ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর ইউপি উদ্দোক্তার অনিয়ম নিয়ে উপজেলা নির্বাহীর নিকট অভিযোগ

নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দোক্তা মোঃ আব্দুল হান্নান এর বিভিন্ন বিষয়ে অতিরিক্ত ফি নিয়ে কাজ করার বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দীনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন মানবাধিকার কর্মী। জানা গেছে, তিলকপুর ইউপির উদ্দোক্তা বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজির চাল প্রাপ্ত কার্ডদারীদের অনলাইন করার জন্য কাড প্রতি ১০০ টাকা গ্রহণ করছে।

এই ১০০ টাকা ফি নেওয়ার অনুমোদন বা নির্দেশের ব্যপারে তাকে প্রশ্ন করলে সে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা ইউপির চেয়ারম্যানের কোন রকম লিখিত অনুমোদন দেখাতে পারেন না। এক পর্যায়ে বলেন, এগুলোর কোন অনুমোদন নেই সব ইউনিয়নে ৩০ টাকা ৫০/৬০ টাকা নিচ্ছে সেজন্য আমিও নিচ্ছি ১০০ টাকা। পরিষদ যেন উদ্দোক্তা লিজ নিয়ে রেখেছে। ইউনিয়নের প্রত্যেক টি কাজে সে সরকারি ফি বাদ দিয়েও অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করছে। টাকা নিয়ে কোন প্রশ্ন করলে বা অতিরিক্ত টাকা না দিলে হতে হয় হয়রানির স্বীকার।

নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট, চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন, মৃত্য সনদ, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধনসহ সকল কাগজ পত্রের জন্যই অতিরিক্ত ফি আদায় করে থাকে। সে জন্মনিবন্ধনের জন্য (ডিজিটাল নিবন্ধন ফি ৩০০ টাকা, সংশোধন ফি ১০০০ টাকা) করে নিচ্ছে। আমরা এ ব্যপারে জানতে চাইলে বলেন, চেয়ারম্যান যা নির্ধারন করেছেন তার থেকে আমরা বেশি নেই না।

অতিরিক্ত ফি নেওয়ার ব্যপারে চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎকার নিতে পরিষদে ৩বার যাওয়ার পরেও দেখা না হলে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কয়েকবার ফোন করার পরেও যখন সে রিসিভ করে না তখন কৌশলে আলাপ আন্ড্রেড আপ্লিকেশন ব্যবহার করে ফোন দেওয়া হয় এবং তিনি রিসিভ করেন। ফোনালাপে তাকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার ব্যপারে জিজ্ঞাসা করলে ইউপি চেয়ারম্যান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, ফি কত টাকা নিচ্ছে সে ব্যপারে আমার নলেজ নেই। আমার কাছে কাগজ-পত্র নিয়ে আসলে তা ঠিক ঠাক আছে কিনা যাচাই পূর্বক সাক্ষর দিয়ে ছেড়ে দেয় এর থেকে বেশি কিছু আমি জানি না।

তিলকপুর ইউপি সচিব কে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার ব্যপারে প্রশ্ন করলে তিনি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, উদ্দোক্তা আবেদন সম্পূর্ণ করার পরে সরকারি ফি সহ আমার কাছে ফাইল দিলে তা আমি যাচাই করে জন্মনিবন্ধন সম্পূর্ণ করে প্রিন্ট দিয়ে দেয়। অতিরিক্ত ফি বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

অভিযোগের বিষয়ে ও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দীন এর সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, আমরা এইসব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যারা সরকারি ফি ব্যতীত অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে তাদের সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁর ইউপি উদ্দোক্তার অনিয়ম নিয়ে উপজেলা নির্বাহীর নিকট অভিযোগ

আপডেট সময় ০২:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দোক্তা মোঃ আব্দুল হান্নান এর বিভিন্ন বিষয়ে অতিরিক্ত ফি নিয়ে কাজ করার বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দীনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন মানবাধিকার কর্মী। জানা গেছে, তিলকপুর ইউপির উদ্দোক্তা বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজির চাল প্রাপ্ত কার্ডদারীদের অনলাইন করার জন্য কাড প্রতি ১০০ টাকা গ্রহণ করছে।

এই ১০০ টাকা ফি নেওয়ার অনুমোদন বা নির্দেশের ব্যপারে তাকে প্রশ্ন করলে সে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা ইউপির চেয়ারম্যানের কোন রকম লিখিত অনুমোদন দেখাতে পারেন না। এক পর্যায়ে বলেন, এগুলোর কোন অনুমোদন নেই সব ইউনিয়নে ৩০ টাকা ৫০/৬০ টাকা নিচ্ছে সেজন্য আমিও নিচ্ছি ১০০ টাকা। পরিষদ যেন উদ্দোক্তা লিজ নিয়ে রেখেছে। ইউনিয়নের প্রত্যেক টি কাজে সে সরকারি ফি বাদ দিয়েও অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করছে। টাকা নিয়ে কোন প্রশ্ন করলে বা অতিরিক্ত টাকা না দিলে হতে হয় হয়রানির স্বীকার।

নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট, চেয়ারম্যান প্রত্যয়ন, মৃত্য সনদ, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধনসহ সকল কাগজ পত্রের জন্যই অতিরিক্ত ফি আদায় করে থাকে। সে জন্মনিবন্ধনের জন্য (ডিজিটাল নিবন্ধন ফি ৩০০ টাকা, সংশোধন ফি ১০০০ টাকা) করে নিচ্ছে। আমরা এ ব্যপারে জানতে চাইলে বলেন, চেয়ারম্যান যা নির্ধারন করেছেন তার থেকে আমরা বেশি নেই না।

অতিরিক্ত ফি নেওয়ার ব্যপারে চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎকার নিতে পরিষদে ৩বার যাওয়ার পরেও দেখা না হলে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কয়েকবার ফোন করার পরেও যখন সে রিসিভ করে না তখন কৌশলে আলাপ আন্ড্রেড আপ্লিকেশন ব্যবহার করে ফোন দেওয়া হয় এবং তিনি রিসিভ করেন। ফোনালাপে তাকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার ব্যপারে জিজ্ঞাসা করলে ইউপি চেয়ারম্যান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, ফি কত টাকা নিচ্ছে সে ব্যপারে আমার নলেজ নেই। আমার কাছে কাগজ-পত্র নিয়ে আসলে তা ঠিক ঠাক আছে কিনা যাচাই পূর্বক সাক্ষর দিয়ে ছেড়ে দেয় এর থেকে বেশি কিছু আমি জানি না।

তিলকপুর ইউপি সচিব কে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার ব্যপারে প্রশ্ন করলে তিনি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, উদ্দোক্তা আবেদন সম্পূর্ণ করার পরে সরকারি ফি সহ আমার কাছে ফাইল দিলে তা আমি যাচাই করে জন্মনিবন্ধন সম্পূর্ণ করে প্রিন্ট দিয়ে দেয়। অতিরিক্ত ফি বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

অভিযোগের বিষয়ে ও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দীন এর সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, আমরা এইসব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যারা সরকারি ফি ব্যতীত অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে তাদের সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।