বাহুবল উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে অন্যের সম্পদের দিকে লোভাতুর দৃষ্টি এবং উড়ে এসে জোর করে সম্পত্তির প্রকৃত অধিকারভুক্ত থেকে অধিকারচ্যুত করার অপচেষ্টায় ছদ্মরূপে চরম হয়রাণী-নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে মুখ খুলছেন আহমদুল কবির নামে এক নিরীহ ব্যক্তি।
জানা যায়, উপজেলার বাহুবল গ্রামের মনির উদ্দিন ছিলেন একজন জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান 3 সম্পদশালী ব্যক্তি। পারিবারিক জীবনে ১ম স্ত্রীর একমাত্র পুত্র সন্তান ও ২য় স্ত্রী উপজেলার বানিয়াহাটির তুলসী রাণী (আমিনা খাতুন) গর্ভের দুই মেয়ে সন্তানের জনকও ছিলেন। একপর্যায়ে সাবেক ওই উপজেলা চেয়ারম্যান বিয়ে করেন মনির উদ্দিনের ২য় স্ত্রীর গর্ভের এক মেয়েকে। দাম্পত্যজীবনে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জনক হলেও তার স্ত্রী মারা যান। মৃত মনির উদ্দিনের রেখে যাওয়া একমাত্র পুত্র আহমদুল কবিরের ভাষ্যমতে, আব্দুল কাদির চৌধুরী বিবাহের পর থেকেই শশুরের সম্পদের উপর লোভনীয় দৃষ্টি দিয়ে আসছেন। এতে প্রায়সময় বিরোধ লেগে থাকতো।
তিনি বলেন, পিতৃপরিচয়ে পৈতৃকসম্পদ ও দানপত্রের রেজেষ্ট্রারী দলীল মূলে সম্পত্তিতে হক ও অধিকার থাকা সত্বেও বঞ্চিত করতে ওই ব্যক্তি পেশিশক্তির প্রভাব বিস্তার করার মধ্যদিয়ে অবৈধভাবে সম্পত্তি ভোগদখলের অপচেষ্টা এবং নানানভাবে অপতৎপরতা চালিয়ে উল্টো মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হয়রাণী করে চলেছেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২০০৬ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর কোথাও ঠাঁই না পেয়ে সরলতার সুযোগে অস্থায়ী বসবাসের সুযোগ নিয়ে এখন জোরপূর্বক ভোগদখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠছেন। এছাড়া পৈতৃক থেকে শুরু করে দানপত্রের রেজেষ্ট্রারী দলীল সহ প্রমাণাদি মূলে তিনি সম্পত্তির প্রকৃত মালিকানাভুক্ত থাকা সত্বেও অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে যেন,উড়ে এসে জোরে বসার রুপ ধারন করে চলেছে। এদিকে, আহমদুল কবিরের বিরুদ্ধে তারই ভগ্নীপতি সাবেক ওই উপজেলা চেয়ারম্যান বাদী হয়ে জানমালের নিরাপত্তার আশংকা, ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে বাহুবল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।