গোয়াইনগাট উপজেলাধীন ৩ নং জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্গত জাফলং বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জিলানী আহমেদের উপর একই বাজারের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী লাল মিয়া ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া যায়।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, জিলানী আহমেদ বর্নিত বাজারের একজন পুরনো ব্যবসায়ী। প্রায় ২৬/২৭ বছর যাবৎ তিনি একই বাজারে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী হিসেবে সম্মানের সহিত ব্যবসায়ীক কার্য পরিচালনা করে যাচ্ছেন। পাশ্ববর্তী দোকানদার লালু মিয়া একজন হিংসুটে, হীনমন্য, সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে জিলানীর ব্যবসায়ীক ও আর্থিক ক্ষতির উদ্দেশ্যে প্রায় সময় বিভিন্ন অজুহাতে জিলানীর অনুপস্থিতিতে দোকানের কর্মচারীকে লক্ষ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি ধামকি প্রদান করলে দোকানদার জিলানী তর্কে না জড়িয়ে বিষয়টি জাফলং বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করলে গত ০১/০৯/২০২৩ তারিখ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৭:৩০ ঘটিকায় লাল মিয়া ও তাঁর সন্ত্রাসীর সদস্য মাহবুব আহমেদ, তাজুল ইসলাম, কবির আহমেদ, আশেক আহমেদ, হাসান আহমেদ ও রায়হান সহকারে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন সন্ত্রাসীর দল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যবসায়ী জিলানীর দোকানের ভেতরে অনুপ্রবেশ করিয়া অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়ি দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের রক্তাক্ত করে নগদ অর্থ ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। প্রকাশ্যে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ভিকটিমদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষ লাল মিয়া দোকানদার জিলানী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের এমন আকস্মিক হামলা ও প্রাননাশের হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয় গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভিকটিম জিলানী আহমেদ।
উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে লাল মিয়ার মন্তব্য জানতে চেয়ে তাহার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাহার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি প্রসঙ্গে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, উক্ত ঘটনা প্রসঙ্গে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খুব শীঘ্রই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।