দলের চেয়ারম্যান-মহাসচিবের সঙ্গে বনিবনা না হওয়া এবং মাঠে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের টাকার পাল্লার দৌড়ের কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন। একই সাথে দলের সাথেও থাকবেন না তিনি। এই বিষয়ে আগামীকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি।
তিনি বলেন, গত বুধবার থেকে আমি নির্বাচনী সকল প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত আছি। কারণ হিসেবে তিনি জানান, প্রথমত আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের টাকার পাল্লার কাছে নির্বাচন করার মত আমার অবস্থা নাই। দ্বিতীয়ত আমার দলের প্রেসিডেন্ট অর্থাৎ চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব এদের সিদ্ধান্তহীনতা এবং কমিনিকেশন গ্যাফ। তাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নাই। ফোন দিলেও রিসিভ করেন না। কেন্দ্রে যারা আছেন তারা কেউ সহযোগীতা করেন না। সারা বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির ৩৮৩ জনের মধ্যে সরকারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ২৬ জনকে উনারা বের (আসন) করে দিয়েছেন। আমাদেরকে সকল দিক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ২৬ জনের থেকে জিএম কাদের সহ অনেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। মাঠে এখনো যারা আছে তারা কেউ কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। ৭ তারিখের আগ পর্যন্ত অনেকেই হয়তো ছেড়ে দিতে পারেন। এই কারণে আমার মত মানুষের নির্বাচন না, ভদ্র মানুষের জন্য নির্বাচন না, নির্বাচন হচ্ছে অর্থ আর পেশী।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে (সদরের একাংশ-আলমডাঙ্গা) ছয়জন প্রার্থী লড়ছেন। এঁরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, ফ্রীজ প্রতীকের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, আম প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইদ্রিস চৌধুরী ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদুর রহমান। এরমধ্যে লাঙ্গল প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সোহরাব হোসেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন।