জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে সপ্তাহে এক দিন অথবা দুদিন ইচ্ছামতো অফিস করার অভিযোগ উঠেছে।
তিনি সপ্তাহে এক দিন বা দুদিন সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে এসে কিছুক্ষণ অফিস করে চলে যান টাঙ্গাইলের গোপালপুরে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ ফেরদৌস এর আগে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বদলি হয়ে জামালপুরের ইসলামপুরে আসেন।
ইসলামপুরে আসার ৬ মাস পার হতেই তাকে পুনরায় বদলির আদেশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বদলির আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। এরপর থেকেই ইচ্ছামতো অফিস করতে থাকেন মোহাম্মদ ফেরদৌস।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, তিনি অনেক সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও প্রমোশন পাননি।
তার কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার ওপর সন্তুষ্ট নয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগস্টের শেষ সপ্তাহে তিনি এক দিন অফিস করেছেন। যদিও তার অফিস কক্ষ নিয়মিত যথাসময়ে খোলা হয় এবং বন্ধ করা হয়।
আগস্টের শেষ সপ্তাহের বুধবার এক দিন ট্রেনিং ছিল বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর।
শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস নিয়মিত অফিস না করে সপ্তাহে এক দিন অথবা দুদিন অফিস করার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল গফুর মোবাইলে সব বলা যাবে না বলে অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি বলেন, তিনি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তিনি কখন কোথায় থাকেন সব জানি না।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করলে গত বৃহস্পতিবার জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মোহাম্মদ ফেরদৌসের ছুটির বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।
বদলির আদেশের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি জামালপুরে যোগদানের পূর্বেই সেই মামলা হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদ ফেরদৌসকে অফিসে না পেয়ে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জেলা অফিসে আছেন তিনি। জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে তাকে ফোন করা হলে তিনি তখনো জেলা অফিসে আছেন বলে জানান।
জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা) হারুন অর রশীদের সামনে তাকে ফোন করা হয়।
যখন বলা হয়, আপনি জেলা অফিসে আসেননি, তখন অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন এবং আগামীকাল অফিসে আসেন বলে ফোন কেটে দেন।
এ সময় সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের মিথ্যা কথা বলার ঘটনায় বিব্রত হয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।