ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ কেড়ে নিলো বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির প্রান কুমিল্লায় ভারতীয় মদসহ ৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি রোটারি ক্লাব অব পাবনার উদ্যোগে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের মাঝে পূজা বস্ত্র বিতরণ কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক ১ সরকারি ব্যবস্থায় দুর্নীতি বন্ধ চান এনজিও নেতারা কাবা শরিফের গিলাফ উপহার পেলেন ধর্ম উপদেষ্টা সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরখাস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুজা মন্ডবে শেষ প্রতিমা তৈরীর কাজ, চলছে শেষ সময়ে প্রস্তুতি লালমনিরহাটে মধ্যরাতে আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান, কোটি টাকার ক্ষতি কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানা গ্রাম পুলিশের নির্দেশে রাতের অন্ধকারে অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ।

জগন্নাথপুর শ্রীরামসি গ্রামে শিশু ধর্ষন; আসামী জয়নুল আজো অধরা

ধর্ষনের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও আজো ধরা চোয়ার বাহিরে অধরাই থেকে গেলো ধর্ষক জয়নুল ইসলাম।

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নবীনগর শ্রীরামসি গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে ধর্ষক জয়নুল ইসলাম (৪০)।

সরেজমিন ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, গত ৩১ মে নিজ বাড়ী হইতে পার্শ্ববর্তী নানার বাড়ী শুটকি আনতে গিয়েছিল ভিকটিম শিশুটি।তখন নানার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে ফিরার সময় পথিমধ্য একই গ্রামের জয়নুল ইসলাম শিশুবাচ্চাকে কাছে ডেকে নিয়ে পুকুর পাড়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এবং বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি প্রদান করে ধর্ষক। হুমকির ভয়ে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বিষয়টি প্রথমে কাউকে বলেনি। মেয়ের শারীরিক অবস্থা অস্বাভাবিক দেখতে পেয়ে এবং শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় পরিবারের লোকজন মিলে তাৎক্ষণিক ভিকটিম শিশুকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসিতে রেফার করেন। তারপর সেখানেই অনেকদিন চিকিৎসার পর বাসায় ফিরে। এই
ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক জয়নুল ইসলাম পলাতক রয়েছে বলে জানায় তার পরিবার। ভিকটিম ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক জয়নুল ইসলাম (৪৫)কে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলাও দায়ের করেন।

ভিকটিম ছাত্রীর মা রিনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন,আমরা গরিব,অসহায়। আজকাল গরিবের বিচার নাই। আমার নাবালক ১০ বছরের শিশুকে জয়নুল ইসলাম ধর্ষন করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমার বাচ্চাটা আজ গৃহবন্দী, তার ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আমি চিন্তিত। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেনীতে পড়তো আমার বাচ্চা। তার পড়ালেখা বর্তমানে বন্ধ। আমি ৪ মাস আগে থানায় মামলা করছি কিন্তু আসামী জয়নুলকে আজো ধরেনি পুলিশ। আমি বিচার চাই সবার কাছে।আমার অবুঝ শিশুটার সাথে পশুর মতো আচরণ করছে। এই পাষণ্ড ধর্ষক জয়নুল ইসলামকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হউক।

উক্ত বিষয়টি খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সানজিদা নাসরিন ডায়না সরেজমিনে বাচ্চাটিকে দেখতে যান।তিনি বলেন,খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, আজো আসামি ধরা হয়নি বিষয় টি দুঃখজনক। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি খুব দ্রুত তারে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষক জয়নুল যে কাজটা করেছে এটা খুবই নিন্দনীয় ও ঘৃনার কাজ। আমি আজ শুনেছি, অবশ্যই এরকম নেক্কারজনক ঘটনার৷ জন্য ধর্ষকের সর্বোচ্ছ শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,আমরা ধর্ষক জয়নুলকে ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতেছি। এবং গ্রেপ্তার করতে অভিযান এখনো অব্যাহত আছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ কেড়ে নিলো বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির প্রান

জগন্নাথপুর শ্রীরামসি গ্রামে শিশু ধর্ষন; আসামী জয়নুল আজো অধরা

আপডেট সময় ০৫:১৮:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ধর্ষনের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও আজো ধরা চোয়ার বাহিরে অধরাই থেকে গেলো ধর্ষক জয়নুল ইসলাম।

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নবীনগর শ্রীরামসি গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে ধর্ষক জয়নুল ইসলাম (৪০)।

সরেজমিন ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, গত ৩১ মে নিজ বাড়ী হইতে পার্শ্ববর্তী নানার বাড়ী শুটকি আনতে গিয়েছিল ভিকটিম শিশুটি।তখন নানার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে ফিরার সময় পথিমধ্য একই গ্রামের জয়নুল ইসলাম শিশুবাচ্চাকে কাছে ডেকে নিয়ে পুকুর পাড়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এবং বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি প্রদান করে ধর্ষক। হুমকির ভয়ে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বিষয়টি প্রথমে কাউকে বলেনি। মেয়ের শারীরিক অবস্থা অস্বাভাবিক দেখতে পেয়ে এবং শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় পরিবারের লোকজন মিলে তাৎক্ষণিক ভিকটিম শিশুকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসিতে রেফার করেন। তারপর সেখানেই অনেকদিন চিকিৎসার পর বাসায় ফিরে। এই
ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক জয়নুল ইসলাম পলাতক রয়েছে বলে জানায় তার পরিবার। ভিকটিম ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক জয়নুল ইসলাম (৪৫)কে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলাও দায়ের করেন।

ভিকটিম ছাত্রীর মা রিনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন,আমরা গরিব,অসহায়। আজকাল গরিবের বিচার নাই। আমার নাবালক ১০ বছরের শিশুকে জয়নুল ইসলাম ধর্ষন করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। আমার বাচ্চাটা আজ গৃহবন্দী, তার ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আমি চিন্তিত। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেনীতে পড়তো আমার বাচ্চা। তার পড়ালেখা বর্তমানে বন্ধ। আমি ৪ মাস আগে থানায় মামলা করছি কিন্তু আসামী জয়নুলকে আজো ধরেনি পুলিশ। আমি বিচার চাই সবার কাছে।আমার অবুঝ শিশুটার সাথে পশুর মতো আচরণ করছে। এই পাষণ্ড ধর্ষক জয়নুল ইসলামকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হউক।

উক্ত বিষয়টি খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সানজিদা নাসরিন ডায়না সরেজমিনে বাচ্চাটিকে দেখতে যান।তিনি বলেন,খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, আজো আসামি ধরা হয়নি বিষয় টি দুঃখজনক। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি খুব দ্রুত তারে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষক জয়নুল যে কাজটা করেছে এটা খুবই নিন্দনীয় ও ঘৃনার কাজ। আমি আজ শুনেছি, অবশ্যই এরকম নেক্কারজনক ঘটনার৷ জন্য ধর্ষকের সর্বোচ্ছ শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,আমরা ধর্ষক জয়নুলকে ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতেছি। এবং গ্রেপ্তার করতে অভিযান এখনো অব্যাহত আছে।