ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির পটুয়াখালীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ রেজিষ্ট্রি অফিসের দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভাঙতে পদক্ষেপ, কর্মকর্তাকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৭ ডিএমসিআরএস এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুখপাত্র হলেন আবিদ দুর্গাপুরে ইউএনও সাবরিনা শারমিনের সাহসী ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পাবনা র‍্যাবের অভিযানে ২১ গ্রাম হেরোইনসহ ০১জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভোলায় জেলে চাল চুরির দায়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন

লৌহজংয়ে পদ্মার রুদ্রমূর্তি, ৩ দিনে বিলীন ৭০ বসতঘর

মুন্সীগঞ্জে রিমালের প্রভাবে উত্তাল পদ্মায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে তিন দিনে লৌহজংয়ের ৫টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ৭০টি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা জানিয়েছেন, বর্ষার শুরুতেই পদ্মায় কমবেশি ভাঙন দেখা দিলেও ৩ দিন ধরে পদ্মা যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। বর্তমানে ভাঙনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়ন, বেজগাঁও ইউনিয়ন, লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়ন ও কনকসার ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

গাঁওদিয়া ইউনিয়নের মেম্বার মো. রশিদ শিকদার জানান, রিমালের প্রভাবে পদ্মা হঠাৎ ফুঁসে উঠেছে। সোমবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনে পদ্মার ভাঙনে শুধু গাঁওদিয়া ইউনিয়নের হারিদিয়া গ্রামে অর্ধশতাধিক বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অসময়ে পদ্মার হঠাৎ ভাঙনের কবলে পরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পদ্মার তীরবর্তী বাসিন্দারা। বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অর্ধশতাধিক পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙনকবলিত এলাকায় তিন দিন ধরেই স্থানীয় মেম্বার ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্তদের দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অন্যদিকে লৌহজং-তেউটিয়া, বেজগাঁও ও কনকসার ইউনিয়নের আরও ২০টি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মার প্রবল স্রোত আর উত্তাল ঢেউয়ের কারণে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম মোল্লা জানান, বছরজুড়ে পদ্মার কমবেশি ভাঙন চলছে। তবে স্থানীয় এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি চারশ ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ আনেন মন্ত্রণালয় থেকে। কাজের ধীরগতির কারণে ও অপরিকল্পিতভাবে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার কারণে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদ্দুজামান, মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম, লৌহজং উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বিএম শোয়েব, উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন পদ্মার ভাঙন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

উপস্থিত এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, চলমান কাজের ৪৭ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। তবে আপৎকালীন সময়ের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদ্মায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার জন্য ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

দিকে পদ্মার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির

লৌহজংয়ে পদ্মার রুদ্রমূর্তি, ৩ দিনে বিলীন ৭০ বসতঘর

আপডেট সময় ১২:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

মুন্সীগঞ্জে রিমালের প্রভাবে উত্তাল পদ্মায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে তিন দিনে লৌহজংয়ের ৫টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ৭০টি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা জানিয়েছেন, বর্ষার শুরুতেই পদ্মায় কমবেশি ভাঙন দেখা দিলেও ৩ দিন ধরে পদ্মা যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। বর্তমানে ভাঙনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়ন, বেজগাঁও ইউনিয়ন, লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়ন ও কনকসার ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

গাঁওদিয়া ইউনিয়নের মেম্বার মো. রশিদ শিকদার জানান, রিমালের প্রভাবে পদ্মা হঠাৎ ফুঁসে উঠেছে। সোমবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনে পদ্মার ভাঙনে শুধু গাঁওদিয়া ইউনিয়নের হারিদিয়া গ্রামে অর্ধশতাধিক বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অসময়ে পদ্মার হঠাৎ ভাঙনের কবলে পরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পদ্মার তীরবর্তী বাসিন্দারা। বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অর্ধশতাধিক পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙনকবলিত এলাকায় তিন দিন ধরেই স্থানীয় মেম্বার ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্তদের দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অন্যদিকে লৌহজং-তেউটিয়া, বেজগাঁও ও কনকসার ইউনিয়নের আরও ২০টি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মার প্রবল স্রোত আর উত্তাল ঢেউয়ের কারণে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম মোল্লা জানান, বছরজুড়ে পদ্মার কমবেশি ভাঙন চলছে। তবে স্থানীয় এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি চারশ ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ আনেন মন্ত্রণালয় থেকে। কাজের ধীরগতির কারণে ও অপরিকল্পিতভাবে জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার কারণে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদ্দুজামান, মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম, লৌহজং উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বিএম শোয়েব, উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন পদ্মার ভাঙন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।

উপস্থিত এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, চলমান কাজের ৪৭ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। তবে আপৎকালীন সময়ের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদ্মায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলার জন্য ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

দিকে পদ্মার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।