ঢাকা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির পটুয়াখালীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ রেজিষ্ট্রি অফিসের দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভাঙতে পদক্ষেপ, কর্মকর্তাকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৭ ডিএমসিআরএস এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুখপাত্র হলেন আবিদ দুর্গাপুরে ইউএনও সাবরিনা শারমিনের সাহসী ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পাবনা র‍্যাবের অভিযানে ২১ গ্রাম হেরোইনসহ ০১জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভোলায় জেলে চাল চুরির দায়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রেমে বাধা দেওয়ায় বাবা-ভাইকে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করল মেয়ে, অতঃপর…

ভারতে আট বছর বয়সী এক ভাই ও তার বাবাকে হত্যা করেছে ১৫ বছর বয়সী এক মেয়ে। এরপর পিতা ও ভাইয়ের লাশ একটি ফ্রিজে রেখে পালিয়েছিল সে। ঘটনার কমপক্ষে দুই মাস পরে তাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করেছে পুলিশ। খবর

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশে ওই কিশোরী তার পিতা ও এক ভাইকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রেখে পালায়। কিন্তু বুধবার হরিদ্বারের পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশের মতে, ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে। সেই সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিলেন না তার পিতা। এর ফলে ওই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে সে তার বাবাকে হত্যা করে। তারপর লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে।

এমন সময় ঘুম থেকে জেগে যায় তার আট বছর বয়সী ভাই এবং সে দেখে ফেলে। ফলে তাকে হত্যা করে তারা। এরপর বাড়ির বাইরে তালা মেরে তারা পালিয়ে যায়। এমন অবস্থায় ওই বালিকার বাড়িতে ১৫ই মার্চ সকালে যায় পুলিশ। তখনই এই ডাবল মার্ডারের কাহিনী সামনে আসে। পুলিশ এদিন ওই বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ফ্রিজ থেকে তার পিতা ও ভাইয়ের টুকরো টুকরো করা দেহ উদ্ধার করে।

হরিদ্বারের এসএসপি পারমেদ্রা দোভাল বলেন, ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে হরিদ্বারের ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল ওই মেয়ে। এ সময় পুলিশ দেখে তারা সরে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের নজর পড়ে যায় তাদের দিকে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এটাই ওই বালিকা।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই বালিকা জানায়- পিতা ও এক ভাইকে মধ্যপ্রদেশের জাবালপুরে হত্যার জন্য দায়ী সে। এ নিয়ে পুলিশ যোগাযোগ করে জাবালপুর পুলিশের সঙ্গে। তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপরই আটক করা হয় ওই বালিকাকে। তাকে জাবালপুর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা।
ওদিকে এই হত্যাকাণ্ডের আগেই ১৯ বছর বয়সী কিশোরের বিরুদ্ধে ওই বালিকা গত বছর একটি অভিযোগ দিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা আছে প্রটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস আইনে। এ অভিযোগে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। সে জেল খাটে। পরে জামিনে মুক্তি পায়। ডাবল মার্ডারে তার ভূমিকা আছে এমনটা মনে করে পুলিশ।

পরে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পায় ঘটনার সময় তারা দু’জন একসঙ্গে ছিল। হত্যার পর তাদেরকে দেখা যায় মদন মহল রেলস্টেশনে। সেখানে তারা বাহন পরিবর্তন করে একটি অটোরিকশা নেয়। ছুটে যায় বাসস্ট্যান্ডের দিকে। এরপর জাবালপুর থেকে পালাতে একটি বাসে উঠে বসে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির

প্রেমে বাধা দেওয়ায় বাবা-ভাইকে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করল মেয়ে, অতঃপর…

আপডেট সময় ১১:৫৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

ভারতে আট বছর বয়সী এক ভাই ও তার বাবাকে হত্যা করেছে ১৫ বছর বয়সী এক মেয়ে। এরপর পিতা ও ভাইয়ের লাশ একটি ফ্রিজে রেখে পালিয়েছিল সে। ঘটনার কমপক্ষে দুই মাস পরে তাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করেছে পুলিশ। খবর

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশে ওই কিশোরী তার পিতা ও এক ভাইকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রেখে পালায়। কিন্তু বুধবার হরিদ্বারের পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশের মতে, ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে। সেই সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিলেন না তার পিতা। এর ফলে ওই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে সে তার বাবাকে হত্যা করে। তারপর লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে।

এমন সময় ঘুম থেকে জেগে যায় তার আট বছর বয়সী ভাই এবং সে দেখে ফেলে। ফলে তাকে হত্যা করে তারা। এরপর বাড়ির বাইরে তালা মেরে তারা পালিয়ে যায়। এমন অবস্থায় ওই বালিকার বাড়িতে ১৫ই মার্চ সকালে যায় পুলিশ। তখনই এই ডাবল মার্ডারের কাহিনী সামনে আসে। পুলিশ এদিন ওই বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ফ্রিজ থেকে তার পিতা ও ভাইয়ের টুকরো টুকরো করা দেহ উদ্ধার করে।

হরিদ্বারের এসএসপি পারমেদ্রা দোভাল বলেন, ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে হরিদ্বারের ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল ওই মেয়ে। এ সময় পুলিশ দেখে তারা সরে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের নজর পড়ে যায় তাদের দিকে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এটাই ওই বালিকা।

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই বালিকা জানায়- পিতা ও এক ভাইকে মধ্যপ্রদেশের জাবালপুরে হত্যার জন্য দায়ী সে। এ নিয়ে পুলিশ যোগাযোগ করে জাবালপুর পুলিশের সঙ্গে। তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপরই আটক করা হয় ওই বালিকাকে। তাকে জাবালপুর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা।
ওদিকে এই হত্যাকাণ্ডের আগেই ১৯ বছর বয়সী কিশোরের বিরুদ্ধে ওই বালিকা গত বছর একটি অভিযোগ দিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা আছে প্রটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস আইনে। এ অভিযোগে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। সে জেল খাটে। পরে জামিনে মুক্তি পায়। ডাবল মার্ডারে তার ভূমিকা আছে এমনটা মনে করে পুলিশ।

পরে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পায় ঘটনার সময় তারা দু’জন একসঙ্গে ছিল। হত্যার পর তাদেরকে দেখা যায় মদন মহল রেলস্টেশনে। সেখানে তারা বাহন পরিবর্তন করে একটি অটোরিকশা নেয়। ছুটে যায় বাসস্ট্যান্ডের দিকে। এরপর জাবালপুর থেকে পালাতে একটি বাসে উঠে বসে।