ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১

সোমালিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে কী কথা হলো, মুখ খুলছে না মালিকপক্ষ

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

বুধবার জলদস্যুরা যোগাযোগ করে বলে জাহাজের মালিকপক্ষ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বুধবার দুপুরে বলেন, ‘জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করেছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।’

জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জলদস্যুরা যোগাযোগ করে। তাদের সঙ্গে এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জলদস্যুদের যোগাযোগ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আলাপ-আলোচনার একটা পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ হলো। মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক লবিস্টদের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করে রেখেছি, যাতে এ ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ না হয়।’

১২ মার্চ থেকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি হন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের আরেক জাহাজ জাহান মনি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেবার জাহাজ ছিনতাইয়ের আট দিনের মাথায় যোগাযোগ করেছিল দস্যুরা। ১০০ দিন জিম্মিদশার পর মুক্ত হয়েছিল জাহাজটি ও এর নাবিকেরা। সেই দলে ছিলেন নাবিক মো. ইদ্রিসও। বুধবার জলদস্যুদের যোগাযোগের বিষয়টিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।

তিনি বলেছেন, জিম্মিদের পরিবারে এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে।

একই ধরনের কথা বলেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনও। সংগঠনটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, জাহান মনি তো ১০০ দিনে মুক্ত হয়েছিল। এমভি আবদুল্লাহ কত দিনে মুক্ত হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এর আগে গত শনিবার এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সেদিন রাত ৮টায় জিম্মি এক নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের কথা হয়। জাহাজের সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছেন। এদিকে শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করে। গত ডিসেম্বরে জলদস্যুরা ওই জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাতে কমান্ডো অভিযানে ১৭ নাবিককে মুক্ত এবং ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর পর এমভি আবদুল্লাহকেও উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌ সেনা ও সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড পুলিশের যৌথ অভিযানের প্রস্তুতির কথা গণমাধ্যমে আসে। তবে এ ধরনের অভিযানের বিপক্ষে ছিল এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ। তাদের মতে, এ ধরনের অভিযান বিপজ্জনক হতে পারে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ

সোমালিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে কী কথা হলো, মুখ খুলছে না মালিকপক্ষ

আপডেট সময় ১২:২৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

বুধবার জলদস্যুরা যোগাযোগ করে বলে জাহাজের মালিকপক্ষ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

জানতে চাইলে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বুধবার দুপুরে বলেন, ‘জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করেছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।’

জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জলদস্যুরা যোগাযোগ করে। তাদের সঙ্গে এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জলদস্যুদের যোগাযোগ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আলাপ-আলোচনার একটা পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ হলো। মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক লবিস্টদের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করে রেখেছি, যাতে এ ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ না হয়।’

১২ মার্চ থেকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি হন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের আরেক জাহাজ জাহান মনি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেবার জাহাজ ছিনতাইয়ের আট দিনের মাথায় যোগাযোগ করেছিল দস্যুরা। ১০০ দিন জিম্মিদশার পর মুক্ত হয়েছিল জাহাজটি ও এর নাবিকেরা। সেই দলে ছিলেন নাবিক মো. ইদ্রিসও। বুধবার জলদস্যুদের যোগাযোগের বিষয়টিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।

তিনি বলেছেন, জিম্মিদের পরিবারে এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে।

একই ধরনের কথা বলেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনও। সংগঠনটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, জাহান মনি তো ১০০ দিনে মুক্ত হয়েছিল। এমভি আবদুল্লাহ কত দিনে মুক্ত হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এর আগে গত শনিবার এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সেদিন রাত ৮টায় জিম্মি এক নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের কথা হয়। জাহাজের সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছেন। এদিকে শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করে। গত ডিসেম্বরে জলদস্যুরা ওই জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাতে কমান্ডো অভিযানে ১৭ নাবিককে মুক্ত এবং ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর পর এমভি আবদুল্লাহকেও উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌ সেনা ও সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড পুলিশের যৌথ অভিযানের প্রস্তুতির কথা গণমাধ্যমে আসে। তবে এ ধরনের অভিযানের বিপক্ষে ছিল এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ। তাদের মতে, এ ধরনের অভিযান বিপজ্জনক হতে পারে।