আশ্রয়ন প্রকল্প বদলে দিয়েছে চান্দিনারগৃহহীন মানুষের জীবন। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হয়েছে তাদের সুরক্ষিত নিরাপদ ঠিকানা। মাটির মালিকানায় পেয়ে এখন তারা স্বাবলম্বী হওয়ার পথে। বয়সের ভাড়ে নুজ্য বিধবা তাহমিন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে জীবনের গল্পটা যেন বদলে গেছে তার। জায়গা জমি ছিল না তার, পরের জমিতে কাজ আর অন্যের জায়গায় ঝুপরী করে থাকতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দেওয়ায় তিনি আবেগ আপ্লুত। একই অভিব্যক্তি রিকসা চালক মতিনের। কোন মতে তার ৬ সদস্যের সংসার চললেও কোন জমিন নেই তার। বিনামূলে জমি ও ঘর পাবেন তা কোন দিনও ভাবতে পারেনি। তাই আশ্রয়ন প্রকল্পে ঠাঁই পেয়ে দারুন খুশি।
কিছুদিন আগেও যাদের ছিল না কোনো মাথা গোঁজার ঠাঁই, তারা এখন রঙিন টিন আর আধাপাকা বাড়িতে বসবাস করছেন। দুই শতক জায়গা সহ ঘরের মালিক হওয়ায় নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে চান্দিনা উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা।বিশুদ্ধ খাবার পানি, ঘরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহনের কথা জানান চান্দিনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্নবাসনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়ন ঘটবে বলে মনে করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত।
আশ্রয়ন প্রকল্প আওতায় প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় পর্যায়ে চান্দিনায় ভূমিহীন গৃহহীন ২শত১৬ টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দেবেশ চন্দ্র দাস বলেন, এক টুকরো জমির সাথে যারা পেয়েছে নতুন ঘর, তারা যেন বিশ্বকে জয় করেছে। হয়ে উঠেছে আত্যপ্রত্যয়ী। মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠা এসব আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক দুস্থ মানুষের জীবনের কষ্ঠের গল্পের ইতি হবে।