হঠাৎ প্রতিষ্ঠানের একটি মেহগনি গাছ কর্তন করে বিক্রি করে দেন। একই সঙ্গে আম,কাঠাল গাছের বর্ধিত ডালপালা কেটে বিক্রি করেছেন।মোঃ সাইদুল ইসলাম আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে সম্পূর্ণ বিনা খরচায় নরমাল ডেলিভারি করার কথা থাকলেও ইসমোতারা বেগম,চুক্তি করে প্রসূতি মা-দের অর্থের বিনিময়ে নরমাল ডেলিভারি করান। কেউ তাকে টাকা দিতে না চাইলে তিনি সিজারের পরামর্শ দেন।এছাড়াও সরকারি ঔষধ রোগীদের না দিয়ে বাহিরে বিক্রি করেন।

স্থানীয় লোকমান হোসেন, শাহিন হোসেন ও তারজুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণে কেন্দ্রের পরিদর্শিকা নিজ খেয়াল খুশি মতো পরিচালনা করেন এবং সেবা গ্রহীতারা নানান তার এহেনো অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।আরো বলেন আমরা চাই প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষ তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এদিকে মিঠাপুকুরের ৪নং ভাংনী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিবার কেন্দ্রটির মনিটর ফিল্ড অফিসার বাসায় নিয়ে ব্যবহার করেন, এই শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর উক্ত ফিল্ড অফিসার একটি নষ্ট মনিটর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ফেরত দিয়ে যান। ৫ নং বালারহাট ৭ নং লতিফপুর ১২ নং মিলনপুরের একই চিত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিঠাপুকুর উপজেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে নিশ্চিত করেন,একটি অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে অভিযোগের সত্যতা জানতে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা- ইসমোতারা বেগমের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি তিনি।