ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এইচএসসিতে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ১২৬ জনের জিপিএ-৫ অর্জন দেশ ও সমাজ কল্যাণমুখী হিসাবে গড়ে তুলার জন্য সৎ ও দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীর ভুমিকা অনস্বীকার্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে অধ্যক্ষ হেলালী গলাচিপায় জরাজীর্ণ অবস্থায় আয়রন ব্রীজ; জনদূর্ভোগ চরমে জাতীয় দলের কোচ হাথুরুসিংহে বরখাস্ত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যাবে সরকার : আসিফ পাসের হার এবং জিপিএ-৫ কমেছে যশোর বোর্ডে শপথ নিয়েই কাজ শুরু করলেন পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে কেন দেখা মিলছে না শাহরুখের? কুমিল্লায় ২০০০ পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করেছে বিজিবি

সিলেটের গোয়াইনঘাটে কুখ্যাত গরু চোর গ্যাং লিডার কামরুল গ্রেফতার অতপর মিষ্টি বিতরণ।

সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অভিযানে কুখ্যাত গরু চোরদের সর্দার কামরুল ইসলাম (২৯)কে গ্রেফতার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় গোয়াইনঘাট উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের সতি গ্রামে কামরুলের নিজ বসত ঘর থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। গ্রেফতারি অভিযান চলাকালীন সময় গরু চোর কামরুল ও তার পরিবারের লোকজন চড়াও হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। হামলায় এসআই কামাল হোসেন সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এসআই কামালসহ দুইজন গুরুতর জখম হন।

কামরুলসহ তার পরিবারের লোকজনের হামলা থেকে বাঁচতে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কামরুলের পায়ে ১ রাউন্ড গুলি চালিয়ে কামরুলকে আটক করে। এ সময় কামরুলের ঘর থেকে পুলিশ ১টি ধারালো রাম দা,১টি তরবারি, ১টি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করে। পরে পুলিশ গরু চোর গ্যাং লিডার কামরুল, তার মা জুলেখা বেগম, বোন রুনা আক্তার ও ফুফাতো ভাই আবদুল বাসিতকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে গোয়াইনঘাটের কুখ্যাত গরু চোর কামরুলকে গ্রেফতারের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে থানা ও আশপাশে মিষ্টি বিতরণ করে স্থানীয় সচেতন মহল।

কামরুল কে গ্রেফতারে সক্ষম হওয়ায় গোয়াইনঘাট থানার নবাগত পুলিশ অফিসার রফিকুল ইসলামের এমন চৌকস পুলিশের দায়িত্ব কে অনেকে ধন্যবাদ জানান। গ্রেফতারকৃত কুখ্যাত গরু চোর গ্যাং লিডার কামরুল সতি গ্রামের ইছরাক আলী কালা মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চোরাচালানসহ ৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং ৪টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে ছিলো। পালিয়ে থেকেও সে তার দল নিয়ে প্রতিরাতে গোয়াইনঘাট জুড়ে কৃষকের গরু মহিষ চুরি, সড়কের উপর চলাচলকারী যানবাহন থেকে মালামাল ছিনতাই, ডাকাতি করে আসতো এবং মুক্তিপনের মাধ্যমে তা ফিরিয়ে দিতো। অপরাধী কামরুল ও তার পরিবারের জড়িত অপরাপরদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় অস্ত্র ও পুলিশ এসল্ট আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২৪ ও ২৫, তারিখ ৩০/১২/২০২৩ ইং।

গোয়াইনঘাটের কুখ্যাত গরু চোর সর্দার কামরুলকে গ্রেফতার করায় থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম শনিবার গরু চোর গ্যাং লিডার কামরুলের গ্রেফতারের ঘটনায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযানের বর্ণণা দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সিলেট জেলার অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংঘটিত সংঘবদ্ধ অপরাধ, ভিকটিম উদ্ধার, মাদক, খুন, ধর্ষণ, চোরাচালান, পরোয়ানাভুক্ত ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে পুলিশ সব সময় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে ও তা অব্যাহত থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল শুক্রবার ২৯ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গোয়াইনঘাট থানাধীন লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। অপরাধী কামরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মেহেদী হাসানও উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এইচএসসিতে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ১২৬ জনের জিপিএ-৫ অর্জন

সিলেটের গোয়াইনঘাটে কুখ্যাত গরু চোর গ্যাং লিডার কামরুল গ্রেফতার অতপর মিষ্টি বিতরণ।

আপডেট সময় ০৮:১৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের অভিযানে কুখ্যাত গরু চোরদের সর্দার কামরুল ইসলাম (২৯)কে গ্রেফতার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় গোয়াইনঘাট উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের সতি গ্রামে কামরুলের নিজ বসত ঘর থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। গ্রেফতারি অভিযান চলাকালীন সময় গরু চোর কামরুল ও তার পরিবারের লোকজন চড়াও হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। হামলায় এসআই কামাল হোসেন সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এসআই কামালসহ দুইজন গুরুতর জখম হন।

কামরুলসহ তার পরিবারের লোকজনের হামলা থেকে বাঁচতে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কামরুলের পায়ে ১ রাউন্ড গুলি চালিয়ে কামরুলকে আটক করে। এ সময় কামরুলের ঘর থেকে পুলিশ ১টি ধারালো রাম দা,১টি তরবারি, ১টি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করে। পরে পুলিশ গরু চোর গ্যাং লিডার কামরুল, তার মা জুলেখা বেগম, বোন রুনা আক্তার ও ফুফাতো ভাই আবদুল বাসিতকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে গোয়াইনঘাটের কুখ্যাত গরু চোর কামরুলকে গ্রেফতারের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে থানা ও আশপাশে মিষ্টি বিতরণ করে স্থানীয় সচেতন মহল।

কামরুল কে গ্রেফতারে সক্ষম হওয়ায় গোয়াইনঘাট থানার নবাগত পুলিশ অফিসার রফিকুল ইসলামের এমন চৌকস পুলিশের দায়িত্ব কে অনেকে ধন্যবাদ জানান। গ্রেফতারকৃত কুখ্যাত গরু চোর গ্যাং লিডার কামরুল সতি গ্রামের ইছরাক আলী কালা মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চোরাচালানসহ ৯টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং ৪টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে ছিলো। পালিয়ে থেকেও সে তার দল নিয়ে প্রতিরাতে গোয়াইনঘাট জুড়ে কৃষকের গরু মহিষ চুরি, সড়কের উপর চলাচলকারী যানবাহন থেকে মালামাল ছিনতাই, ডাকাতি করে আসতো এবং মুক্তিপনের মাধ্যমে তা ফিরিয়ে দিতো। অপরাধী কামরুল ও তার পরিবারের জড়িত অপরাপরদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় অস্ত্র ও পুলিশ এসল্ট আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২৪ ও ২৫, তারিখ ৩০/১২/২০২৩ ইং।

গোয়াইনঘাটের কুখ্যাত গরু চোর সর্দার কামরুলকে গ্রেফতার করায় থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম শনিবার গরু চোর গ্যাং লিডার কামরুলের গ্রেফতারের ঘটনায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযানের বর্ণণা দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সিলেট জেলার অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংঘটিত সংঘবদ্ধ অপরাধ, ভিকটিম উদ্ধার, মাদক, খুন, ধর্ষণ, চোরাচালান, পরোয়ানাভুক্ত ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে পুলিশ সব সময় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে ও তা অব্যাহত থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল শুক্রবার ২৯ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গোয়াইনঘাট থানাধীন লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। অপরাধী কামরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মেহেদী হাসানও উপস্থিত ছিলেন।