ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এইচএসসিতে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ১২৬ জনের জিপিএ-৫ অর্জন দেশ ও সমাজ কল্যাণমুখী হিসাবে গড়ে তুলার জন্য সৎ ও দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীর ভুমিকা অনস্বীকার্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে অধ্যক্ষ হেলালী গলাচিপায় জরাজীর্ণ অবস্থায় আয়রন ব্রীজ; জনদূর্ভোগ চরমে জাতীয় দলের কোচ হাথুরুসিংহে বরখাস্ত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যাবে সরকার : আসিফ পাসের হার এবং জিপিএ-৫ কমেছে যশোর বোর্ডে শপথ নিয়েই কাজ শুরু করলেন পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে কেন দেখা মিলছে না শাহরুখের? কুমিল্লায় ২০০০ পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করেছে বিজিবি

নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা এখন বলতে পারছি না : জিএম কাদের

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে প্রার্থীদের রাজনৈতিক জীবনে বড় কলঙ্ক হয়ে যায়। এতে মানুষ ভাবে হয় প্রতিপক্ষের কাছে আঁতাত করে কিছুর বিনিময়ে সরে দাঁড়িয়েছে কিংবা ভয় পেয়ে নির্বাচনের মাঠ ছেড়েছে। এটি রাজনীতির জন্য শুভকর নয়।
তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের উপর অন্যায়-অত্যাচার হয়।

অনেক সময় প্রার্থীরা ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান, কখনো নীরবে চলে যান। এবারও তাই হচ্ছে, কিন্তু এবার প্রচারণা বেশি হচ্ছে। নির্বাচন থেকে প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর দু’টি কারণ হতে পারে। একটি অর্থের অভাব, অপরটি অব্যাহত হুমকির কারণ।
অভিযোগের বাস্তবতা রয়েছে যে প্রার্থীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারবিরোধী দল ঠিক করে দিচ্ছে এটি সত্য নয়। আমি বিরোধী দল হতে নয়, সংসদে থাকার জন্য নির্বাচনে এসেছি। আমাদের সাথে আওয়ামী লীগের কোনো আসন ভাগাভাগি হয়নি কিংবা জোটগত নির্বাচন হচ্ছে না। এটি একটি অপপ্রচার।

আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা, অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাবকে সরিয়ে রাখা। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে নির্বাচনে এসেছি। আওয়ামী লীগ কিছু আসনে তাদের প্রার্থী সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু দলের শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছে। অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতারা সরাসরি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। অনেক স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয় লাভ করার সুযোগ আমরা দেখছি। আবার আমরা কোনো আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করিনি। তাই এটি জোটগত নির্বাচন হচ্ছে না।তিনি আরও বলেন, মানুষের মাঝে ভোট উৎসব জমেনি এটি বিশ্বাস করি না। যেখানে যাচ্ছি প্রচুর উৎসব দেখতে পারছি। যারা বলছে ভোট উৎসব নেই তাদের উদ্দেশ্যটা সত্য নয়। আমাদের প্রচার-প্রচারণা ভাল চলছে ও ভোটে উৎসাহ-উদ্দীপনাও রয়েছে। তিনি বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে অনেক স্থানে প্রচার-প্রচারণায় কম লোকজন দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর বড় দেশগুলোতেও এমন হয়। ভোট দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব। আমি আহ্বান করবো সবাই কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে আপনার মতামত জানাবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রংপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংষ্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়াসহ নেতাকর্মীরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এইচএসসিতে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ১২৬ জনের জিপিএ-৫ অর্জন

নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কিনা এখন বলতে পারছি না : জিএম কাদের

আপডেট সময় ০১:২০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে প্রার্থীদের রাজনৈতিক জীবনে বড় কলঙ্ক হয়ে যায়। এতে মানুষ ভাবে হয় প্রতিপক্ষের কাছে আঁতাত করে কিছুর বিনিময়ে সরে দাঁড়িয়েছে কিংবা ভয় পেয়ে নির্বাচনের মাঠ ছেড়েছে। এটি রাজনীতির জন্য শুভকর নয়।
তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের উপর অন্যায়-অত্যাচার হয়।

অনেক সময় প্রার্থীরা ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান, কখনো নীরবে চলে যান। এবারও তাই হচ্ছে, কিন্তু এবার প্রচারণা বেশি হচ্ছে। নির্বাচন থেকে প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর দু’টি কারণ হতে পারে। একটি অর্থের অভাব, অপরটি অব্যাহত হুমকির কারণ।
অভিযোগের বাস্তবতা রয়েছে যে প্রার্থীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারবিরোধী দল ঠিক করে দিচ্ছে এটি সত্য নয়। আমি বিরোধী দল হতে নয়, সংসদে থাকার জন্য নির্বাচনে এসেছি। আমাদের সাথে আওয়ামী লীগের কোনো আসন ভাগাভাগি হয়নি কিংবা জোটগত নির্বাচন হচ্ছে না। এটি একটি অপপ্রচার।

আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা, অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাবকে সরিয়ে রাখা। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে নির্বাচনে এসেছি। আওয়ামী লীগ কিছু আসনে তাদের প্রার্থী সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু দলের শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছে। অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতারা সরাসরি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। অনেক স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয় লাভ করার সুযোগ আমরা দেখছি। আবার আমরা কোনো আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করিনি। তাই এটি জোটগত নির্বাচন হচ্ছে না।তিনি আরও বলেন, মানুষের মাঝে ভোট উৎসব জমেনি এটি বিশ্বাস করি না। যেখানে যাচ্ছি প্রচুর উৎসব দেখতে পারছি। যারা বলছে ভোট উৎসব নেই তাদের উদ্দেশ্যটা সত্য নয়। আমাদের প্রচার-প্রচারণা ভাল চলছে ও ভোটে উৎসাহ-উদ্দীপনাও রয়েছে। তিনি বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে অনেক স্থানে প্রচার-প্রচারণায় কম লোকজন দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর বড় দেশগুলোতেও এমন হয়। ভোট দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব। আমি আহ্বান করবো সবাই কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে আপনার মতামত জানাবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রংপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংষ্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়াসহ নেতাকর্মীরা।