ঢাকা ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির পটুয়াখালীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ রেজিষ্ট্রি অফিসের দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভাঙতে পদক্ষেপ, কর্মকর্তাকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৭ ডিএমসিআরএস এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুখপাত্র হলেন আবিদ দুর্গাপুরে ইউএনও সাবরিনা শারমিনের সাহসী ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পাবনা র‍্যাবের অভিযানে ২১ গ্রাম হেরোইনসহ ০১জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভোলায় জেলে চাল চুরির দায়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন

মদের দোকানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপপরিচালক অবরুদ্ধ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অনুমোদিত দেশীয় মদের দোকানে (পাট্টায়) চাঁদা দাবি করায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপপরিচালক মিজানুর রহমান শরীফসহ ৫-৭ জনকে একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। উপজেলার লংলা চা বাগানে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

বাগানের শ্রমিকসহ দোকানের মালিক তাদের ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। ওই মদের দোকানের মালিক নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজু কালোয়ারের ভাই সাজু কালোয়ার মিটুন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপপরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ ও মাদকদ্রব্যের সহকারী প্রসিকিউটর সোয়েব রহমানের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় পরিদর্শনের নামে সেখানে অভিযান চালানো হয়। তারা দোকান মালিক মিটুনের কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে মদের পাট্টাটি সিলগালা করে দেওয়ার হুমকি দেন মিজানুর রহমান।

এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মিঠুনের ওপর চড়াও হন ওই মাদকদ্রব্য কর্মকর্তা। এতে উপস্থিত মদপায়ী চা শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। চাঁদা দাবির কথা শুনে তারা মাদকদ্রব্য টিমকে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেই সময় মাদকদ্রব্য টিমকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উপপরিচালক মিজানুর রহমান পরিদর্শনের একটি লিখিত দেন। কিন্তু উত্তেজিত শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন। পরে রাত ১০টার দিকে এসআই আমির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করে তাদের উদ্ধার করেন।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপপরিচালক মিজানুর রহমান বিষয়টি তেমন কিছু নয় দাবি করে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। জেলায় অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে বলে অহমিকা দেখান।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. ঊর্মি বিনতে সালাম জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ জানাননি। তবে খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে মিজানুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে ঘুস চাওয়ার অভিযোগ এনে চা-বাগানের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা মহাপরিচালককে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির

মদের দোকানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপপরিচালক অবরুদ্ধ

আপডেট সময় ১০:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অনুমোদিত দেশীয় মদের দোকানে (পাট্টায়) চাঁদা দাবি করায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের উপপরিচালক মিজানুর রহমান শরীফসহ ৫-৭ জনকে একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। উপজেলার লংলা চা বাগানে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

বাগানের শ্রমিকসহ দোকানের মালিক তাদের ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। ওই মদের দোকানের মালিক নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজু কালোয়ারের ভাই সাজু কালোয়ার মিটুন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপপরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ ও মাদকদ্রব্যের সহকারী প্রসিকিউটর সোয়েব রহমানের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় পরিদর্শনের নামে সেখানে অভিযান চালানো হয়। তারা দোকান মালিক মিটুনের কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে মদের পাট্টাটি সিলগালা করে দেওয়ার হুমকি দেন মিজানুর রহমান।

এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মিঠুনের ওপর চড়াও হন ওই মাদকদ্রব্য কর্মকর্তা। এতে উপস্থিত মদপায়ী চা শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। চাঁদা দাবির কথা শুনে তারা মাদকদ্রব্য টিমকে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেই সময় মাদকদ্রব্য টিমকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উপপরিচালক মিজানুর রহমান পরিদর্শনের একটি লিখিত দেন। কিন্তু উত্তেজিত শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন। পরে রাত ১০টার দিকে এসআই আমির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করে তাদের উদ্ধার করেন।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপপরিচালক মিজানুর রহমান বিষয়টি তেমন কিছু নয় দাবি করে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। জেলায় অনেক সাংবাদিকের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে বলে অহমিকা দেখান।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. ঊর্মি বিনতে সালাম জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ জানাননি। তবে খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে মিজানুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে ঘুস চাওয়ার অভিযোগ এনে চা-বাগানের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা মহাপরিচালককে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।