দীর্ঘ দুই বছর পড়ে পটুয়াখালীর বাউফলের আবদুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ বাতিলের জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের, ৮৮/৪জি-১৩৬৩-ম/২০১২/৩৭৫১ নং স্মারকের এক চিঠিতে এই ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান মো. খায়রুল আলম। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক পদে এই নিয়োগের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ করেন ওই পদে নিয়োগের জন্য আবেদনকারী ৮ জন শিক্ষক। তারা অভিযোগ সহকারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ দুই বছর পরে একাধিকবার তদন্ত শেষে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খাইরুল আলমের নিয়োগ বাতিলের জন্য বিদ্যালয় মেনেজিং কমিটিকে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাওছার আহমেদ।
গত ২৬ ডিসেম্বর চিঠি দেয়া হলেও অদ্যাবধি এবিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ম্যানেজিং কমিটি। প্রধান শিক্ষক মো. খাইরুল আলম দায়িত্ব পালন করছেন নিয়মিত।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘অধিদপ্তর থেকে আব্দুর রশিদ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।