ভোলার বোরহানউদ্দিনে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক অভিযুক্ত মো. গিয়াসউদ্দিন। বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাশাপাশি ওয়ার্ডের জামাই গিয়াসউদ্দিনের(৩৫) বিরুদ্ধে।
গতকাল (০৭ আগস্ট ) রাত বোরহানউদ্দিন উপজেলার ছোট মানিকা ৩ নং ওয়ার্ডে রাত আনুমানিক ১ টা ৩০ মিনিটের সময় প্রতিবন্ধী তরুণীর বাসার পিছনে বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী তরুণীর মা রাত সাড়ে ৯টার দিকে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে ধর্ষক মো.গিয়াসউদ্দিনকে (৩৫) আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটক গিয়াসউদ্দিন লক্ষ্মীপুর ১ নং ওয়ার্ডের সাহেব আলীর ছেলে।
গিয়াসউদ্দিন ছোট মানিকা ৩ নং ওয়ার্ডের চৌরাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে চায়ের দোকান করতেন। অপরদিকে নির্যাতিতা তরুণী ওই বাক ও প্রতিবন্ধী ছোট মানিকা ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
প্রতিবন্ধী তরুণীর মা জানান- বাক ও প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে ধর্ষক গিয়াসউদ্দিন দোকান বন্ধ করে বাড়ী ফিরার পথে অনেক রাতের সময় পটেটো, কেক,চকলেট সহ বিভিন্ন খাবার তাকে দিতো পরে তার সাথে শারীরিক মেলামেশা করতো এইভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পর আমার মেয়ে আমাদেরকে নাম বলতো, বিভিন্ন ভাবে বাজানোর চেষ্টা করতো, তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিতামনা, এরপর আমার স্বামী সহ রাতের বেলায় ধর্ষক গিয়াসউদ্দিনকে ধরার জন্য লুকিয়ে থাকি, গতকাল রাত ১ টা ৩০ মিনিটের সময় গিয়াসউদ্দিন আমার মেয়ের রুমের কাছে আসলেই পিছন থেকে আমার স্বামী তাকে ধরলে, আমার স্বামীকে ইট দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ছুটে চলে যায়। পরে সকালে বিষয়টি স্হানীয় মেম্বার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় ধর্ষক গিয়াসউদ্দিন। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিচারের নামে টালবাহানা করতে থাকলে সোমবার সাড়ে ৯টার দিকে বোরহানউদ্দিন থানায় প্রতিবন্ধী তরুণীর মা অভিযোগপত্রটি দায়ের করেন।
অভিযোগ দায়েরের পর বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশ লক্ষ্মীপুর ১ নং ওয়ার্ডে গিয়ে ধর্ষক গিয়াসউদ্দিনকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করে এবং ওই তরুণীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।