ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

মাঝে মাঝে মনে হয় সব কিছু বন্ধ করে দিই: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ফলে ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন হয়েছে। তবে এখাতে খরচ নিয়ে সমালোচনায় মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা সব কিছু বন্ধ করে দিই। আবার ৩ হাজার মেগাওয়াটে ফিরে যাই। ’

সোমবার (১০ জুলাই) অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা ভাতা ও অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আমাদের সরকারের কার্যক্রমের হিসাব ১৯৯৬ সাল থেকে দেওয়াই ভালো। তখন তো আরও দুরবস্থা ছিল, মাত্র ১ হাজার ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। আমরাই বিশেষ আইন করে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ৪ হাজার ৩শ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ আমরা বাড়িয়েছিলাম। দ্বিতীয় বার যখন ক্ষমতায় আসি দেখি সেখান থেকে এক হাজার মেগাওয়াট নাই। যাই হোক, তিন হাজার ৮০০ মেগাওয়াট থেকে ২৫ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমরা সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের আশু করণীয় ব্যবস্থা এবং সেই সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেই। দীর্ঘ মেয়াদি বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার। আমরা যদি আশু করণী ব্যবস্থাটা না নিতাম তাহলে চিন্তা করে দেখেন, ওই ৩ হাজার ৮ ০০ মেগাওয়াট হয়তো একশো-দুইশো করে বাড়ত। কিন্তু ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ তো পৌঁছাতে পারতাম না।

কুইক রেন্টাল নিয়ে সমালোচনার জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অনেকে অনেক কথাই বলে। কুইক রেন্টাল দেওয়া হলো কেন, হিসেবও বের করে দেয় যে, এতো হাজার কোটি টাকা তাদের (কুইক রেন্টাল) দেওয়া হয়েছে। হ্যাঁ, দিয়েছি। কিন্তু তার বিনিময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি কতটুকু এগিয়েছে সে বিবেচনাও তো করতে হবে। চৌদ্দ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি এটা বাস্তব কথা। কিন্তু এই ৯০ হাজারের বিপরীতে আজ বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় দাঁড়িয়েছে!

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে সর্বশেষ বাজেট দিয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকা। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার সর্বশেষ বাজেট দিয়েছে ৬৮ হাজার কোটি টাকা। আর আমরা ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রবৃদ্ধির হার আমরা বাড়িয়েছি, এটা কী কখনও সম্ভব হতো? কখনও সম্ভব হতো না।

সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই সব লেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে আবার ৩ হাজার মেগাওয়াটে ফিরে যাই। ফিরে গিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দিই যে, কী অবস্থা হতো দেশে! মাথায় ঢুকতো কেন এটা করা হলো। সমালোচনার করতে পারেন, সমালোচনা ভালো। কিন্তু সেই সমালোচনাটা আমি মনে করি গঠনমূলক হওয়া উচিত। সেই সমালোচনার মধ্য দিয়ে সংশোধনের সুযোগ থাকা। শুধু তো বলার জন্য বলা না। হ্যাঁ, অপজিট তো বলবেই, তারা কথা বলে টক শো করে, টক শোতে ইচ্ছা মতো বলে যাচ্ছে, যা বলার তাই বলে যাচ্ছে। সব কিছু বলার পর বলে, কথা বলার স্বাধীনতা নাই। স্বাধীনতা ছিল কখন? আইয়ুব খানের আমলে ছিল? জিয়াউর রহমানের আমলে ছিল?, এরশাদের আমলে ছিল ? ২০০১ সালের কথা একবার চিন্তা করেন। খালেদা জিয়া যখন সরকারের এলেন দক্ষিণাঞ্চলে কি কোনো সাংবাদিক যেতে পেরেছিলেন?

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

মাঝে মাঝে মনে হয় সব কিছু বন্ধ করে দিই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:২৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ফলে ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন হয়েছে। তবে এখাতে খরচ নিয়ে সমালোচনায় মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা সব কিছু বন্ধ করে দিই। আবার ৩ হাজার মেগাওয়াটে ফিরে যাই। ’

সোমবার (১০ জুলাই) অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা ভাতা ও অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আমাদের সরকারের কার্যক্রমের হিসাব ১৯৯৬ সাল থেকে দেওয়াই ভালো। তখন তো আরও দুরবস্থা ছিল, মাত্র ১ হাজার ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। আমরাই বিশেষ আইন করে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ৪ হাজার ৩শ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ আমরা বাড়িয়েছিলাম। দ্বিতীয় বার যখন ক্ষমতায় আসি দেখি সেখান থেকে এক হাজার মেগাওয়াট নাই। যাই হোক, তিন হাজার ৮০০ মেগাওয়াট থেকে ২৫ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমরা সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের আশু করণীয় ব্যবস্থা এবং সেই সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেই। দীর্ঘ মেয়াদি বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার। আমরা যদি আশু করণী ব্যবস্থাটা না নিতাম তাহলে চিন্তা করে দেখেন, ওই ৩ হাজার ৮ ০০ মেগাওয়াট হয়তো একশো-দুইশো করে বাড়ত। কিন্তু ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ তো পৌঁছাতে পারতাম না।

কুইক রেন্টাল নিয়ে সমালোচনার জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অনেকে অনেক কথাই বলে। কুইক রেন্টাল দেওয়া হলো কেন, হিসেবও বের করে দেয় যে, এতো হাজার কোটি টাকা তাদের (কুইক রেন্টাল) দেওয়া হয়েছে। হ্যাঁ, দিয়েছি। কিন্তু তার বিনিময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি কতটুকু এগিয়েছে সে বিবেচনাও তো করতে হবে। চৌদ্দ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি এটা বাস্তব কথা। কিন্তু এই ৯০ হাজারের বিপরীতে আজ বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় দাঁড়িয়েছে!

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে সর্বশেষ বাজেট দিয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকা। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার সর্বশেষ বাজেট দিয়েছে ৬৮ হাজার কোটি টাকা। আর আমরা ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রবৃদ্ধির হার আমরা বাড়িয়েছি, এটা কী কখনও সম্ভব হতো? কখনও সম্ভব হতো না।

সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই সব লেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে আবার ৩ হাজার মেগাওয়াটে ফিরে যাই। ফিরে গিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দিই যে, কী অবস্থা হতো দেশে! মাথায় ঢুকতো কেন এটা করা হলো। সমালোচনার করতে পারেন, সমালোচনা ভালো। কিন্তু সেই সমালোচনাটা আমি মনে করি গঠনমূলক হওয়া উচিত। সেই সমালোচনার মধ্য দিয়ে সংশোধনের সুযোগ থাকা। শুধু তো বলার জন্য বলা না। হ্যাঁ, অপজিট তো বলবেই, তারা কথা বলে টক শো করে, টক শোতে ইচ্ছা মতো বলে যাচ্ছে, যা বলার তাই বলে যাচ্ছে। সব কিছু বলার পর বলে, কথা বলার স্বাধীনতা নাই। স্বাধীনতা ছিল কখন? আইয়ুব খানের আমলে ছিল? জিয়াউর রহমানের আমলে ছিল?, এরশাদের আমলে ছিল ? ২০০১ সালের কথা একবার চিন্তা করেন। খালেদা জিয়া যখন সরকারের এলেন দক্ষিণাঞ্চলে কি কোনো সাংবাদিক যেতে পেরেছিলেন?