শিশুর দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বেশিরভাগ মা-বাবাকেই। শিশুর দাঁত ভালো রাখার দায়িত্ব কিন্তু মা-বাবারই। কারণ শিশু তার যত্ন নিজে নিতে পারে না। বিষয়টি এড়িয়ে গেলে পরবর্তীতে শিশকে দাঁত নিয়ে ভুগতে হতে পারে।
শিশুর দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে কী করতে হবে তা বেশিরভাগ মা-বাবাই বুঝতে পারে না। শিশুর দাঁত ভালো রাখতে মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। শিশুকে এই কাজগুলো শেখাতে হবে-
প্রতিদিন দুইবার দাঁত ব্রাশ করা
শিশুকে প্রতিদিন দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে শেখান। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না। নিয়মিত এই অভ্যাস করলে দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখা সহজ হয়। তাই শিশুকে এই অভ্যাস করান।
ফ্লসিং
দাঁতের ফাঁকা থেকে খাদ্যকণা বের করতে ফ্লসিং বেশ কার্যকরী। ফলে খাদ্যকণা আটকে জীবাণু জন্মানোর ভয় থাকে না। নিয়মিত ফ্লসিং করলে মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং জীবাণুও জন্মে না। তাই শিশুকে নিয়মিত ফ্লসিং করা শেখান।
ক্যান্ডি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে
চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবার বেশি খাওয়ারমানে হলো দাঁতে ক্যাভিটি তৈরির সুযোগ করে দেওয়া। এসব খাবারে প্রচুর চিনি ও স্টার্চ থাকে যা দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই শিশুকে চিনিযুক্ত খাবার যেমন ক্যান্ডি, কৃত্রিম জুস, কোমল পানীয় ইত্যাদি কম খেতে দিন।
ঠিকভাবে ব্রাশ করছে কিনা খেয়াল করুন
বেশিরভাগ শিশুর কাছে দাঁত ব্রাশ করা অপছন্দের কাজ হতে পারে। তারা হয়তো দাঁত ব্রাশের নাম করে ব্রাশ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। তাই শিশু ঠিকভাবে ব্রাশ করছে কিনা তা খেয়াল করুন। দাঁতের উপর-নিচ এবং সামনে ও ভেতরে সমানভাবে ব্রাশ করতে বলুন। আপনি সঠিক নিয়ম শিখিয়ে দিলে শিশুর জন্য কাজটি সহজ হবে।
নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যান
শিশুকে নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। দাঁতের কোনো সমস্যা শুরুতেই ধরা পড়লে চিকিৎসা নেওয়া সহজ হয়। আপনি যদি এই পাঁচটি কাজ শিশুকে শেখাতে পারেন তবে তার দাঁত নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। শিশুর দাঁতের সুস্থতা নিশ্চিত হবে, তার হাসি হবে প্রাণবন্ত।