ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ কেড়ে নিলো বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির প্রান কুমিল্লায় ভারতীয় মদসহ ৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি রোটারি ক্লাব অব পাবনার উদ্যোগে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের মাঝে পূজা বস্ত্র বিতরণ কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক ১ সরকারি ব্যবস্থায় দুর্নীতি বন্ধ চান এনজিও নেতারা কাবা শরিফের গিলাফ উপহার পেলেন ধর্ম উপদেষ্টা সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরখাস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুজা মন্ডবে শেষ প্রতিমা তৈরীর কাজ, চলছে শেষ সময়ে প্রস্তুতি লালমনিরহাটে মধ্যরাতে আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান, কোটি টাকার ক্ষতি কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানা গ্রাম পুলিশের নির্দেশে রাতের অন্ধকারে অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ।

ভৈরবে মেঘনা নদীতে অবৈধ ড্রেজিংয়ে বালি উত্তোলন, ভাঙ্গন আতঙ্কে গ্রামবাসী

ভৈরবে মেঘনা নদীতে অবৈধ ড্রেজিংয়ে বালি উত্তোলন করছে একটি প্রভাব শালী চক্র । এতে ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটছে শামপুর গ্রামবাসী । বার বার বাধা দিয়ে ও বন্ধ হচ্ছেনা বালি উত্তোলন । প্রতিকার চেয়ে বালি উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছে শামপুর গ্রামবাসি । স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বলছে নদী থেকে বালি উত্তোলন অবৈধ । বালি উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে । শামপুর গ্রামবাসিরা জানায়, গত কয়েক দিন যাবত একটি প্রভাবশালী চক্র আগানগর ইউপি সদস্য রাশেদ মেম্বারের প্রত্যক্ষ মদদে শামপুর গ্রামের বেড়িবাধঁ সংলগ্ন স্থান থেকে ড্রেজারে বালি উত্তোলন করছে । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা ড্রেজারে বালি উত্তোলনের ফলে গ্রামটি যে কোন সময় মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে । গ্রামে ২ হাজার লোকের বস- বাস । গ্রামটি বিলীন হয়ে গেলে ২ হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়বে । তাদের মাথা গোজাঁর ঠাই থাকবেনা । শুধু শামপুর গ্রামই নয় বালি উত্তোলনের ফলে আশ-পাশের ফসলি জমি এবং গ্রাম ও নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।

এ বিষয়ে শামপুর গ্রামের মোঃ হোসেন মিয়া জানান, শামপুর গ্রামের বেড়িবাধঁ সংলগ্ন নদী থেকে ড্রেজারে বালি উত্তোলনের কারনে গ্রামটি যে কোন সময় মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে । আমরা বাধা দেওয়ার পর ও তারা বালি উত্তোলন বন্ধ করছেনা । এ বিষয়ে একই এলাকার মিজান মিয়া জানান, গ্রামটি মেঘনা নদী ঘেষা হওয়ায় আমরা ভাঙন আতঙ্কে থাকতাম সব সময় । কিন্ত বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রচেষ্টায় ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য একটি বেড়িঁবাধ নির্মাণ করে দিয়েছে । এখন বালি উত্তোলনের বেড়িবাধ ভেঙে গ্রামটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে আমাদের মাথা গোজাঁর ঠাই থাকবেনা । তাই স্থানীয় প্রশাসন ও সাংসদ নাজমুল হাসান পাপন যেন বালি উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেয় । একই কথা জানালেন হোসেন মিয়া,অহিদ মিয়া,মোজাম্মেল,রুহুল আমিন শামিমসহ এলাকাবাসিরা ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আগানগর ইউপি সদস্য রাশেদ মিয়া জানান, নদী খনন করার দরকার হলে খনন করতে হবেনা ।ড্রেজার যুবলীগের অরুন আল আজাদের । তবে আমি ড্রেজারের জায়গা দেখানোর জন্য একদিন সেখানে গিয়ে ছিলাম ।ড্রেজার আমার না ।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক অরুন আল আজাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,বালি নিলামের প্রয়োজনীয় একটি ডকুমেন্ট না থাকায় ড্রেজিং করা হয়নি ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, নদী থেকে বালি উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ । শামপুর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ড্রেজারে বালি উত্তোলন করছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি । তবে বালি উত্তোলন বন্ধে ড্রেজার মালিককে নিষেধ করা হয়েছে । তবে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বালি মহাল করা হবে এজন্য নদী সার্ভে, জরিপসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে বৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালি উত্তোলন করা গেলে সরকার ও রাজস্ব পাবে ।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, কোথা থেকে বালি উত্তোলন হচ্ছে । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেন বালি উত্তোলনের বিষয়ে আমার কোন দায়িত্ব নেই ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ কেড়ে নিলো বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির প্রান

ভৈরবে মেঘনা নদীতে অবৈধ ড্রেজিংয়ে বালি উত্তোলন, ভাঙ্গন আতঙ্কে গ্রামবাসী

আপডেট সময় ০২:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভৈরবে মেঘনা নদীতে অবৈধ ড্রেজিংয়ে বালি উত্তোলন করছে একটি প্রভাব শালী চক্র । এতে ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটছে শামপুর গ্রামবাসী । বার বার বাধা দিয়ে ও বন্ধ হচ্ছেনা বালি উত্তোলন । প্রতিকার চেয়ে বালি উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছে শামপুর গ্রামবাসি । স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বলছে নদী থেকে বালি উত্তোলন অবৈধ । বালি উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে । শামপুর গ্রামবাসিরা জানায়, গত কয়েক দিন যাবত একটি প্রভাবশালী চক্র আগানগর ইউপি সদস্য রাশেদ মেম্বারের প্রত্যক্ষ মদদে শামপুর গ্রামের বেড়িবাধঁ সংলগ্ন স্থান থেকে ড্রেজারে বালি উত্তোলন করছে । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা ড্রেজারে বালি উত্তোলনের ফলে গ্রামটি যে কোন সময় মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে । গ্রামে ২ হাজার লোকের বস- বাস । গ্রামটি বিলীন হয়ে গেলে ২ হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়বে । তাদের মাথা গোজাঁর ঠাই থাকবেনা । শুধু শামপুর গ্রামই নয় বালি উত্তোলনের ফলে আশ-পাশের ফসলি জমি এবং গ্রাম ও নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।

এ বিষয়ে শামপুর গ্রামের মোঃ হোসেন মিয়া জানান, শামপুর গ্রামের বেড়িবাধঁ সংলগ্ন নদী থেকে ড্রেজারে বালি উত্তোলনের কারনে গ্রামটি যে কোন সময় মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে । আমরা বাধা দেওয়ার পর ও তারা বালি উত্তোলন বন্ধ করছেনা । এ বিষয়ে একই এলাকার মিজান মিয়া জানান, গ্রামটি মেঘনা নদী ঘেষা হওয়ায় আমরা ভাঙন আতঙ্কে থাকতাম সব সময় । কিন্ত বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রচেষ্টায় ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য একটি বেড়িঁবাধ নির্মাণ করে দিয়েছে । এখন বালি উত্তোলনের বেড়িবাধ ভেঙে গ্রামটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে আমাদের মাথা গোজাঁর ঠাই থাকবেনা । তাই স্থানীয় প্রশাসন ও সাংসদ নাজমুল হাসান পাপন যেন বালি উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেয় । একই কথা জানালেন হোসেন মিয়া,অহিদ মিয়া,মোজাম্মেল,রুহুল আমিন শামিমসহ এলাকাবাসিরা ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আগানগর ইউপি সদস্য রাশেদ মিয়া জানান, নদী খনন করার দরকার হলে খনন করতে হবেনা ।ড্রেজার যুবলীগের অরুন আল আজাদের । তবে আমি ড্রেজারের জায়গা দেখানোর জন্য একদিন সেখানে গিয়ে ছিলাম ।ড্রেজার আমার না ।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক অরুন আল আজাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,বালি নিলামের প্রয়োজনীয় একটি ডকুমেন্ট না থাকায় ড্রেজিং করা হয়নি ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, নদী থেকে বালি উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ । শামপুর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ড্রেজারে বালি উত্তোলন করছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি । তবে বালি উত্তোলন বন্ধে ড্রেজার মালিককে নিষেধ করা হয়েছে । তবে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বালি মহাল করা হবে এজন্য নদী সার্ভে, জরিপসহ প্রয়োজনীয় কাজ শেষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে বৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালি উত্তোলন করা গেলে সরকার ও রাজস্ব পাবে ।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, কোথা থেকে বালি উত্তোলন হচ্ছে । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেন বালি উত্তোলনের বিষয়ে আমার কোন দায়িত্ব নেই ।