গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার পরে শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে জনসভায় যোগ দেন শেখ হাসিনা।
এদিন সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা টুঙ্গিপাড়া শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে আসতে শুরু করেন।এর আগে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে বরিশালের জনসভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কপথে বরিশাল থেকে টুঙ্গিপাড়া আসেন। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন তিনি।
বরিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভাগ্য না গড়ে নিজেদের ভাগ্য গড়েছিল বিএনপি-জামায়াত। দেশের মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমি বিএনপি-জামায়াতকে ধিক্কার জানাই। কারণ, তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে আর তাদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোতে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করি, তখন ওই বিএনপি-জামায়াত করে অগ্নিসন্ত্রাস। রেললাইনের ফিসপ্লেট ফেলে দিয়ে, বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার ফাঁদ পাতে। রেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। মা-সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছে- এই অবস্থায় আগুনে পুড়ে কাঠ হয়ে গেছে। এই দৃশ্য পুরো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, ঠিক ২০০১ সালে শুরু করেছিল। এরপর ১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটায়। এখন আবার অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে।
গোপালগঞ্জের জনসভার পর মাদারীপুরের কালকিনিতে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। সেখানে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসমাবেশ যেন সঠিকভাবে, সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায় তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আগামী ২ জানুয়ারি ফরিদপুর জনসভা করবেন তিনি। আর ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জনসভার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার শেষ হবে।