‘জনবিচ্ছিন্ন নেতৃত্বের কারণে ভোটের প্রতি সাধারণ নাগরিকদের অনীহা বাড়ছে। ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ যে কমে যাচ্ছে, সেজন্য জনবিচ্ছিন্ন নেতৃত্ব মূল দায়ী’ এমনটাই দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করলেন কামরুল হাসান খোকন।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব ভবনের ভিআইপি হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল চেতনার পরিপন্থিভাবে হয়েছে। নির্বাচনে ‘আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থী নয়া মৌলভী সেজে মসজিদে মসজিদে গিয়ে ভোট চেয়েছেন, আরেকজন মন্দিরে গিয়ে ভোট চেয়েছেন।’ ওরা দুজনেই আবার আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতা। দুই প্রার্থী ধর্মীয় ভাবাবেগের চরম সুড়সুড়ি দিয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন; যা আওয়ামী লীগ রাজনীতির পরিপন্থি।
‘ভোট পড়ছে ৩০০, পরে হয়ে যাচ্ছে ৩০০০’- এমন বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন কামরুল হাসান খোকন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কামরুল হাসান খোকন বলেন, কম্যুনাল পয়েন্টে ছাড়াও ভোটারদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল এবারের উপজেলা নির্বাচনে। একজন সংসদ সদস্য দাম্ভিকতার সঙ্গে তার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় সুবিধাভোগীদের ভাতা (বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিটি কার্যক্রম, টিসিবিসহ বিভিন্ন সুবিধাদি) বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করেছেন; যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি।
সংবাদ সম্মেলনে কামরুল হাসান ঠাকুরগাঁওয়ের মাদকের ভয়াবহতা, কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রবণতাসহ সরকারি-বেসরকারি ভূমিগ্রাসের চিত্র তুলে ধরে উত্তর জনপদের এ জেলার সম্ভাবনাময় দিক নিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন তিনি।