ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

আমানের আত্মসমর্পণ, নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

ঢাকা: হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ আত্মসমর্পণ করছেন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান।

তার আত্মসমর্পণ ঘিরে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আদালত চত্বরে ভিড় করেন।

এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
পরে পুলিশ নেতাকর্মীদের আদালত চত্বর থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সেখানে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ-১ আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আমান। তার আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানউল্লাহ আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ৩০ মে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনঃশুনানি শেষে তাদের দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়।

এরপর রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান গত ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে জামিন পান।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।
পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমানউল্লাহ আমান। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

আমানের আত্মসমর্পণ, নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আপডেট সময় ০১:১২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকা: হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ আত্মসমর্পণ করছেন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান।

তার আত্মসমর্পণ ঘিরে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আদালত চত্বরে ভিড় করেন।

এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
পরে পুলিশ নেতাকর্মীদের আদালত চত্বর থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সেখানে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ-১ আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আমান। তার আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানউল্লাহ আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ৩০ মে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনঃশুনানি শেষে তাদের দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়।

এরপর রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান গত ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে জামিন পান।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।
পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমানউল্লাহ আমান। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।