ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় ভারতীয় মদসহ ৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি রোটারি ক্লাব অব পাবনার উদ্যোগে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের মাঝে পূজা বস্ত্র বিতরণ কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক ১ সরকারি ব্যবস্থায় দুর্নীতি বন্ধ চান এনজিও নেতারা কাবা শরিফের গিলাফ উপহার পেলেন ধর্ম উপদেষ্টা সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরখাস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুজা মন্ডবে শেষ প্রতিমা তৈরীর কাজ, চলছে শেষ সময়ে প্রস্তুতি লালমনিরহাটে মধ্যরাতে আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান, কোটি টাকার ক্ষতি কুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানা গ্রাম পুলিশের নির্দেশে রাতের অন্ধকারে অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ। দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় জেলা-উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু : আইজিপি

যমুনার পেটে বাড়ি-ঘর, হুমকির মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়খাল এলাকায় আবার তীব্র নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

যমুনার অব্যাহত ভাঙনে বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক বাড়ি-ঘর।

আজ দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়খাল গ্রামের তোতা মিয়ার দুটি ঘর আজ বৃহস্পতিবার সকালে নদীগর্ভে চলে গেছে।
অন্যান্য ঘর দ্রুত অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তোতা মিয়া জানান, আমার ঘরে মা ঘুমিয়ে ছিল। ভোর ৫টার দিকে আমার স্ত্রী হাসনা বেগম ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায়, বাড়ির উঠানে ফাটল, তিনি ফাটল দেখেই চিৎকার দিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। সবাই এসে দেখেন ঘর দেবে যাচ্ছে, অল্পের জন্য রক্ষা পায় ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে থাকা ৯০ বছর বয়সী মা ফুলেরা বেগম।
আর কিছুক্ষণ পর দেখলেই ঘর নদীতে চলে যেত। আমার ঘরে ২০ মণ পিঁয়াজের বীজ, ৬ মণ ধানের বীজসহ বহু কিছু ছিল। সব কিছু যমুনার পেটে গেছে।

একই গ্রামের সাদিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে যমুনার ভাঙনে বহু বাড়ি-ঘর শেষ।

তবুও কার্যকর স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আজ চোখের সামনে একে একে সব বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে, আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি ।
মাঝিপাড়ার কুদ্দুস আলীর আক্ষেপ, বিগত কয়েক বছরে ২০ বিঘা ফসলি জমি যমুনা নদী ভেঙে নিয়ে গেছে, শেষ সম্বল ছিল বাড়ি-ভিটে, সেটাও হুমকির মুখে।

আমরা স্থায়ী সমাধান চাই, জিও ব্যাগ দিয়ে আর কত দিন আমাদের সান্ত্বনা দেবে?

এদিকে নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন।

এলাকাবাসীর দাবি, তাদের গ্রামের শেষ চিহ্ন দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়কে যেন রক্ষা করা হয়। দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা সেই স্থান পরিদর্শন করেছেন।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, এই মাসের ১২ তারিখ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে, এই এলাকার নদীভাঙন প্রতিরোধের জন্য ১৯৭৭৯ বস্তা জিও ব্যাগ বরাদ্দ পাওয়া গেছে, আশা করি ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় ভারতীয় মদসহ ৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি

যমুনার পেটে বাড়ি-ঘর, হুমকির মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় ১১:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়খাল এলাকায় আবার তীব্র নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

যমুনার অব্যাহত ভাঙনে বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক বাড়ি-ঘর।

আজ দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়খাল গ্রামের তোতা মিয়ার দুটি ঘর আজ বৃহস্পতিবার সকালে নদীগর্ভে চলে গেছে।
অন্যান্য ঘর দ্রুত অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তোতা মিয়া জানান, আমার ঘরে মা ঘুমিয়ে ছিল। ভোর ৫টার দিকে আমার স্ত্রী হাসনা বেগম ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায়, বাড়ির উঠানে ফাটল, তিনি ফাটল দেখেই চিৎকার দিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। সবাই এসে দেখেন ঘর দেবে যাচ্ছে, অল্পের জন্য রক্ষা পায় ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে থাকা ৯০ বছর বয়সী মা ফুলেরা বেগম।
আর কিছুক্ষণ পর দেখলেই ঘর নদীতে চলে যেত। আমার ঘরে ২০ মণ পিঁয়াজের বীজ, ৬ মণ ধানের বীজসহ বহু কিছু ছিল। সব কিছু যমুনার পেটে গেছে।

একই গ্রামের সাদিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে যমুনার ভাঙনে বহু বাড়ি-ঘর শেষ।

তবুও কার্যকর স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আজ চোখের সামনে একে একে সব বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে, আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি ।
মাঝিপাড়ার কুদ্দুস আলীর আক্ষেপ, বিগত কয়েক বছরে ২০ বিঘা ফসলি জমি যমুনা নদী ভেঙে নিয়ে গেছে, শেষ সম্বল ছিল বাড়ি-ভিটে, সেটাও হুমকির মুখে।

আমরা স্থায়ী সমাধান চাই, জিও ব্যাগ দিয়ে আর কত দিন আমাদের সান্ত্বনা দেবে?

এদিকে নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন।

এলাকাবাসীর দাবি, তাদের গ্রামের শেষ চিহ্ন দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়কে যেন রক্ষা করা হয়। দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা সেই স্থান পরিদর্শন করেছেন।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, এই মাসের ১২ তারিখ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে, এই এলাকার নদীভাঙন প্রতিরোধের জন্য ১৯৭৭৯ বস্তা জিও ব্যাগ বরাদ্দ পাওয়া গেছে, আশা করি ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।