ঢাকা ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

গাজা ইস্যুতে বন্ধু হারাচ্ছে ইসরাইল, বিপাকে নেতানিয়াহু

রাফায় হামলা হলে বহু ফিলিস্তিনির মৃত্যুর আশঙ্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি মাসে ইসরাইলে বোমা পাঠানো স্থগিত করেন। তবে এই বোমা ছাড় করতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে সম্প্রতি একটি বিল পাস হয়েছে। আইনে পরিণত হতে বিলটি এখন সিনেটে যাওয়ার কথা। তবে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়া বাইডেন নিজেও বলেছেন, তিনি এই বিলে ভেটো দেবেন।

এরপরও ইসরাইল মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে রয়েছে। যদিও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। গাজা ইস্যুতে ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিঞ্জামিন নেতানিয়াহু। চলমান পরিস্থিতিতে পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকলেও ইউরোপে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে ইসরাইলের। নেতানিয়াহুর পশ্চিমা বন্ধুরা এখন তার টুঁটি চেপে ধরেছেন। তাই বুঝি শেষ রক্ষা হচ্ছে না ক্ষমতার লোভে মসনদ আঁকড়ে থাকা নেতানিয়াহুর।

বিশ্ব একদিকে আর নেতানিয়াহু অন্যদিকে। কারও কথা গায়েই মাখছেন না তিনি। গাজায় নিরপরাধ নারী ও শিশুসহ প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার কুশীলব নেতানিয়াহুকে, কেউই যেন থামাতে পারছে না। তবে বিশ্বজুড়ে চাপ বাড়ছে নেতানিয়াহুর ওপর। ঘরের ভেতরও জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। এবার সম্ভবত সবচেয়ে বড় ধাক্কাটাই খেতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু।

সম্প্রতি ইসরাইলি সরকারকে একটি চিঠি লিখেছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার ওই চিঠিটি দেখেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গাজায় যেন আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে ইসরাইল। আর মানবিক সহায়তা নিশ্চিতেও ইসরাইলি সরকারকে চাপ দিয়েছে বিশ্বের শক্তিশালী এসব দেশ। তাই মনে করা হচ্ছে, এবার ভালোই চাপে পড়বেন নেতানিয়াহু।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ফোরাম, গ্রুপ সেভেনের সদস্য দেশ- কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্য ওই চিঠিতে সই করেছে। তবে পিঠ টান দিয়েছে গ্রুপের অন্যতম সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপ সেভেনের বাইরেও অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড চিঠিতে সই করেছে। এসব দেশের অধিকাংশের কাছ থেকেই অস্ত্র আমদানি করে ইসরাইল।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নেতানিয়াহু সরকার। সেখানে থাকা হামাসের যোদ্ধাদের নির্মূল করতে চায় তেল আবিব। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, এতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। কেননা গেল প্রায় সাত মাস ধরে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলি হামলার কারণে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছে।

চিঠিতে ইসরাইলের পশ্চিমা মিত্ররা জানায়, নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে গেলেও দেশটিকে পুরোপুরিভাবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতর ঢুকে হামাসের হামলার ঘটনার পর একই মাসের শেষদিকে নেতানিয়াহু প্রশাসন পাল্টা পদক্ষেপ নেয়, তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাফায় পূর্ণমাত্রার অভিযানের বিরোধী। একই সঙ্গে গাজার জনগোষ্ঠীর কাছে যেন ত্রাণ পৌঁছে সেটাও নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে তারা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

গাজা ইস্যুতে বন্ধু হারাচ্ছে ইসরাইল, বিপাকে নেতানিয়াহু

আপডেট সময় ০৩:১১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

রাফায় হামলা হলে বহু ফিলিস্তিনির মৃত্যুর আশঙ্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি মাসে ইসরাইলে বোমা পাঠানো স্থগিত করেন। তবে এই বোমা ছাড় করতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে সম্প্রতি একটি বিল পাস হয়েছে। আইনে পরিণত হতে বিলটি এখন সিনেটে যাওয়ার কথা। তবে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়া বাইডেন নিজেও বলেছেন, তিনি এই বিলে ভেটো দেবেন।

এরপরও ইসরাইল মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে রয়েছে। যদিও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। গাজা ইস্যুতে ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিঞ্জামিন নেতানিয়াহু। চলমান পরিস্থিতিতে পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকলেও ইউরোপে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে ইসরাইলের। নেতানিয়াহুর পশ্চিমা বন্ধুরা এখন তার টুঁটি চেপে ধরেছেন। তাই বুঝি শেষ রক্ষা হচ্ছে না ক্ষমতার লোভে মসনদ আঁকড়ে থাকা নেতানিয়াহুর।

বিশ্ব একদিকে আর নেতানিয়াহু অন্যদিকে। কারও কথা গায়েই মাখছেন না তিনি। গাজায় নিরপরাধ নারী ও শিশুসহ প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার কুশীলব নেতানিয়াহুকে, কেউই যেন থামাতে পারছে না। তবে বিশ্বজুড়ে চাপ বাড়ছে নেতানিয়াহুর ওপর। ঘরের ভেতরও জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। এবার সম্ভবত সবচেয়ে বড় ধাক্কাটাই খেতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু।

সম্প্রতি ইসরাইলি সরকারকে একটি চিঠি লিখেছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার ওই চিঠিটি দেখেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গাজায় যেন আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে ইসরাইল। আর মানবিক সহায়তা নিশ্চিতেও ইসরাইলি সরকারকে চাপ দিয়েছে বিশ্বের শক্তিশালী এসব দেশ। তাই মনে করা হচ্ছে, এবার ভালোই চাপে পড়বেন নেতানিয়াহু।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ফোরাম, গ্রুপ সেভেনের সদস্য দেশ- কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্য ওই চিঠিতে সই করেছে। তবে পিঠ টান দিয়েছে গ্রুপের অন্যতম সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপ সেভেনের বাইরেও অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড চিঠিতে সই করেছে। এসব দেশের অধিকাংশের কাছ থেকেই অস্ত্র আমদানি করে ইসরাইল।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নেতানিয়াহু সরকার। সেখানে থাকা হামাসের যোদ্ধাদের নির্মূল করতে চায় তেল আবিব। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, এতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। কেননা গেল প্রায় সাত মাস ধরে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলি হামলার কারণে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছে।

চিঠিতে ইসরাইলের পশ্চিমা মিত্ররা জানায়, নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে গেলেও দেশটিকে পুরোপুরিভাবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতর ঢুকে হামাসের হামলার ঘটনার পর একই মাসের শেষদিকে নেতানিয়াহু প্রশাসন পাল্টা পদক্ষেপ নেয়, তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলকে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, তারা রাফায় পূর্ণমাত্রার অভিযানের বিরোধী। একই সঙ্গে গাজার জনগোষ্ঠীর কাছে যেন ত্রাণ পৌঁছে সেটাও নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে তারা।