ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

জোড়া কলা খেলে কী সত্যিই যমজ সন্তান হয়?

জোড়া কলা খেলে কী হয়? -এ নিয়ে আমাদের চারপাশে বেশ কিছু কথা বা কুসংস্কার চালু আছে। এই জোড়া কলা নিয়ে মানুষের মনে এক ধরনের বিশ্বাস রয়েছে, যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেও বছরের পর বছর তা মেনে আসছেন অনেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসটা হলো, কোনো নারী বা পুরুষ জোড়া কলা খেলে তাদের যমজ সন্তান হবে! বিশেষ করে মেয়েদের জোড়া কলা খেতেই দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলছে, বিষয়টা কী আসলেই সত্যি না কুসংস্কার?

বিজ্ঞান কী বলছে? বিজ্ঞান কিন্তু সাফ বলছে, কলা খাওয়ার সঙ্গে আদৌ যমজ সন্তান হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি একেবারেই নিপাট কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়। বিজ্ঞান কী বলছে? বিজ্ঞান কিন্তু সাফ বলছে, কলা খাওয়ার সঙ্গে আদৌ যমজ সন্তান হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টি একেবারেই নিপাট কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়।

যমজ সন্তান কী ভাবে হয়
যমজ সাধারণত দুই প্রকার। বিজ্ঞানের ভাষায়, ‘আইডেন্টিকাল’ ও ‘নন-আইডেন্টিকাল’। সাধারণত আইডেন্টিকাল যমজ সন্তান একই ‘জাইগোট’ থেকে জন্ম নেয়। আর নন-আইডেন্টিকাল যমজের জন্ম হয় আলাদা ‘জাইগোট’ থেকে।

জাইগোট কী
প্রাণের সূচনা যে কোষ থেকে হয়, তাকেই জাইগোট বলে। সহজ করে বললে, পুরুষের শুক্রাণু যখন স্ত্রীর ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, তখন দু’টি কোষ এক হয়ে তৈরি করে একটি একক কোষ। একেই জাইগোট বলা হয়। এই জাইগোটটি এর পর বার বার বিভাজিত হয়ে এক ধরনের কোষগুচ্ছ তৈরি করে। যা ক্রমশ আরও বিভাজিত হয়ে তৈরি করে ভ্রূণ। এই ভ্রূণ থেকেই জন্ম হয় শিশুর।

সাধারণত একই জাইগোট থেকে একটি শিশুরই জন্ম হয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে একটি জাইগোট বিভাজিত হয়ে জরায়ুর অন্য কোনও স্থানে গিয়ে বসে যেতে পারে৷ তখনই দুই আলাদা অংশ থেকে দু’টি আলাদা ভ্রূণ তৈরি হয়। এ ভাবে আইডেন্টিক্যাল যমজ তৈরি হয়। কারণ এদের মূল জাইগোট একটিই। অর্থাৎ, কোনও জিনগত উপাদানে কোনও ভেদ নেই। সাধারণ ভাবে এ ক্ষেত্রে হুবহু একই রকম দেখতে এক জোড়া সন্তানের জন্ম হয়।

নন-আইডেন্টিকাল যমজ
তবে এছাড়া যমজ অন্য ভাবেও হতে পারে। সাধারণত প্রতি মাসে মাত্র একটি ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বনালি-তে আসে৷ কিন্তু, কখনও কখনও মাসে দু’টি ডিম্বনালি-তে দু’টি আলাদা ডিম্বাণু হাজির হয়। এই দু’টি ডিম্বাণু একই সঙ্গে নিষিক্ত হলেও যমজ সন্তানের জন্ম হয়।

আর এ ভাবেই পৃথিবীর আলো দেখে নন-আইডেন্টিকাল যমজেরা। তবে কলা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। কোনও অ্যালার্জি না থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হবু মায়েদের কলা খাওয়ানো যেতেই পারে। কিন্তু জোড়া কলা খাওয়ার সঙ্গে যমজ সন্তানের সত্যিই কোনও যোগ নেই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

জোড়া কলা খেলে কী সত্যিই যমজ সন্তান হয়?

আপডেট সময় ০৩:৩১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

জোড়া কলা খেলে কী হয়? -এ নিয়ে আমাদের চারপাশে বেশ কিছু কথা বা কুসংস্কার চালু আছে। এই জোড়া কলা নিয়ে মানুষের মনে এক ধরনের বিশ্বাস রয়েছে, যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেও বছরের পর বছর তা মেনে আসছেন অনেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসটা হলো, কোনো নারী বা পুরুষ জোড়া কলা খেলে তাদের যমজ সন্তান হবে! বিশেষ করে মেয়েদের জোড়া কলা খেতেই দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলছে, বিষয়টা কী আসলেই সত্যি না কুসংস্কার?

বিজ্ঞান কী বলছে? বিজ্ঞান কিন্তু সাফ বলছে, কলা খাওয়ার সঙ্গে আদৌ যমজ সন্তান হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বিষয়টি একেবারেই নিপাট কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়। বিজ্ঞান কী বলছে? বিজ্ঞান কিন্তু সাফ বলছে, কলা খাওয়ার সঙ্গে আদৌ যমজ সন্তান হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টি একেবারেই নিপাট কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়।

যমজ সন্তান কী ভাবে হয়
যমজ সাধারণত দুই প্রকার। বিজ্ঞানের ভাষায়, ‘আইডেন্টিকাল’ ও ‘নন-আইডেন্টিকাল’। সাধারণত আইডেন্টিকাল যমজ সন্তান একই ‘জাইগোট’ থেকে জন্ম নেয়। আর নন-আইডেন্টিকাল যমজের জন্ম হয় আলাদা ‘জাইগোট’ থেকে।

জাইগোট কী
প্রাণের সূচনা যে কোষ থেকে হয়, তাকেই জাইগোট বলে। সহজ করে বললে, পুরুষের শুক্রাণু যখন স্ত্রীর ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, তখন দু’টি কোষ এক হয়ে তৈরি করে একটি একক কোষ। একেই জাইগোট বলা হয়। এই জাইগোটটি এর পর বার বার বিভাজিত হয়ে এক ধরনের কোষগুচ্ছ তৈরি করে। যা ক্রমশ আরও বিভাজিত হয়ে তৈরি করে ভ্রূণ। এই ভ্রূণ থেকেই জন্ম হয় শিশুর।

সাধারণত একই জাইগোট থেকে একটি শিশুরই জন্ম হয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে একটি জাইগোট বিভাজিত হয়ে জরায়ুর অন্য কোনও স্থানে গিয়ে বসে যেতে পারে৷ তখনই দুই আলাদা অংশ থেকে দু’টি আলাদা ভ্রূণ তৈরি হয়। এ ভাবে আইডেন্টিক্যাল যমজ তৈরি হয়। কারণ এদের মূল জাইগোট একটিই। অর্থাৎ, কোনও জিনগত উপাদানে কোনও ভেদ নেই। সাধারণ ভাবে এ ক্ষেত্রে হুবহু একই রকম দেখতে এক জোড়া সন্তানের জন্ম হয়।

নন-আইডেন্টিকাল যমজ
তবে এছাড়া যমজ অন্য ভাবেও হতে পারে। সাধারণত প্রতি মাসে মাত্র একটি ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বনালি-তে আসে৷ কিন্তু, কখনও কখনও মাসে দু’টি ডিম্বনালি-তে দু’টি আলাদা ডিম্বাণু হাজির হয়। এই দু’টি ডিম্বাণু একই সঙ্গে নিষিক্ত হলেও যমজ সন্তানের জন্ম হয়।

আর এ ভাবেই পৃথিবীর আলো দেখে নন-আইডেন্টিকাল যমজেরা। তবে কলা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। কোনও অ্যালার্জি না থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হবু মায়েদের কলা খাওয়ানো যেতেই পারে। কিন্তু জোড়া কলা খাওয়ার সঙ্গে যমজ সন্তানের সত্যিই কোনও যোগ নেই।