নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ভোর ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আন্দোলনে ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবর বিএরপির মহাসমাবশের পর থেকে এ নিয়ে দশম বারের মতো এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি-সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ দফার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলবে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। অবরোধ সফল করতে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন চলছে। ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হবে বুধবার ভোর ৬টা থেকে, চলবে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। এই অবরোধ কর্মসূচিতে সর্বস্তরের বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। জনগণ এই অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়েছে। আমরা জনগণের সমর্থনে বিশ্বাস করি, আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। আমাদের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে জনগণ।’
এরপর রিজভীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমের যানবাহন এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী যানবাহন এই অবরোধ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
এদিকে, অবরোধ কর্মসূচির আগের রাতে ঢাকায় ৩টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাত ২টার দিকে বাড্ডার আফতাবনগরে দাঁড়িয়ে থাকা আকাশ পরিবহনের দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর আগে রাত ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের সামনের সড়কে একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয় দুর্বিত্তরা। তাৎক্ষণিকভাবে পথচারীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।