ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ কেড়ে নিলো বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির প্রান কুমিল্লায় ভারতীয় মদসহ ৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি রোটারি ক্লাব অব পাবনার উদ্যোগে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের মাঝে পূজা বস্ত্র বিতরণ কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক ১ সরকারি ব্যবস্থায় দুর্নীতি বন্ধ চান এনজিও নেতারা কাবা শরিফের গিলাফ উপহার পেলেন ধর্ম উপদেষ্টা সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরখাস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুজা মন্ডবে শেষ প্রতিমা তৈরীর কাজ, চলছে শেষ সময়ে প্রস্তুতি লালমনিরহাটে মধ্যরাতে আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান, কোটি টাকার ক্ষতি কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানা গ্রাম পুলিশের নির্দেশে রাতের অন্ধকারে অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ।

কালাইয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও জান্নাত আরা তিথি

কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই প্রশাসনিক ও মানবিক কাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বদলেছে অনেক কিছুই। তার এসব কর্মকান্ডে উপজেলাবাসীর কাছে তিনি এখন বেশ প্রশংসিত।

সেবা গ্রহনে ইচ্ছুক যে কোন শ্রেনি-পেশা ও ধর্ম-বর্নের মানুষ সরাসরি নির্ভয়ে প্রশাসনের সেবা গ্রহন করছেন। তার আচার, ব্যবহার, কর্মদক্ষতা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতায় মুগ্ধ উপজেলাবাসী।

দাপ্তরিক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবায় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ সহ সাধারণ মানুষের কাছে তার নাম এখন জনপ্রিয়।

জান্নাত আরা তিথি গত ২০২২ সালের ১৩ অক্টেবার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় ইউএনও হিসাবে যোগদান করেন। তিনি এই উপজেলায় যোগদানের এক বছরের মধ্যে তার বিভিন্ন গৃহীত কর্মকাণ্ডের জন্য সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন।
যোগদানের পর থেকেই মানবিক সেবার পাশাপাশি তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে দালালমুক্ত প্রশাসন এবং সেবা গ্রহনকারীদের হয়রানী।

সম্প্রীতি কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার উদয়পুর এবং আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নে ড্রেন বন্ধ হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বন্ধ ড্রেনগুলি উন্মুক্ত করে দেন মানবিক ইউএনও জান্নাত আরা তিথি। এর ফলে এসব এলাকার কৃষকদের ফলানো ২ হাজার হেক্টরের অধিক ফসল আমন ধান রক্ষা হয়। কৃষি জমি রক্ষায় এ অভিযান পরিচালনার বিষয়টি খুবই ভালো চোখে দেখছেন এলাকার সাধারণ জনগণ। এতে ব্যাপক প্রশংসিতও হয়েছেন তিনি। কালাই উপজেলা প্রশাসনের এটি একটি নতুন চমক হিসেবেও দেখছেন এলাকাবাসী। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এরকম দক্ষ ও অভিজ্ঞ অফিসার থাকলে এ উপজেলা আরো এগিয়ে যাবে। এছাড়াও নকল, ভেজাল রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে আসছে তিনি।

এদিকে সেবা নিতে আসা সংলিষ্ট মহলরা জানান, ইউএনও জান্নাত আরা তিথি এ যোগদানের পর থেকে উপজেলার দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন।

গত সময়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার (ইউএনও) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসের দরজা সব সময় বন্ধ থাকত এবং কক্ষে প্রবেশের আগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ও অফিস সহকারীর মাধ্যমে সাক্ষাৎ প্রার্থীদের অনুমতি’র বাধ্যবাধকতা ছিল। আর এখন তিনি অফিস কক্ষের দরজা উন্মুক্ত রাখেন। আর এ কারনে অনুমতি ছাড়াই যে কেউ সাক্ষাৎ ও পরামর্শ নিতে পাচ্ছেন বর্তমান ইউএনও’র কাছে। তাছাড়াও এখন ইউএনও’র অফিস কক্ষে শুধু মাত্র বৈদ্যুতিক পাখা চললেও বন্ধ থাকে এসি।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের জমিনপুর, চেচুড়িয়া এবং শ্রীপুর গ্রামের ওসমান, এমদাদুল, ইউসুফ, আনোয়ার, আঃ গুনি, হামিদ, তালেব, খোরশেদসহ আরো অনেকেই বলেন, আমরা মাঠের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের জন্য ইউএনও স্যারের কাছে গেলে আমাদের অভিযোগ খুব মনোযোগের সহিত ধৈর্য সহকারে শুনেন এবং সমাধান করে দিবেন বলে পরে আমাদের প্রতি অনেক সম্মান দেখিয়ে বিদায় করে দেন। তার কথা অনুযায়ী তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমাধান করে দেন। তার কথা, কাজ ও ব্যবহারে মুগ্ধ সবাই। অভিজ্ঞ ও দক্ষ এ অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা ।

কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আসেন ক্ষেতলাল উপজেলার ওয়ার গ্রাম থেকে নুরুল ইসলাম। তার ছেলে মাদকাসক্ত হওয়ায় সঠিক রাস্তায় ফিরাতে এবং ভাল রাখার জন্য নুরুল ইসলাম ইউএনওর অফিসে পরামর্শ নিতে আসেন। ইউএনও তাকে সম্মানের সাথে চেয়ারে বসতে বলেন এবং চা খাওয়ান। তিনি পরামর্শ দিলে পরে তার অসাধারণ পরামর্শ পেয়ে খুশি হয়ে প্রশংসা জ্ঞাপন করেন।

কালাই পৌরসভার আকন্দপাড়ার মহল্ল্যার অসহায় নিপা আক্তার জানান, তার দুই কন্যা রেখে হঠাৎ স্বামী স্ট্রোক করে মারা যায়। তখন দিশেহারা হয়ে পরে। ইউএনও তার বিষয় জানতে পারেন। পরে তাকে ডেকে সান্তনা দেন,সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়াও তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ।

এ ছাড়াও উপজেলায় তার আরো অনেক অবদান রয়েছে যা শেষ করার নই। ইউএনও অফিসে সেবার আগত অনেকেই জানান, যে কোন ব্যক্তি যার যে সমস্যা নিয়ে আসুক না কেন তিনি ধৈর্য ও মনোযোগের সহিত তাদের কথা শুনেন এবং যার যেভাবে সমাধান হবে সেভাবেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারা আরো বলেন, আমরা যতটা ইউএনও’র নিকট থেকে পাওয়ার আশা করিনা তার তার চেয়ে বেশি কিছু পাই।

উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি যোগদানের পর থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতি তার সদচারণে ভক্ত। তিনি একজন ভদ্র, সৎ সেইসাথে একজন মেধাবী কর্মকর্তাও। সেবা নিতে আসা অনেককেই তার বিষয়ে প্রশংসা করতে শুনেছি।

কালাই উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি বলেন, আমার জন্মস্থান ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়। আমি ঝিনাইদহ সরকরি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ম্যাধমিক, ঝিনাইদহ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয় নিয়ে অর্নাসসহ মার্ষ্টাস ডিগ্রী অর্জন করি এবং ৩৪তম বিসিএস পরিক্ষায় প্রশাসশন ক্যাডারে কৃতিত্বের সাথে উর্ত্তীর্ন হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাকুরির পর কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি ।
তিনি আরো জানান, তার স্বামী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বর্তমানে তার একটি একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে।

উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি বলেন, সাধারন মানুষের সেবা নিশ্চিত করাই আমার চাকুরী। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা কঠোর অবস্থানে থাকবে। যেহেতু সেবা গ্রহনকারীদের মধ্যে অধিকাংশই গ্রামের সরল মানুষ। এসি চালাতে গেলে দরজা বন্ধ রাখতে হয়, সে কারনে সেবা গ্রহনকারীদের মধ্যে প্রায় সবাই দরিদ্র ও অসহায় প্রকৃতির মানুষ তাই দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতে তারা ভয় পান। অনুমতিরও ঝামেলা পোহাতে হয়, তাই বলে অফিসের দরজা সব সময় উন্মুক্ত থাকে। তা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কে তথ্য প্রদানে সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ কেড়ে নিলো বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির প্রান

কালাইয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও জান্নাত আরা তিথি

আপডেট সময় ০২:০০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই প্রশাসনিক ও মানবিক কাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বদলেছে অনেক কিছুই। তার এসব কর্মকান্ডে উপজেলাবাসীর কাছে তিনি এখন বেশ প্রশংসিত।

সেবা গ্রহনে ইচ্ছুক যে কোন শ্রেনি-পেশা ও ধর্ম-বর্নের মানুষ সরাসরি নির্ভয়ে প্রশাসনের সেবা গ্রহন করছেন। তার আচার, ব্যবহার, কর্মদক্ষতা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতায় মুগ্ধ উপজেলাবাসী।

দাপ্তরিক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবায় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ সহ সাধারণ মানুষের কাছে তার নাম এখন জনপ্রিয়।

জান্নাত আরা তিথি গত ২০২২ সালের ১৩ অক্টেবার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় ইউএনও হিসাবে যোগদান করেন। তিনি এই উপজেলায় যোগদানের এক বছরের মধ্যে তার বিভিন্ন গৃহীত কর্মকাণ্ডের জন্য সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন।
যোগদানের পর থেকেই মানবিক সেবার পাশাপাশি তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে দালালমুক্ত প্রশাসন এবং সেবা গ্রহনকারীদের হয়রানী।

সম্প্রীতি কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার উদয়পুর এবং আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নে ড্রেন বন্ধ হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বন্ধ ড্রেনগুলি উন্মুক্ত করে দেন মানবিক ইউএনও জান্নাত আরা তিথি। এর ফলে এসব এলাকার কৃষকদের ফলানো ২ হাজার হেক্টরের অধিক ফসল আমন ধান রক্ষা হয়। কৃষি জমি রক্ষায় এ অভিযান পরিচালনার বিষয়টি খুবই ভালো চোখে দেখছেন এলাকার সাধারণ জনগণ। এতে ব্যাপক প্রশংসিতও হয়েছেন তিনি। কালাই উপজেলা প্রশাসনের এটি একটি নতুন চমক হিসেবেও দেখছেন এলাকাবাসী। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এরকম দক্ষ ও অভিজ্ঞ অফিসার থাকলে এ উপজেলা আরো এগিয়ে যাবে। এছাড়াও নকল, ভেজাল রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে আসছে তিনি।

এদিকে সেবা নিতে আসা সংলিষ্ট মহলরা জানান, ইউএনও জান্নাত আরা তিথি এ যোগদানের পর থেকে উপজেলার দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন।

গত সময়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার (ইউএনও) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসের দরজা সব সময় বন্ধ থাকত এবং কক্ষে প্রবেশের আগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ও অফিস সহকারীর মাধ্যমে সাক্ষাৎ প্রার্থীদের অনুমতি’র বাধ্যবাধকতা ছিল। আর এখন তিনি অফিস কক্ষের দরজা উন্মুক্ত রাখেন। আর এ কারনে অনুমতি ছাড়াই যে কেউ সাক্ষাৎ ও পরামর্শ নিতে পাচ্ছেন বর্তমান ইউএনও’র কাছে। তাছাড়াও এখন ইউএনও’র অফিস কক্ষে শুধু মাত্র বৈদ্যুতিক পাখা চললেও বন্ধ থাকে এসি।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের জমিনপুর, চেচুড়িয়া এবং শ্রীপুর গ্রামের ওসমান, এমদাদুল, ইউসুফ, আনোয়ার, আঃ গুনি, হামিদ, তালেব, খোরশেদসহ আরো অনেকেই বলেন, আমরা মাঠের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের জন্য ইউএনও স্যারের কাছে গেলে আমাদের অভিযোগ খুব মনোযোগের সহিত ধৈর্য সহকারে শুনেন এবং সমাধান করে দিবেন বলে পরে আমাদের প্রতি অনেক সম্মান দেখিয়ে বিদায় করে দেন। তার কথা অনুযায়ী তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমাধান করে দেন। তার কথা, কাজ ও ব্যবহারে মুগ্ধ সবাই। অভিজ্ঞ ও দক্ষ এ অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা ।

কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আসেন ক্ষেতলাল উপজেলার ওয়ার গ্রাম থেকে নুরুল ইসলাম। তার ছেলে মাদকাসক্ত হওয়ায় সঠিক রাস্তায় ফিরাতে এবং ভাল রাখার জন্য নুরুল ইসলাম ইউএনওর অফিসে পরামর্শ নিতে আসেন। ইউএনও তাকে সম্মানের সাথে চেয়ারে বসতে বলেন এবং চা খাওয়ান। তিনি পরামর্শ দিলে পরে তার অসাধারণ পরামর্শ পেয়ে খুশি হয়ে প্রশংসা জ্ঞাপন করেন।

কালাই পৌরসভার আকন্দপাড়ার মহল্ল্যার অসহায় নিপা আক্তার জানান, তার দুই কন্যা রেখে হঠাৎ স্বামী স্ট্রোক করে মারা যায়। তখন দিশেহারা হয়ে পরে। ইউএনও তার বিষয় জানতে পারেন। পরে তাকে ডেকে সান্তনা দেন,সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়াও তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ।

এ ছাড়াও উপজেলায় তার আরো অনেক অবদান রয়েছে যা শেষ করার নই। ইউএনও অফিসে সেবার আগত অনেকেই জানান, যে কোন ব্যক্তি যার যে সমস্যা নিয়ে আসুক না কেন তিনি ধৈর্য ও মনোযোগের সহিত তাদের কথা শুনেন এবং যার যেভাবে সমাধান হবে সেভাবেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারা আরো বলেন, আমরা যতটা ইউএনও’র নিকট থেকে পাওয়ার আশা করিনা তার তার চেয়ে বেশি কিছু পাই।

উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি যোগদানের পর থেকেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতি তার সদচারণে ভক্ত। তিনি একজন ভদ্র, সৎ সেইসাথে একজন মেধাবী কর্মকর্তাও। সেবা নিতে আসা অনেককেই তার বিষয়ে প্রশংসা করতে শুনেছি।

কালাই উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি বলেন, আমার জন্মস্থান ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়। আমি ঝিনাইদহ সরকরি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ম্যাধমিক, ঝিনাইদহ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয় নিয়ে অর্নাসসহ মার্ষ্টাস ডিগ্রী অর্জন করি এবং ৩৪তম বিসিএস পরিক্ষায় প্রশাসশন ক্যাডারে কৃতিত্বের সাথে উর্ত্তীর্ন হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাকুরির পর কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি ।
তিনি আরো জানান, তার স্বামী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বর্তমানে তার একটি একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে।

উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি বলেন, সাধারন মানুষের সেবা নিশ্চিত করাই আমার চাকুরী। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা কঠোর অবস্থানে থাকবে। যেহেতু সেবা গ্রহনকারীদের মধ্যে অধিকাংশই গ্রামের সরল মানুষ। এসি চালাতে গেলে দরজা বন্ধ রাখতে হয়, সে কারনে সেবা গ্রহনকারীদের মধ্যে প্রায় সবাই দরিদ্র ও অসহায় প্রকৃতির মানুষ তাই দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতে তারা ভয় পান। অনুমতিরও ঝামেলা পোহাতে হয়, তাই বলে অফিসের দরজা সব সময় উন্মুক্ত থাকে। তা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কে তথ্য প্রদানে সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান তিনি।