ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এইচএসসিতে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ১২৬ জনের জিপিএ-৫ অর্জন দেশ ও সমাজ কল্যাণমুখী হিসাবে গড়ে তুলার জন্য সৎ ও দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীর ভুমিকা অনস্বীকার্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে অধ্যক্ষ হেলালী গলাচিপায় জরাজীর্ণ অবস্থায় আয়রন ব্রীজ; জনদূর্ভোগ চরমে জাতীয় দলের কোচ হাথুরুসিংহে বরখাস্ত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যাবে সরকার : আসিফ পাসের হার এবং জিপিএ-৫ কমেছে যশোর বোর্ডে শপথ নিয়েই কাজ শুরু করলেন পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে কেন দেখা মিলছে না শাহরুখের? কুমিল্লায় ২০০০ পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করেছে বিজিবি

শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে

এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে আদালত দণ্ডিত করেছে। এরপর আপিল করার শর্তে তাকে আবার জামিনে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা আছে এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়, মামলাও করেনি, মামলা করেছে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেই মামলায় শাস্তি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে লাভের ৫ শতাংশ তার কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে, এ যাবৎ কখনও তা দেয়া হয়নি। এটি না দেওয়ায় শ্রম আইনের ৪,৭, ৮, ১১৭ এবং ২৩৪ এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে শ্রমিক-কর্মচারীরা।

মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে দুইজন শ্রমিক নেতাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং দুইজন শ্রমিক নেতাকে তিন কোটি করে ছয় কোটি টাকা ঘুষ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকরা টাকা না পাওয়ায় মামলা করেছে। সুতরাং এখানে স্পষ্টত একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এই অপরাধ সংঘটিত হবার কারণেই মামলা হয়েছে, শাস্তিও হয়েছে।’

ড. হাছান বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকমের এক দশকের বেশি সময় ধরে নিয়ম ভঙ্গ, কর ফাঁকি, তার কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন অনুমোদিত সংস্থা থেকে তিন হাজার কোটি টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ আছে। ১৯৮৩ সালের গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি সরকার নিযুক্ত হওয়ার কথা ছিল। ১৯৯০ সালের সংশোধনী অনুসারে এমডি নিয়োগের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস এ স্থানান্তরিত হয়। এই পরিচালক বোর্ড-এর চেয়ারম্যান ১৪ আগস্ট, ১৯৯০ সালে ড. ইউনুসকে এমডি হিসেবে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক শর্ত সাপেক্ষে ড. ইউনূসের নিয়োগে অনাপত্তি দেয়, শর্তগুলো হচ্ছে : (১) এমডির চাকরির শর্তাবলী ১৯৮৩ সালের গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৪ এর ৪ ধারার প্রবিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। (২) পরিচালক বোর্ড অধ্যাদেশের ৩৬ ধারার অধীনে নিয়ম তৈরি করবে, যা সরকারি গেজেট প্রকাশের পর কার্যকর হবে। (৩) সরকারি চাকরির নিয়ম অনুসারে, একজন এমডি ৬০ বছর বয়সের সীমা অতিক্রম করতে পারবেন না।’

কিন্তু ড. ইউনূসের বয়স যখন ৫৯ বছর, ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালক বোর্ডের ৫২তম সভায় আইন ভঙ্গ করে রেজুলেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত এমডি হিসাবে নিশ্চিত করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের অনুচ্ছেদ ১৪ এর ৪ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অধিকন্তু, তার এই নিয়োগের অসৎ উদ্দেশ্য পরে প্রমাণিত হয়েছে।

সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২১ এবং ১২ এর ২ ধারা অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডিকে একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে তার চাকরির শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছেন। একজন পূর্ণ-সময়ের সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে কাজের জায়গায় তাঁর ঘন ঘন অনুপস্থিতি ছিল এবং সেই অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন কখনো নেয়া হয়নি। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট তার পরিবারের সাথে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে বা মূলধন যোগান দেয়া হয়েছে। এই সমস্ত কারণেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং সেই মামলার প্রেক্ষিতে শাস্তি হয়েছে।’

পৃথিবীতে বহু নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে দেশে দেশে মামলা হয়েছে, অনেকে শাস্তি ভোগ করেছেন, কারাগারেও ছিলেন উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘এ ধরণের অনেক ঘটনা আছে, যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, পুরস্কারের অর্থ কে কত টাকা পাবেন, এ নিয়েও নোবেল লরিয়েটরা একে অপরের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন সুযোগ নাই। বাংলাদেশে আদালত স্বাধীন, স্বধীনভাবেই কাজ করেছে।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশের একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক ড. ইউনুসের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, যদিও বা নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে বহু প্রশ্ন আছে। গাজায় “কবরে শান্তি স্থাপন” করার জন্য কখন যে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়ে দেয়, সেটিও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট হবার পরপর বারাক ওবামাকে যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার দিল, তিনি অবাক হয়ে গেলেন, বললেন, আমাকে কেন দেয়া হলো। মালালাকে ১৪ বছর বয়সে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কোন সময় যে ১০ বছরের কাউকে দিয়ে দেন, সেটি নিয়েও অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যাই হোক তিনি একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক, আমি তাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি।’

তিনি বলেন, ‘ডেভিড বার্গম্যান বাংলাদেশের রাজনীতি-নির্বাচন নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি ড. কামাল হোসেনের মেয়ের জামাই এবং তিনি একজন ইহুদী, যে ইহুদীরা ফিলিস্তিনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করছে। ডেভিড বার্গম্যানকে একটু জিজ্ঞেস করেন, এ নিয়ে তার কি বক্তব্য। এ নিয়ে একটি নিবন্ধ যদি সে লিখত, তাহলে আমরা তার অবস্থানটা জানতে পারতাম।’

‘ড. ইউনুসকে কখনো শহীদ মিনার কিংবা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় না, তিনি কার প্রতিনিধিত্ব করেন’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি এককভাবে কারো নাম বলছি না, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, তারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা বিদেশিদের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা মিশনে মিশনে পার্টিতে যায়, আবার বিভিন্ন দেশের সংস্থা থেকে অর্থ পায় এবং ট্যুরে যায়, তারা তাদের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা যেটি বলে সেটিই করে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আমরা তাদের বক্তব্যগুলো ভালো করে প্রচার করি। এটা না দিলে কিন্তু তাদের বাজার মূল্যটা কমে যেত। আমরাই বাজার মূল্যটা বাড়িয়ে দিই।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এইচএসসিতে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ১২৬ জনের জিপিএ-৫ অর্জন

শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে

আপডেট সময় ০৫:০৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে আদালত দণ্ডিত করেছে। এরপর আপিল করার শর্তে তাকে আবার জামিনে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা আছে এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়, মামলাও করেনি, মামলা করেছে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেই মামলায় শাস্তি হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে লাভের ৫ শতাংশ তার কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে, এ যাবৎ কখনও তা দেয়া হয়নি। এটি না দেওয়ায় শ্রম আইনের ৪,৭, ৮, ১১৭ এবং ২৩৪ এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে শ্রমিক-কর্মচারীরা।

মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে দুইজন শ্রমিক নেতাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং দুইজন শ্রমিক নেতাকে তিন কোটি করে ছয় কোটি টাকা ঘুষ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকরা টাকা না পাওয়ায় মামলা করেছে। সুতরাং এখানে স্পষ্টত একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এই অপরাধ সংঘটিত হবার কারণেই মামলা হয়েছে, শাস্তিও হয়েছে।’

ড. হাছান বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকমের এক দশকের বেশি সময় ধরে নিয়ম ভঙ্গ, কর ফাঁকি, তার কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন অনুমোদিত সংস্থা থেকে তিন হাজার কোটি টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ আছে। ১৯৮৩ সালের গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি সরকার নিযুক্ত হওয়ার কথা ছিল। ১৯৯০ সালের সংশোধনী অনুসারে এমডি নিয়োগের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস এ স্থানান্তরিত হয়। এই পরিচালক বোর্ড-এর চেয়ারম্যান ১৪ আগস্ট, ১৯৯০ সালে ড. ইউনুসকে এমডি হিসেবে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক শর্ত সাপেক্ষে ড. ইউনূসের নিয়োগে অনাপত্তি দেয়, শর্তগুলো হচ্ছে : (১) এমডির চাকরির শর্তাবলী ১৯৮৩ সালের গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৪ এর ৪ ধারার প্রবিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। (২) পরিচালক বোর্ড অধ্যাদেশের ৩৬ ধারার অধীনে নিয়ম তৈরি করবে, যা সরকারি গেজেট প্রকাশের পর কার্যকর হবে। (৩) সরকারি চাকরির নিয়ম অনুসারে, একজন এমডি ৬০ বছর বয়সের সীমা অতিক্রম করতে পারবেন না।’

কিন্তু ড. ইউনূসের বয়স যখন ৫৯ বছর, ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালক বোর্ডের ৫২তম সভায় আইন ভঙ্গ করে রেজুলেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত এমডি হিসাবে নিশ্চিত করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের অনুচ্ছেদ ১৪ এর ৪ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অধিকন্তু, তার এই নিয়োগের অসৎ উদ্দেশ্য পরে প্রমাণিত হয়েছে।

সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২১ এবং ১২ এর ২ ধারা অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডিকে একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে তার চাকরির শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছেন। একজন পূর্ণ-সময়ের সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে কাজের জায়গায় তাঁর ঘন ঘন অনুপস্থিতি ছিল এবং সেই অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন কখনো নেয়া হয়নি। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট তার পরিবারের সাথে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে বা মূলধন যোগান দেয়া হয়েছে। এই সমস্ত কারণেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং সেই মামলার প্রেক্ষিতে শাস্তি হয়েছে।’

পৃথিবীতে বহু নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে দেশে দেশে মামলা হয়েছে, অনেকে শাস্তি ভোগ করেছেন, কারাগারেও ছিলেন উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘এ ধরণের অনেক ঘটনা আছে, যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, পুরস্কারের অর্থ কে কত টাকা পাবেন, এ নিয়েও নোবেল লরিয়েটরা একে অপরের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন সুযোগ নাই। বাংলাদেশে আদালত স্বাধীন, স্বধীনভাবেই কাজ করেছে।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশের একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক ড. ইউনুসের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, যদিও বা নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে বহু প্রশ্ন আছে। গাজায় “কবরে শান্তি স্থাপন” করার জন্য কখন যে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়ে দেয়, সেটিও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট হবার পরপর বারাক ওবামাকে যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার দিল, তিনি অবাক হয়ে গেলেন, বললেন, আমাকে কেন দেয়া হলো। মালালাকে ১৪ বছর বয়সে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কোন সময় যে ১০ বছরের কাউকে দিয়ে দেন, সেটি নিয়েও অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যাই হোক তিনি একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক, আমি তাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি।’

তিনি বলেন, ‘ডেভিড বার্গম্যান বাংলাদেশের রাজনীতি-নির্বাচন নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি ড. কামাল হোসেনের মেয়ের জামাই এবং তিনি একজন ইহুদী, যে ইহুদীরা ফিলিস্তিনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করছে। ডেভিড বার্গম্যানকে একটু জিজ্ঞেস করেন, এ নিয়ে তার কি বক্তব্য। এ নিয়ে একটি নিবন্ধ যদি সে লিখত, তাহলে আমরা তার অবস্থানটা জানতে পারতাম।’

‘ড. ইউনুসকে কখনো শহীদ মিনার কিংবা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় না, তিনি কার প্রতিনিধিত্ব করেন’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি এককভাবে কারো নাম বলছি না, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, তারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা বিদেশিদের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা মিশনে মিশনে পার্টিতে যায়, আবার বিভিন্ন দেশের সংস্থা থেকে অর্থ পায় এবং ট্যুরে যায়, তারা তাদের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা যেটি বলে সেটিই করে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আমরা তাদের বক্তব্যগুলো ভালো করে প্রচার করি। এটা না দিলে কিন্তু তাদের বাজার মূল্যটা কমে যেত। আমরাই বাজার মূল্যটা বাড়িয়ে দিই।’