ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ কেড়ে নিলো বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির প্রান কুমিল্লায় ভারতীয় মদসহ ৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি রোটারি ক্লাব অব পাবনার উদ্যোগে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের মাঝে পূজা বস্ত্র বিতরণ কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক ১ সরকারি ব্যবস্থায় দুর্নীতি বন্ধ চান এনজিও নেতারা কাবা শরিফের গিলাফ উপহার পেলেন ধর্ম উপদেষ্টা সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরখাস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুজা মন্ডবে শেষ প্রতিমা তৈরীর কাজ, চলছে শেষ সময়ে প্রস্তুতি লালমনিরহাটে মধ্যরাতে আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান, কোটি টাকার ক্ষতি কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানা গ্রাম পুলিশের নির্দেশে রাতের অন্ধকারে অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ।

পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অবহেলা করায় মাদারীপুরের ৩ প্রধান শিক্ষক ও ১ সহকারী প্রধান শিক্ষক ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অবহেলা করায় মাদারীপুর জেলার ৩ প্রধান শিক্ষক ও ১ সহকারী প্রধান শিক্ষককে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

মঙ্গলবার কালো তালিকাভুক্ত এসব শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোঃআবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে মাদারীপুর জেলার তিন প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী প্রধান শিক্ষক ছাড়াও ঢাকা বোর্ডের অধীনে অন্যান্য জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরো ৩৫ জন (মোট ৩৯ জন) শিক্ষক রয়েছেন।

তালিকায় অভিযুক্ত শিক্ষকগন আগামী ৫ বছর বোর্ডের অধীনে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানানো হয় নোটিশে।

কালো তালিকায় মাদারীপুর জেলার শিক্ষকরা হলেন কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর হাকিমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাশার আহমেদ,মাদারীপুর সদর উপজেলার চরগোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলুল হক মিয়া,শিবচর উপজেলার শিবচর নন্দকুমার মডেল ইন্সটেটিউট এর প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশীদ মিয়া এবং কালকিনি উপজেলার কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমীর সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেন।

জানা যায়,সদ্য প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে খাতা চ্যালেঞ্জ করেন বহু পরীক্ষার্থী।এদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৬২ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।প্রথমবার প্রকাশিত ফলাফলে ফেল করেছেন এমন দুই হাজার ২১২ জন শিক্ষার্থী পরবর্তীতে পাস করেছে।
এছাড়া নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৮১১ জন শিক্ষার্থী।এমনকি প্রথমে ফেল করা ৬ জন শিক্ষার্থী পরবর্তীতে শুধু পাশ নয়,তারা জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এত বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফল প্রথমবার ভুল আসার পেছনে পরীক্ষকদের গাফিলতির বিষয়টি চিহ্নিত করেছে বোর্ড।

শিক্ষকদের এরকম ভুলে ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীদের জীবন শেষ হয়ে যেতে পারতো বলে অভিযোগ করেছে অভিভাবকরা। তাছাড়া শিক্ষকদের এমন গাফিলতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ কেড়ে নিলো বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির প্রান

পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অবহেলা করায় মাদারীপুরের ৩ প্রধান শিক্ষক ও ১ সহকারী প্রধান শিক্ষক ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

আপডেট সময় ১০:৩৯:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অবহেলা করায় মাদারীপুর জেলার ৩ প্রধান শিক্ষক ও ১ সহকারী প্রধান শিক্ষককে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

মঙ্গলবার কালো তালিকাভুক্ত এসব শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোঃআবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে মাদারীপুর জেলার তিন প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী প্রধান শিক্ষক ছাড়াও ঢাকা বোর্ডের অধীনে অন্যান্য জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরো ৩৫ জন (মোট ৩৯ জন) শিক্ষক রয়েছেন।

তালিকায় অভিযুক্ত শিক্ষকগন আগামী ৫ বছর বোর্ডের অধীনে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানানো হয় নোটিশে।

কালো তালিকায় মাদারীপুর জেলার শিক্ষকরা হলেন কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর হাকিমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাশার আহমেদ,মাদারীপুর সদর উপজেলার চরগোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলুল হক মিয়া,শিবচর উপজেলার শিবচর নন্দকুমার মডেল ইন্সটেটিউট এর প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশীদ মিয়া এবং কালকিনি উপজেলার কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমীর সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেন।

জানা যায়,সদ্য প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে খাতা চ্যালেঞ্জ করেন বহু পরীক্ষার্থী।এদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৬২ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।প্রথমবার প্রকাশিত ফলাফলে ফেল করেছেন এমন দুই হাজার ২১২ জন শিক্ষার্থী পরবর্তীতে পাস করেছে।
এছাড়া নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৮১১ জন শিক্ষার্থী।এমনকি প্রথমে ফেল করা ৬ জন শিক্ষার্থী পরবর্তীতে শুধু পাশ নয়,তারা জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এত বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফল প্রথমবার ভুল আসার পেছনে পরীক্ষকদের গাফিলতির বিষয়টি চিহ্নিত করেছে বোর্ড।

শিক্ষকদের এরকম ভুলে ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীদের জীবন শেষ হয়ে যেতে পারতো বলে অভিযোগ করেছে অভিভাবকরা। তাছাড়া শিক্ষকদের এমন গাফিলতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।