জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির বস্তা বন্দী গলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।শনিবার রাত ৯টায় দিকে উপজেলার ধরঞ্জী বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মৃত শুকুর আলীর ছেলে সামছুল ইসলামের বাড়ির গোসল খানার মেঝের নিচ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ঔ বাড়িতে কর্মরত রাজমিস্ত্রি শ্রমিক নবিউল ইসলাম ও উজ্জল হোসেন বাড়িটিতে সংস্কার কাজ করছিলেন তারা। বালু সিমেন্ট মেশানো মসলা বেশি হওয়াই বাড়ির মালিক তাদেরকে গোসল খানার মেঝের কাজ করতে বলেন। এ কাজ করতে গিয়ে তারা সেখানে কোদাল দিয়ে মাটি সরাতেই অর্ধ পচা জিন্সের প্যান্ট, বেল্ট দেখে এবং গর্ত থেকে লাশের পচা দুর্গন্ধ পায় তারা।
এ অবস্থায় তারা ভয় পেয়ে কাউকে কিছু না বলে জায়গাটি মাটি চাপা দিয়ে বিষয়টি পাঁচবিবি থানায় বলেন । খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) ইশতিয়াক আলম, পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদুল হক, সিআইডি সদস্যের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
এদিকে, একই গ্রামের মৃত মাসুদ রানার ছেলে নাইম হোসেন নামের এক যুবক চলতি বছরের ২২ এগ্রিল রাত ৮টার দিকে ধরঞ্জী বাজারে যাওয়ার কথা বলে জানান, পরে বের হয়ে আসার পর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর তাকে না পেয়ে । ২৫ এপ্রিল নাইমের মামা ওহেদুল ইসলাম পাঁচবিবি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি করার সাড়ে ৪ মাস পার হলেও নাইমের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয়রা এটি নাইমের লাশ বলে ধারণা করছেন।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, যেই স্থানে লাশটি পাওয়া গেছে । সেটি ফাঁকা স্থান ছিল। ওই বাড়ির মালিক বাইরে থাকতেন । বাড়িতে এসে রাজমিস্ত্রী লাগিয়ে নির্মাণের কিছু কাজ করছেন। ফাঁকা স্থানে গোসলখানা বানানোর জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে কাপড় ও দুর্গন্ধ পেয়ে আমাদের খবর দিলে মাটি খুঁড়ে লাশ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পুরুষের লাশ। লাশের নমুনা ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পেলে সঠিক পরিচয় জানা যাবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইশতিয়াক আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি সম্পূর্ণ গলিত এবং কিছু হাড় পাওয়া গিয়েছে। ফরেনসিকসহ ডিএনএ টেস্টের পর পরিচয় শনাক্তকরণ সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।