ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

ড. ইউনূস নিয়ে চিঠি প্রত্যাহার চায় সুপ্রিম কোর্ট বার

ঢাকা: কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের খোলা চিঠিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার‌্যনির্বাহী কমিটির এক সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। গত ৩১ আগস্ট এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি জানায়, কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সম্মানিত সদস্য ২৮শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারাবাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের এই চিঠি অসত্য তথ্য নির্ভর। তারা প্রকৃত সত্য জানলে এই চিঠি দিতেন না। এই চিঠি দেওয়ার মধ্য দিয়ে তারা একদিকে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে গরিব শ্রমিকের স্বার্থের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান গ্রহণ করেছেন। একজন দায়িত্ববান বিশ্ব নেতাদের কাছে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত।

‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন, ট্যাক্স ফাঁকি এবং অন্য যে সব বিচারিক কার্যক্রম চলমান আছে, তা আইন এবং ন্যায় বিচারের দাবি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মনে করছে, তা যথাযথ কারণে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়েই চলছে। বিচার কার্যক্রমের কোন পর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস যদি সংক্ষুব্দ হন, তাহলে তার আইনি প্রতিকার বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেই রয়েছে।

উল্লেখ্য যে শ্রম আইনের মামলাগুলো সরকার দায়ের করে নাই, তা অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকরাই তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য দায়ের করেছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আরও জানায়, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ। বিচারকরা স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। শাসন বিভাগের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের সংবিধান একটি মানবিক দলিল। এই সংবিধান অনুযায়ী কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সবাই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। শ্রমিকরাও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এইরূপ খোলা চিঠি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপরে অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং গরিব মেহনতী মানুষের ন্যায্য অধিকারের পরিপন্থী। তা আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী। এইরূপ খোলা চিঠি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

ড. ইউনূস নিয়ে চিঠি প্রত্যাহার চায় সুপ্রিম কোর্ট বার

আপডেট সময় ১২:২১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকা: কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের খোলা চিঠিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার‌্যনির্বাহী কমিটির এক সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। গত ৩১ আগস্ট এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি জানায়, কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সম্মানিত সদস্য ২৮শে আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারাবাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের এই চিঠি অসত্য তথ্য নির্ভর। তারা প্রকৃত সত্য জানলে এই চিঠি দিতেন না। এই চিঠি দেওয়ার মধ্য দিয়ে তারা একদিকে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে গরিব শ্রমিকের স্বার্থের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান গ্রহণ করেছেন। একজন দায়িত্ববান বিশ্ব নেতাদের কাছে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত।

‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন, ট্যাক্স ফাঁকি এবং অন্য যে সব বিচারিক কার্যক্রম চলমান আছে, তা আইন এবং ন্যায় বিচারের দাবি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মনে করছে, তা যথাযথ কারণে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়েই চলছে। বিচার কার্যক্রমের কোন পর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস যদি সংক্ষুব্দ হন, তাহলে তার আইনি প্রতিকার বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেই রয়েছে।

উল্লেখ্য যে শ্রম আইনের মামলাগুলো সরকার দায়ের করে নাই, তা অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকরাই তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য দায়ের করেছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আরও জানায়, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ। বিচারকরা স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। শাসন বিভাগের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের সংবিধান একটি মানবিক দলিল। এই সংবিধান অনুযায়ী কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সবাই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। শ্রমিকরাও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এইরূপ খোলা চিঠি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপরে অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং গরিব মেহনতী মানুষের ন্যায্য অধিকারের পরিপন্থী। তা আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী। এইরূপ খোলা চিঠি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।