ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১

সন্ত্রাসী কায়দায় রেস্তোরাঁ ভাঙচুর ও সিলগালা করা হচ্ছে: মালিক সমিতি

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছেন, সন্ত্রাসী কায়দায় রেস্তোরাঁ ভাঙচুর ও সিলগালা করা হচ্ছে। অথচ সরকারি যেসব সংস্থা অবহেলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে (ডিআরইউ) সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ইমরান হাসান। এ সময় সংগঠনের সভাপতি ওসমান গনিসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নবাবী ভোজের মালিক বিপু চৌধুরী বক্তব্য দেন।

রেস্তোরাঁ বন্ধ কোনো সমাধান নয় জানিয়ে ইমরান হাসান বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করুন। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করতে পরামর্শ দিন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সব সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী নয়।

ইমরান হাসান বলেন, রেস্তোরাঁ শিল্পটি মনিটরিং করে প্রায় ১২টি সংস্থা। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল দেশের সব রেস্টুরেন্ট সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স দিতে। লাইসেন্স সহজীকরণ বলতে বুঝাচ্ছি যে, লাইসেন্স করতে হলে এমন কিছু ডকুমেন্ট চাওয়া হয় যা বাস্তবসম্মত নয় বা প্রদান করাও সম্ভব নয়। লাইসেন্স গ্রহণের প্রক্রিয়া জটিল করে অসাধু-উপায়ে ম্যানেজ করার জন্য বাধ্য করা হয়।

তিনি জানান, ভবন মালিক, রেস্তোরাঁ মালিক, সরকারি সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করতে পারলেই এই সেক্টরটি সঠিকভাবে সুনির্দিষ্ট কম্পালায়েন্সের মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব। এই শিল্পটি চরম অবহেলিত সেক্টর।

তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে রোস্তোরাঁসমূহে হয়রানি বন্ধ করে বন্ধ রেস্তোরাঁগুলো এখনই খুলে দেওয়ার। কেননা রেস্তোরাঁ শিল্পগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে চলমান মাসের বেতন-ভাতাদি ও বোনাস দিতে হবে। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কীভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতাদি ও বোনাস প্রদান করবে?

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ

সন্ত্রাসী কায়দায় রেস্তোরাঁ ভাঙচুর ও সিলগালা করা হচ্ছে: মালিক সমিতি

আপডেট সময় ০২:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছেন, সন্ত্রাসী কায়দায় রেস্তোরাঁ ভাঙচুর ও সিলগালা করা হচ্ছে। অথচ সরকারি যেসব সংস্থা অবহেলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে (ডিআরইউ) সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ইমরান হাসান। এ সময় সংগঠনের সভাপতি ওসমান গনিসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নবাবী ভোজের মালিক বিপু চৌধুরী বক্তব্য দেন।

রেস্তোরাঁ বন্ধ কোনো সমাধান নয় জানিয়ে ইমরান হাসান বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করুন। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করতে পরামর্শ দিন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সব সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী নয়।

ইমরান হাসান বলেন, রেস্তোরাঁ শিল্পটি মনিটরিং করে প্রায় ১২টি সংস্থা। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল দেশের সব রেস্টুরেন্ট সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স দিতে। লাইসেন্স সহজীকরণ বলতে বুঝাচ্ছি যে, লাইসেন্স করতে হলে এমন কিছু ডকুমেন্ট চাওয়া হয় যা বাস্তবসম্মত নয় বা প্রদান করাও সম্ভব নয়। লাইসেন্স গ্রহণের প্রক্রিয়া জটিল করে অসাধু-উপায়ে ম্যানেজ করার জন্য বাধ্য করা হয়।

তিনি জানান, ভবন মালিক, রেস্তোরাঁ মালিক, সরকারি সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করতে পারলেই এই সেক্টরটি সঠিকভাবে সুনির্দিষ্ট কম্পালায়েন্সের মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব। এই শিল্পটি চরম অবহেলিত সেক্টর।

তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে রোস্তোরাঁসমূহে হয়রানি বন্ধ করে বন্ধ রেস্তোরাঁগুলো এখনই খুলে দেওয়ার। কেননা রেস্তোরাঁ শিল্পগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে চলমান মাসের বেতন-ভাতাদি ও বোনাস দিতে হবে। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কীভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতাদি ও বোনাস প্রদান করবে?