হজযাত্রীদের জন্য সমন্বিত চিকিৎসক দলে ৯ জনের সৌদি আরব যাত্রার ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তারা আর হজ চিকিৎসক দলের সঙ্গে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিকে পৃথক একটি রিটের আদেশে মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট হয়ে নার্স হিসাবে তালিকাভুক্ত আরও তিনজনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আপিল বিভাগে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সরদার আবুল হোসেন, মিজানুর রহমান ও ওয়াজি উল্লাহ মিয়া। অন্যদিকে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসেন খান। এই নিয়ে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
হজ পালনে সৌদি আরবে যাওয়া বাংলাদেশিদের চিকিৎসাসেবা দিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় সমন্বিত হজ চিকিৎসক দল গঠন করে গত ৯ এপ্রিল। ১৮৯ জনের এই বহরে ৫৫ জন নার্স ছিলেন। এর মধ্যে তিনজন নার্সই নন। আবার কারও বয়স নির্ধারিত সীমার বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম করে একাধিকবার চিকিৎসক দলে সৌদি যাওয়া ব্যক্তিদের নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য সচিব ও ধর্ম সচিব বরাবর অভিযোগ করেন বিএনএ সভাপতি সিনিয়র স্টাফ নার্স খান মো. গোলাম মোরশেদ। অভিযোগ নিষ্পত্তি না করায় গোলাম মোরশেদ ১৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেন।
তাতে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে ৯ জনের সৌদি গমন স্থগিত করেন। এর বিরুদ্ধে পাঁচ নার্স ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে পৃথক আবেদন করে। তবে চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। পরবর্তীতে তারা বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগে ওঠে।
রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসাইন খান বলেন, ৯ জনের বাছাই হজ নীতিমালা অনুযায়ী হয়নি। তাদের মধ্যে ছয়জনের বয়স ৫৫ বছরের বেশি ও একাধিকবার হজ চিকিৎসক দলের সঙ্গে গেছেন। আর তিনজন নার্সই নন। হাইকোর্ট ৯ জনের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। আপিল বিভাগ তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তাই সমন্বিত হজ চিকিৎসক দলের সঙ্গে তাদের যাওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকল না।