ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির পটুয়াখালীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ রেজিষ্ট্রি অফিসের দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভাঙতে পদক্ষেপ, কর্মকর্তাকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৭ ডিএমসিআরএস এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুখপাত্র হলেন আবিদ দুর্গাপুরে ইউএনও সাবরিনা শারমিনের সাহসী ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পাবনা র‍্যাবের অভিযানে ২১ গ্রাম হেরোইনসহ ০১জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ভোলায় জেলে চাল চুরির দায়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফের ভুয়া বিল ও কমিশন বাণিজ্য

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, ভুয়া বিল, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাজ ভাগাভাগি করে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৌশলী ইউসুফ আওয়ামী বিরোধী বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্রকৌশলীদের ঠিকাদারদের মাধ্যমে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। এসব সিন্ডিকেটের অন্যতম প্রকৌশলী ইউসুফ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তিনি কমিশন ছাড়া কাজ করেন না এবং নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখেন।

ইউসুফের বিরুদ্ধে কাজ না করেই অনেক প্রকল্প থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বেশির ভাগ টাকা নিয়েছেন এবং বাকিটা সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন বলে জানা গেছে। ইতঃপূর্বে ইউসুফের বিরুদ্ধে একজন ঠিকাদার পাওনা আদায়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছিল। তারপর তড়িঘড়ি করে ওই ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করেছিল বলে জানা গেছে। অভিযোগ আছে, ওই ঠিকাদারকে থানার অভিযোগ উঠিয়ে নিতে বাধ্য করেন ইউসুফ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, মোঃ ইউসুফ মূলত নিজস্ব সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকেন, ফলে কাজ না করে বা কাজ বেশি দেখিয়ে বিল উঠালেও প্রমাণ গায়েব করতে সহজ হয়।

ঠিকাদার বিহারী কাওসার এবং নাজমা এন্টারপ্রাইজ এর সাথে ইউসুফের সখ্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, আগারগাঁও এ সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পে একজন ঠিকাদারের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে বিল আটকিয়ে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেছে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ।

জানা যায়, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর শামিম আক্তারের অত্যন্ত আস্থাভাজন মো. ইউসুফ। তার তৈরি করা সিন্ডিকেট গণপূর্ত অধিদপ্তরে এতটাই ক্ষমতাধর হয়ে উঠেছে যে তাহারা ধরাকে সরাজ্ঞান করেছে। নিয়োগ, বদলি ও পদায়ন এসবের নেপথ্য ভূমিকা রাখে এই সিন্ডিকেট। শত শত কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে এরা সাপণ্ডলুডু খেলছে। কমিশনের বিনিময় সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের কাজ দিতে তৎপর এসব সিন্ডিকেট।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে, একাধিক বার ফোন করলেও প্রকৌশলী মো. ইউসুফ ফোন রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপ ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তার উত্তর দেননি।

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আক্তার বলেন, কেউ দুর্নীতি করলে তা সমর্থনযোগ্য নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকৌশলী ইউসুফ অফিসে বসেন না বা কারো ফোন ধরেন না এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, অবশ্যই অফিসে বসা উচিত এবং আত্মপক্ষের সমর্থন হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া সবারই দায়িত্ব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফের ভুয়া বিল ও কমিশন বাণিজ্য

আপডেট সময় ১২:০১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, ভুয়া বিল, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাজ ভাগাভাগি করে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৌশলী ইউসুফ আওয়ামী বিরোধী বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্রকৌশলীদের ঠিকাদারদের মাধ্যমে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। এসব সিন্ডিকেটের অন্যতম প্রকৌশলী ইউসুফ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তিনি কমিশন ছাড়া কাজ করেন না এবং নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখেন।

ইউসুফের বিরুদ্ধে কাজ না করেই অনেক প্রকল্প থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বেশির ভাগ টাকা নিয়েছেন এবং বাকিটা সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন বলে জানা গেছে। ইতঃপূর্বে ইউসুফের বিরুদ্ধে একজন ঠিকাদার পাওনা আদায়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছিল। তারপর তড়িঘড়ি করে ওই ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করেছিল বলে জানা গেছে। অভিযোগ আছে, ওই ঠিকাদারকে থানার অভিযোগ উঠিয়ে নিতে বাধ্য করেন ইউসুফ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, মোঃ ইউসুফ মূলত নিজস্ব সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকেন, ফলে কাজ না করে বা কাজ বেশি দেখিয়ে বিল উঠালেও প্রমাণ গায়েব করতে সহজ হয়।

ঠিকাদার বিহারী কাওসার এবং নাজমা এন্টারপ্রাইজ এর সাথে ইউসুফের সখ্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, আগারগাঁও এ সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পে একজন ঠিকাদারের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে বিল আটকিয়ে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেছে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ।

জানা যায়, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর শামিম আক্তারের অত্যন্ত আস্থাভাজন মো. ইউসুফ। তার তৈরি করা সিন্ডিকেট গণপূর্ত অধিদপ্তরে এতটাই ক্ষমতাধর হয়ে উঠেছে যে তাহারা ধরাকে সরাজ্ঞান করেছে। নিয়োগ, বদলি ও পদায়ন এসবের নেপথ্য ভূমিকা রাখে এই সিন্ডিকেট। শত শত কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে এরা সাপণ্ডলুডু খেলছে। কমিশনের বিনিময় সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের কাজ দিতে তৎপর এসব সিন্ডিকেট।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে, একাধিক বার ফোন করলেও প্রকৌশলী মো. ইউসুফ ফোন রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপ ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তার উত্তর দেননি।

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আক্তার বলেন, কেউ দুর্নীতি করলে তা সমর্থনযোগ্য নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকৌশলী ইউসুফ অফিসে বসেন না বা কারো ফোন ধরেন না এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, অবশ্যই অফিসে বসা উচিত এবং আত্মপক্ষের সমর্থন হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া সবারই দায়িত্ব।