ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যাবে সরকার : আসিফ পাসের হার এবং জিপিএ-৫ কমেছে যশোর বোর্ডে শপথ নিয়েই কাজ শুরু করলেন পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে কেন দেখা মিলছে না শাহরুখের? কুমিল্লায় ২০০০ পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করেছে বিজিবি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম- এনডিএফ চট্টগ্রামের চিকিৎসক সমাবেশে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান পদ্মায় জেলেদের জালে মিলল মৃত ডলফিন আরও ২ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ওয়াসিম আকরামের নামে ফ্লাইওভারের নামকরণের দাবিতে সিডিএ চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি প্রদান

বোরহানউদ্দিনে সন্দেহের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত -যুবলীগ নেতা জসিম

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা জসিম হাওলাদারকে সন্দেহের জেরে পিটিয়ে আহত করেন একই ইউনিয়ন এর নান্টু ডাকাত ও গিয়াসউদ্দিন। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে পদ্মা মনসা মিরা বাড়ীর পোল ঘোড়ায়।

এতে মারামারি করে উভয় গ্রুপ আহত হয়ে বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।

আহত জসিম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন- অনেকদিন আগে নান্টু ডাকাতের ছেলেকে জ্বীন ব্যবসার কারণে প্রশাসন আটক করে, তাদের ধারণা আমি প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি, সেই ক্ষোভে রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে মিরা বাড়ীর পোল ঘোড়ায় আমাকে একা পেয়ে নান্টু ও গিয়াসউদ্দিন দেশীয় দা দিয়ে আমার মাথায় ও হাতে কোপ দেয়,আমি মাটিতে পরে যাই। আমার ডাক-চিৎকার শুনে লোকজন এলে তারা পালিয়ে যায়।ঘটনাস্হল থেকে স্হানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।মাথায় ৩টি সেলাই করা হয়,

এছাড়াও আমাকে পাষাণোর জন্য নান্টু ডাকাত নিজের শরীরে নিজেই আঘাত করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।

অভিযুক্ত নান্টুর স্ত্রী’র দাবী আমার ছেলেকে মিথ্যা জ্বীন বানিয়ে অনেক দিন আগে প্রশাসন দিয়ে ধরিয়ে দেন জসিম হাওলাদার,সেই বিষয় নিয়ে আমার স্বামীর সাথে কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে জসিম হাওলাদার ও তার লোকজন নিয়ে আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারধর ও জখম করেন। পরে লোক মারফত খবর পেয়ে মিরা বাড়ীর পোল ঘোড়ায় গিয়ে দেখি আমার স্বামী অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পরে আছে, আমি ও আমার দেবর দ্রুত বোরহানউদ্দিন সরকারি হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে এনে মাথায় ৩/৪ টি সোলাই করা হয়। জ্ঞান না ফেরায় কর্তব্যরত ডাক্তার ভোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

বোরহানউদ্দিন থানার (ওসি) ইনচার্জ শাহীন ফকির বলেন- উভয় পক্ষের কেউ এখনও থানায় অভিযোগ করেনি, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যাবে সরকার : আসিফ

বোরহানউদ্দিনে সন্দেহের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত -যুবলীগ নেতা জসিম

আপডেট সময় ১২:১৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা জসিম হাওলাদারকে সন্দেহের জেরে পিটিয়ে আহত করেন একই ইউনিয়ন এর নান্টু ডাকাত ও গিয়াসউদ্দিন। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে পদ্মা মনসা মিরা বাড়ীর পোল ঘোড়ায়।

এতে মারামারি করে উভয় গ্রুপ আহত হয়ে বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।

আহত জসিম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন- অনেকদিন আগে নান্টু ডাকাতের ছেলেকে জ্বীন ব্যবসার কারণে প্রশাসন আটক করে, তাদের ধারণা আমি প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি, সেই ক্ষোভে রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে মিরা বাড়ীর পোল ঘোড়ায় আমাকে একা পেয়ে নান্টু ও গিয়াসউদ্দিন দেশীয় দা দিয়ে আমার মাথায় ও হাতে কোপ দেয়,আমি মাটিতে পরে যাই। আমার ডাক-চিৎকার শুনে লোকজন এলে তারা পালিয়ে যায়।ঘটনাস্হল থেকে স্হানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।মাথায় ৩টি সেলাই করা হয়,

এছাড়াও আমাকে পাষাণোর জন্য নান্টু ডাকাত নিজের শরীরে নিজেই আঘাত করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে এসে ভর্তি হন।

অভিযুক্ত নান্টুর স্ত্রী’র দাবী আমার ছেলেকে মিথ্যা জ্বীন বানিয়ে অনেক দিন আগে প্রশাসন দিয়ে ধরিয়ে দেন জসিম হাওলাদার,সেই বিষয় নিয়ে আমার স্বামীর সাথে কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে জসিম হাওলাদার ও তার লোকজন নিয়ে আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারধর ও জখম করেন। পরে লোক মারফত খবর পেয়ে মিরা বাড়ীর পোল ঘোড়ায় গিয়ে দেখি আমার স্বামী অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পরে আছে, আমি ও আমার দেবর দ্রুত বোরহানউদ্দিন সরকারি হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে এনে মাথায় ৩/৪ টি সোলাই করা হয়। জ্ঞান না ফেরায় কর্তব্যরত ডাক্তার ভোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

বোরহানউদ্দিন থানার (ওসি) ইনচার্জ শাহীন ফকির বলেন- উভয় পক্ষের কেউ এখনও থানায় অভিযোগ করেনি, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।