ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

হাটে পর্যাপ্ত গরুর যোগান, ক্রেতা কম দাম বেশি চাওয়ার অভিযোগ

ছবিটি রাজধানীর একটি হাট থেকে তোলা

আর মাত্র ৩ দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে ইতমধ্যে রাজধানীতে বসেছে ১৯ টি পশুর হাট। হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক গরুর যোগান রয়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি চাইছে।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলেছেন, খাবারের দাম ও লালন-পালন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর দাম গত বছরের তুলনায় বেড়ে গেছে।

রবিবার (২৫ জুন) সকালে রাজধানীর আফতাবনগর পশুর হাটে ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

হাটের বেপারীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হাটে গত বছর ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর (৩ থেকে ৫ মণ) মণপ্রতি দাম ছিল ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকা এবং বড় গরু (৫ মণের উপরে) মণপ্রতি ২৬ থেকে ২৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরু মণপ্রতি ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকায়।

ব্যাপারীরা আরও জানান, দামের কারণে এ বছর ছোট গরুর চাহিদা বেশি। এখন যারা হাটে আসছেন, তারা ছোট গরু কিনছেন। এক থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরুর চাহিদা বেশি।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ সামনে রেখে বিক্রেতারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। দাম বেশি হলেও গরুর সরবরাহে কোনো কমতি নেই। সেই তুলনায় ক্রেতা অনেক কম।

হাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বেচাকেনা শুরু হলেও মূল বেচাকেনা শুরু হবে সোমবার থেকে। আশা করি ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত হাটে পশু বেচাকেনা চলবে।

কুষ্টিয়া থেকে ৫০ টি গরু নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন জান্নাতুর রহমান পাপ্পা বেপারী। তিনি জানান, আমি এবার গরু কিনেছি ৩২ হাজার টাকা মণ। ৫০টা গরু এনেছি, মাত্র ১ টা বিক্রি করেছি।

রাজশাহী থেকে গরু নিয়ে আসা রুবেল হোসেন বেপারী জানান, গত বছর ১৬টি গরু বিক্রি হলেও আশানুরূপ দাম পাইনি। এ বছর ৩০টি গরু এনেছি হাটে। ৪টি গরু বিক্রি হয়েছে। সেগুলো সব ছোট গরু। লাভ কম। বড়গুলোর ক্রেতা নাই।

অফতাব নগরে গরুর আমদানি বেশি থাকলেও এখনও ক্রেতার খুব একটা ভিড় নেই। গরুর দাম বেশি হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অধিকাংশরা।

গুলশান থেকে এসেছেন হেলাল নামের একজন ক্রেতা। তিনি জানান, গত বছরের থেকে প্রতিটি ছোট গরু প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি চাচ্ছে। এ দামে গরু কেনা প্রায় অসম্ভব। বাজারের ভাব বোঝা যাচ্ছে না। প্রচুর গরু, ক্রেতা নেই। তারপরও কেউ দাম ছাড়তে চাচ্ছে না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

হাটে পর্যাপ্ত গরুর যোগান, ক্রেতা কম দাম বেশি চাওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

ছবিটি রাজধানীর একটি হাট থেকে তোলা

আর মাত্র ৩ দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে ইতমধ্যে রাজধানীতে বসেছে ১৯ টি পশুর হাট। হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক গরুর যোগান রয়েছে। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি চাইছে।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলেছেন, খাবারের দাম ও লালন-পালন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর দাম গত বছরের তুলনায় বেড়ে গেছে।

রবিবার (২৫ জুন) সকালে রাজধানীর আফতাবনগর পশুর হাটে ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

হাটের বেপারীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হাটে গত বছর ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর (৩ থেকে ৫ মণ) মণপ্রতি দাম ছিল ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকা এবং বড় গরু (৫ মণের উপরে) মণপ্রতি ২৬ থেকে ২৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরু মণপ্রতি ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকায়।

ব্যাপারীরা আরও জানান, দামের কারণে এ বছর ছোট গরুর চাহিদা বেশি। এখন যারা হাটে আসছেন, তারা ছোট গরু কিনছেন। এক থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরুর চাহিদা বেশি।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ সামনে রেখে বিক্রেতারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। দাম বেশি হলেও গরুর সরবরাহে কোনো কমতি নেই। সেই তুলনায় ক্রেতা অনেক কম।

হাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বেচাকেনা শুরু হলেও মূল বেচাকেনা শুরু হবে সোমবার থেকে। আশা করি ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত হাটে পশু বেচাকেনা চলবে।

কুষ্টিয়া থেকে ৫০ টি গরু নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন জান্নাতুর রহমান পাপ্পা বেপারী। তিনি জানান, আমি এবার গরু কিনেছি ৩২ হাজার টাকা মণ। ৫০টা গরু এনেছি, মাত্র ১ টা বিক্রি করেছি।

রাজশাহী থেকে গরু নিয়ে আসা রুবেল হোসেন বেপারী জানান, গত বছর ১৬টি গরু বিক্রি হলেও আশানুরূপ দাম পাইনি। এ বছর ৩০টি গরু এনেছি হাটে। ৪টি গরু বিক্রি হয়েছে। সেগুলো সব ছোট গরু। লাভ কম। বড়গুলোর ক্রেতা নাই।

অফতাব নগরে গরুর আমদানি বেশি থাকলেও এখনও ক্রেতার খুব একটা ভিড় নেই। গরুর দাম বেশি হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ব্যবসা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অধিকাংশরা।

গুলশান থেকে এসেছেন হেলাল নামের একজন ক্রেতা। তিনি জানান, গত বছরের থেকে প্রতিটি ছোট গরু প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি চাচ্ছে। এ দামে গরু কেনা প্রায় অসম্ভব। বাজারের ভাব বোঝা যাচ্ছে না। প্রচুর গরু, ক্রেতা নেই। তারপরও কেউ দাম ছাড়তে চাচ্ছে না।