ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির পটুয়াখালীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ রেজিষ্ট্রি অফিসের দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভাঙতে পদক্ষেপ, কর্মকর্তাকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৭ ডিএমসিআরএস এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুখপাত্র হলেন আবিদ দুর্গাপুরে ইউএনও সাবরিনা শারমিনের সাহসী ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পাবনা র‍্যাবের অভিযানে ২১ গ্রাম হেরোইনসহ ০১জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভোলায় জেলে চাল চুরির দায়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন

জকিগঞ্জের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; module: video; hw-remosaic: false; touch: (-1.0, -1.0); sceneMode: 0; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 175.109; aec_lux_index: 0; albedo: ; confidence: ; motionLevel: -1; weatherinfo: null; temperature: 42;

সিলেটের জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে যাওয়ার কারণে সময় সময় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, জকিগঞ্জ-শেওলা সড়ক, জকিগঞ্জ-সিলেট সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জকিগঞ্জ পৌরসভার একটি অংশসহ উপজেলার প্রায় ৮টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে বেশি প্লাবিত হয়েছে জকিগঞ্জ, খলাছড়া, বিরশ্রী ও কাজলসার ইউপির লোকজন। এতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক লোকজন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন।

এ অবস্থায় উপজেলায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে শতাধিক পারিবার ঠাঁই নিয়েছেন। নদীতে পানি কিছুটা কমলেও লোকালয়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনো উপজেলার কোথাও কোথাও ডাইক উপচে লোকালয়ে পানি আসছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভারত সীমান্তবর্তী ভারতের বরাক নদ থেকে প্রবল বেগে পানি এসে আমলশীদ ত্রীমোহনা দিয়ে জকিগঞ্জের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে ঢুকছে। এতে উপজেলার অনেক এলাকার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জকিগঞ্জ শেওলা-সিলেট ও জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বন্যা কবলিত এলাকার মাছের ঘের, ফিসারি ও পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত পশু পাখির খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেকের ঘরে কোমর পানিতে ডুবে গেছে। বিশুদ্ধ পানিরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

জকিগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসনিম জানান, বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে এসে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহবান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫৫ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ টন বিতরণ করা হয়েছে। ২শ শুকনো খাবারের প্যাকেটও বিতরণ হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জেলা প্রশাসককে চাহিদা জানিয়েছেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির

জকিগঞ্জের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

আপডেট সময় ১০:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

সিলেটের জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে যাওয়ার কারণে সময় সময় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, জকিগঞ্জ-শেওলা সড়ক, জকিগঞ্জ-সিলেট সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জকিগঞ্জ পৌরসভার একটি অংশসহ উপজেলার প্রায় ৮টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে বেশি প্লাবিত হয়েছে জকিগঞ্জ, খলাছড়া, বিরশ্রী ও কাজলসার ইউপির লোকজন। এতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক লোকজন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন।

এ অবস্থায় উপজেলায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে শতাধিক পারিবার ঠাঁই নিয়েছেন। নদীতে পানি কিছুটা কমলেও লোকালয়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনো উপজেলার কোথাও কোথাও ডাইক উপচে লোকালয়ে পানি আসছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভারত সীমান্তবর্তী ভারতের বরাক নদ থেকে প্রবল বেগে পানি এসে আমলশীদ ত্রীমোহনা দিয়ে জকিগঞ্জের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে ঢুকছে। এতে উপজেলার অনেক এলাকার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জকিগঞ্জ শেওলা-সিলেট ও জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বন্যা কবলিত এলাকার মাছের ঘের, ফিসারি ও পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত পশু পাখির খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেকের ঘরে কোমর পানিতে ডুবে গেছে। বিশুদ্ধ পানিরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

জকিগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসনিম জানান, বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে এসে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহবান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫৫ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ টন বিতরণ করা হয়েছে। ২শ শুকনো খাবারের প্যাকেটও বিতরণ হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জেলা প্রশাসককে চাহিদা জানিয়েছেন।