ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বোরহানউ‌দ্দি‌নে মৃত ও অবসর প্রাপ্ত মাধ‌্যমিক শিক্ষক‌দের মা‌ঝে বি‌শেষ অনুদান প্রদান । চন্দনাইশে ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করায় শোকরানা সভা ও খাবার বিতরণ নাঙ্গলকোটে ভু’য়া দাঁতের ডাক্তারসহ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারীরা অনৈতিক কাজে আটক ইউএনও’র অফিস সহকারীর কোটি টাকার অবৈধ ছেলের নামে কেনেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট গোয়াইনঘাটে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুরাদনগরে ঘাতকের ছুরিকাঘাতে নিহত : ১ আহত-৩ বেলাবতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা

গোয়াইনঘাটে যৌতুকের টাকা চেয়ে স্ত্রীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্যাতন

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের নিজ ধরগ্রাম এলাকার গরীব অসহায় পরিবারের মেয়ে মোছা: শিরিনা বেগম (২৪) কে তার স্বামী ফখরুল ইসলাম( ৩০) যৌতুকের টাকা দাবি করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্যাতন করে।
যান যায় ৩ বছর আগে মোছা: শিরিনা বেগম তার স্বামী ফখরুল ইসলামের সঙ্গে ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক বিবাহ হয়।
তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি মেয়ে সন্তান ও রয়েছে। এবং বিবাহের সময় মোছা: শিরিনা বেগমের পিতা -মাতা এক লক্ষ টাকার মালামাল প্রদান কর। বিবাহের পর হইতে তার স্বামী ফখরুল ইসলাম তার অন্যান্য সহপাঠীদের সহযোগিতায় মোছা: শিরিনা বেগমকে বিভিন্ন রকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসতেছে। তার স্বামী ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে মোছা: শিরিনা বেগম তার পিতার কাছ থেকে একাধিক বার প্রায় নব্বই হাজার টাকা দিয়ে তার স্বামীকে ছুটিয়ে আননেন। কিন্তুু এরপরে ও ফখরুল ইসলাম কোনো কাজকর্ম না করে বিভিন্ন চুরিধারির মধ্যে লিপ্ত হয়ে আছে এবং সংসারে অহেতুক নানারকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসতেছে। উক্ত বিষয়টা একাধিক বার শিরিনা বেগমের পিতা মাতা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে জানান বিষয় টা দেখার জন্য।

কিন্তুু ইহাতে কোন সমাধান হয়নি বরং তার স্বামী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। যানা যায় শিরিনা বেগম তার স্বামী ফখরুল ইসলাম কে নিয়ে তার বাবা বাড়ি তে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানেএখানেও এসেও ফখরুল ইসলাম বিদেশ যাবে বলে শশুরবাড়ির কাছে দুই লক্ষ টাকা তাকে দেওয়ার জন্য দাবী করে এবং ফখরুল ইসলামের শশুরবাড়ির দুইটি গরু বিক্রি করে তাকে টাকা দেওয়ার জন্য বলে স্ত্রী শিরিনা বেগম কে এমতাবস্থায় ফখরুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগমকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পরে ২৭/১০/২০২৩ইং রোজ শুক্রবার অনুমানিক রাত ৮: ০০ ঘঠিায় শিরিনা বেগমের শাশুড়ী শিরিনা বেগমকে বিভিন্ন রকম গালগালি করেন এবং পরে তার স্বামী ফখরুল ইসলাম শিরিনা বেগমকে রুমের ভিতর দেখে অহেতুক অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও শিরিনা বেগমের পিত্রালয় হইতে যৌতুক বাবদ দুই লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে নাহলে তাকে তালাক দিয়ে অন্য একটা বিবাহ করবে বলে বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়। মোছা: শিরিনা বেগম এ বিষয়টি ফখরুল ইসলামের চাচা শুক্কুরের কাছে বলেন ।

কিন্তুু চাচা শশুড় শুক্কুর বিষয়টা দেখে শিরিনা বেগমকে নির্যাতন করার জন্য ফখরুল ইসলামকে আরও উৎসাহিত করে।
শিরিনা বেগম সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করলে তার স্বামীও তার সহপাঠী দুইজনের সহযোগিতায় বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে নির্যাতন শরীরের বিভিন্ন জায়গায়। পরিশেষে একপর্যায়ে স্বামী ফখরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম শিরিনা বেগমকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য তাহার গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন যানা যায় শরিফ নামের একজন ওদের হাত থেকে শিরিনা বেগমের প্রাণ রক্ষা করেন।

পরে তার শিশু সন্তানকে রেখে শিরিনা বেগমকে নির্যাতনের মাধ্যমে বাড়ি থেকে বেড় করে দেয়। পরে গোয়াইনঘাট হাসপাতালে শিরিনা বেগম কে ভর্তি করা হয় এবং এবিষয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এবং গোয়াইনঘাট মডেল থানার এসআই এনা মুল ও এএসআই নয়নের অভিযানে শিরিনা বেগমের শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে নিয়ে আছেন। এরকম যাতে আর কোন মেয়ের সাথে না ঘটে তার জন

তীব্র নিন্দা ও প্রিতবাদ জানন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা এবং নির্যাতনকারীদের যোগ্য শাস্তি দেওয়ার জন্য দাবী জানানো হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউ‌দ্দি‌নে মৃত ও অবসর প্রাপ্ত মাধ‌্যমিক শিক্ষক‌দের মা‌ঝে বি‌শেষ অনুদান প্রদান ।

গোয়াইনঘাটে যৌতুকের টাকা চেয়ে স্ত্রীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্যাতন

আপডেট সময় ০৯:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের নিজ ধরগ্রাম এলাকার গরীব অসহায় পরিবারের মেয়ে মোছা: শিরিনা বেগম (২৪) কে তার স্বামী ফখরুল ইসলাম( ৩০) যৌতুকের টাকা দাবি করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্যাতন করে।
যান যায় ৩ বছর আগে মোছা: শিরিনা বেগম তার স্বামী ফখরুল ইসলামের সঙ্গে ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক বিবাহ হয়।
তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি মেয়ে সন্তান ও রয়েছে। এবং বিবাহের সময় মোছা: শিরিনা বেগমের পিতা -মাতা এক লক্ষ টাকার মালামাল প্রদান কর। বিবাহের পর হইতে তার স্বামী ফখরুল ইসলাম তার অন্যান্য সহপাঠীদের সহযোগিতায় মোছা: শিরিনা বেগমকে বিভিন্ন রকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসতেছে। তার স্বামী ফখরুল ইসলাম বিভিন্ন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে মোছা: শিরিনা বেগম তার পিতার কাছ থেকে একাধিক বার প্রায় নব্বই হাজার টাকা দিয়ে তার স্বামীকে ছুটিয়ে আননেন। কিন্তুু এরপরে ও ফখরুল ইসলাম কোনো কাজকর্ম না করে বিভিন্ন চুরিধারির মধ্যে লিপ্ত হয়ে আছে এবং সংসারে অহেতুক নানারকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসতেছে। উক্ত বিষয়টা একাধিক বার শিরিনা বেগমের পিতা মাতা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে জানান বিষয় টা দেখার জন্য।

কিন্তুু ইহাতে কোন সমাধান হয়নি বরং তার স্বামী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। যানা যায় শিরিনা বেগম তার স্বামী ফখরুল ইসলাম কে নিয়ে তার বাবা বাড়ি তে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানেএখানেও এসেও ফখরুল ইসলাম বিদেশ যাবে বলে শশুরবাড়ির কাছে দুই লক্ষ টাকা তাকে দেওয়ার জন্য দাবী করে এবং ফখরুল ইসলামের শশুরবাড়ির দুইটি গরু বিক্রি করে তাকে টাকা দেওয়ার জন্য বলে স্ত্রী শিরিনা বেগম কে এমতাবস্থায় ফখরুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগমকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পরে ২৭/১০/২০২৩ইং রোজ শুক্রবার অনুমানিক রাত ৮: ০০ ঘঠিায় শিরিনা বেগমের শাশুড়ী শিরিনা বেগমকে বিভিন্ন রকম গালগালি করেন এবং পরে তার স্বামী ফখরুল ইসলাম শিরিনা বেগমকে রুমের ভিতর দেখে অহেতুক অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও শিরিনা বেগমের পিত্রালয় হইতে যৌতুক বাবদ দুই লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে নাহলে তাকে তালাক দিয়ে অন্য একটা বিবাহ করবে বলে বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়। মোছা: শিরিনা বেগম এ বিষয়টি ফখরুল ইসলামের চাচা শুক্কুরের কাছে বলেন ।

কিন্তুু চাচা শশুড় শুক্কুর বিষয়টা দেখে শিরিনা বেগমকে নির্যাতন করার জন্য ফখরুল ইসলামকে আরও উৎসাহিত করে।
শিরিনা বেগম সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করলে তার স্বামীও তার সহপাঠী দুইজনের সহযোগিতায় বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে নির্যাতন শরীরের বিভিন্ন জায়গায়। পরিশেষে একপর্যায়ে স্বামী ফখরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম শিরিনা বেগমকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য তাহার গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন যানা যায় শরিফ নামের একজন ওদের হাত থেকে শিরিনা বেগমের প্রাণ রক্ষা করেন।

পরে তার শিশু সন্তানকে রেখে শিরিনা বেগমকে নির্যাতনের মাধ্যমে বাড়ি থেকে বেড় করে দেয়। পরে গোয়াইনঘাট হাসপাতালে শিরিনা বেগম কে ভর্তি করা হয় এবং এবিষয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এবং গোয়াইনঘাট মডেল থানার এসআই এনা মুল ও এএসআই নয়নের অভিযানে শিরিনা বেগমের শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে নিয়ে আছেন। এরকম যাতে আর কোন মেয়ের সাথে না ঘটে তার জন

তীব্র নিন্দা ও প্রিতবাদ জানন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা এবং নির্যাতনকারীদের যোগ্য শাস্তি দেওয়ার জন্য দাবী জানানো হয়।