বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়। এর আগে, ২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানি আয় ছিল ৫২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
সোমবার (৩ জুলাই)রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, মে মাসের ধারবাহিকতায় জুন মাসেও রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব অব্যাহত রয়েছে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় গত জুনে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। জুন মাসে ৫৩১ কোটি ডলার বা ৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
জুনে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ অর্জিত হলেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে আড়াই শতাংশ। গত বছরের এ সময়ে ৪ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
ডলার সংকট, আমদানিতে বাধা ও কলকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানির অভাবে বিগত কয়েকমাস ধরে প্রবৃদ্ধির মুখ দেখছিল না। মার্চে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, এপ্রিলে ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে মে মাস থেকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মুখ দেখতে শুরু করে। সেই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৬ শতাংশের বেশি। জুন মাসে প্রবৃদ্ধি অব্যহত থাকল।
রপ্তানিতে বরাবরের মতেই অগ্রগামী অবস্থায় আছে দেশের পোশাক খাত। এ খাত থেকে এসেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এছাড়া ফুটওয়্যারে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, ক্যাপে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, ম্যান মেইড ফিলমেন্ট ও স্ট্যাপল ফাইবারে ৪২ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে পাট জাত পণ্যে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ, কৃষি পণ্যে ২৭ দশমিক ৪৭ ও হিমায়িত মাছে ২০ দশমিক ৭৬ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।