সোমবার রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কৃষ্ণকান্ত রায় এক আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করে বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুস ছাত্তার জানান।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আফতাব হোসেন বলেন, রায় ঘোষণার সময় মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মাহফুজ উন-নবী ডন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
অন্য সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- রংপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিসুর রহমান লাকু, জেলা যুবদলের সহসভাপতি তারেক হাসান সোহাগ, মহানগর যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন, যুবদল কর্মী আরিফ হোসেন।
মামলার বরাতে পিপি আব্দুস ছাত্তার বলেন, ২০১৩ সালে ২০ মে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাঠে বসে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বিএনপির কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই সময় তাদের কাছ থেকে ৫৬টি পটকা বোমা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় তৎকালীন রংপুর কোতোয়ালি থানার এসআই চন্দন কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
পিপি আরও জানান, পরে নাশকতার মামলায় বিএনপির সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে দুইজন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পাঁচ আসামিকে ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আফতাব।